ওনাম উৎসবে মেতে উঠেছে কেরল, চলবে ৮ তারিখ পর্যন্ত

Onam festival

ওনামে মেতে উঠেছে কেরল। বছরের এই সময়টাই রাজ্যে দশ দিন ধরে পালিত হয় ওনাম। এই উৎসব চলবে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এবং ওই ৮ তারিখই ওনামের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিন।

তবে এখনই উৎসবে মুখর কেরলবাসী। প্রতি দিনই সকালে নিজেদের বাড়ির সামনে ফুল দিয়ে আলপনা তৈরি করছেন মানুষজন। রাজ্য জুড়ে মানুষজন মেতেছেন নানা রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। নেহরু কাপের মতো নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়েছে। কেরলের ঐতিহ্যশালী খাবারদাবার এখন উৎসবমুখর মানুষ বেশি করে খাচ্ছেন।

ওনাম উৎসবের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছেন পৌরাণিক রাজা মহাবলি। মহাবলি কিন্তু কোনো হিন্দু দেবতা নন। কথিত আছে, মহাবলির রাজ্যে অসাম্য ছিল না, প্রতারণা ছিল না, চুরি ছিল না, শ্রেণিবিভাজন ছিল না, অস্পৃশ্যতা ছিল না, দালাল ছিল না।

ওনাম উৎসবে উপলক্ষ্যে ফুলের বাসর, বেনি র‍্যাফেলের আবাসে।

মর্ত্যে মহাবলির এই জনপ্রিয়তা দেখে, তাঁর সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার সফলতা দেখে আতঙ্কিত হয়ে উঠল স্বর্গরাজ্য। বিষ্ণুর অবতার বামন এসে ছলনা করে মহাবলির কাছ থেকে সব চেয়ে নিলেন। এমনকি, মহাবলিকেও। অতল গহ্বরে তলিয়ে গেলেন মহাবলি।

কেরলের মানুষ বিশ্বাস করেন, সব মানুষের শ্রদ্ধেয় এই রাজা বছরের এই সময়ে মর্ত্যে এসে ঘুরে যান। দেখে যান তাঁর রাজ্যের মানুষজন আনন্দে আছে কি না। এ হেন কল্যাণকামী রাজা মহাবলির মর্ত্যে আগমন পালন করেন কেরলবাসী খাওয়াদাওয়া, নাচগান, আনন্দ-উৎসব করে।

ওনামের কাহিনি আর তার প্রধান চরিত্র মহাবলিকে কখনও কেরলের সংস্কৃতি, কেরলের সভ্যতা, কেরলের সমাজ, কেরলের চিন্তাভাবনা থেকে আলাদা করা যায় না। বছরের পর বছর ধরে কেরলের যে সামাজিক-রাজনৈতিক সংস্কার চলেছে, তার সঙ্গে মহাবলি ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। একজন মালয়ালি, তিনি যে ধর্ম, বর্ণ, জাতির, রাজনৈতিক চিন্তার হোন না কেন, তাঁর চিন্তায়, মননে সব সময়েই বিরাজ করেন মহাবলি। ওনাম এমন একটি উৎসব যেখানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে গোটা রাজ্য এক হয়ে যায়।

আরও পড়তে পারেন

পুজোয় অদূরে ৩ / রাঁচি-নেতারহাট-বেতলা

পর্যটন দফতর-পুরসভার যৌথ উদ্যোগ, কলকাতাতেও এ বার হোমস্টে

ভ্রামণিকদের কাছে কেন অনন্য কেরল? রইল একাধিক কারণ

চোখধাঁধানো স্থাপত্যের প্রাসাদ: মাইসোর প্যালেস 

ওড়িশায় ১৩টি নতুন পরিবেশবান্ধব পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা

পুজোয় অদূরে ২ / রাঁচি-ম্যাকলাস্কিগঞ্জ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *