ভ্রমণ কাহিনি

ঘুরতে বেরিয়ে নানা স্মৃতি জমা হয় মনের মধ্যে। সেই সব স্মৃতি হাতড়ে লেখা এই বিভাগের ভ্রমণ কাহিনিগুলি।

অল্পচেনা হিমাচলে/৭

অটল টানেল পেরিয়ে যেতেই চারদিকের দৃশ্য বেশ পাল্টে গেল। মানালি থেকে খুব বেশি দূর আসিনি, বড়জোর ৩৫ কিমি রাস্তা। কিন্তু উঠে এসেছি অনেকটাই – সাড়ে তিন হাজার ফুটেরও বেশি। ৬৪০০ ফুট উচ্চতার মানালি থেকে ১০ হাজারেরও বেশি সিস্‌সুতে। এ যেন একটুকরো ইউরোপ। গাছের পাতা সব হলুদ। ইউরোপে গাছের পাতায় হলুদ রঙ ধরে ‘ফল সিজন’-এ। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর-নভেম্বর, […]

মেডোর মাঝে সাংচুল মহাদেব মন্দির।

অল্পচেনা হিমাচলে/৬

সন্ধ্যায় দোতলা হোমস্টের চত্বরে বসে কথা হচ্ছিল গুরধিয়ান সিং ঠাকুরের সঙ্গে। শানগড়ের প্যারাডাইস হোমস্টের মালিক। বেশ ঠান্ডা রয়েছে। হিমাচলে আসা অবধি এত ঠান্ডা আমরা কোথাও পাইনি। আগুন পোয়াতে পোয়াতে ওঁর কথা শুনছি।    বয়স্ক মানুষটি বেশ মিশুকে। জ্যেষ্ঠপুত্র ও পুত্রবধূ, দুজনেই শিক্ষক, থাকেন শানগড়ের বাইরে। আর কনিষ্ঠপুত্র থাকেন বাবা-মায়ের সঙ্গেই, হোমস্টের ব্যাবসা দেখেন। গুরধিয়ানের কাছেই শুনলাম

অল্পচেনা হিমাচলে/৫

শম্ভু সেন হিমাচলের অল্পচেনা গন্তব্যের মধ্যে অন্যতম হল তীর্থন ভ্যালি – তীর্থন নদীর পারে উপত্যকা অঞ্চল। ট্যুরিস্ট বলতে সাধারণত যাদের বোঝায় তাদের খুব একটা দেখা মেলে না এই তীর্থনে। যারা একটু ‘হটকে’ ট্যুরিস্ট তারাই আসে এই তীর্থনে। তিনটি তরুণ-তরুণীকে অনেক রাত পর্যন্ত বসে থাকতে দেখলাম তীর্থনের ধারে। ঠান্ডা জব্বর। তবে তার মোকাবিলায় জ্বালানো হয়েছিল আগুন।

অল্পচেনা হিমাচলে/৪

শম্ভু সেন বসে আছি হাটুমাতার মন্দিরের চাতালে। হাটুমাতা মা দুর্গারই এক রূপ। সম্পূর্ণ কাঠের মন্দিরটি হিমাচলী স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন। এই পাহাড়চুড়োয় মা কত দিন ধরে বিরাজ করছেন তা কেউই বলতে পারেন না। তবে বর্তমানের কাঠের মন্দিরটি একেবারেই নতুন। তেরো বছর আগে যখন এসেছিলাম তখন মন্দির নির্মাণের কাজ সবে শুরু হয়েছে। তখন দেখে বুঝতে পারিনি

অল্পচেনা হিমাচলে/৩

তেরো বছর পরে এ পথে আবার। এ পথেই তো? নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।  একটু খোলসা করেই বলি। সালটা ছিল ২০১১। সময়টাও ছিল পুজোর পরে পরেই। নিজেই হিমাচলের ট্যুর প্রোগ্রাম বানিয়েছিলাম। পনেরো দিনের ট্যুর। সেই ট্যুরে প্রথম গন্তব্য ছিল শিমলা। দ্বিতীয় গন্তব্য খাড়াপত্থর। শিমলা আগে বিশদে ঘুরেছি। তাই মাত্র একরাত্রি বাস সেখানে। দ্বিতীয় দিন

শতদ্রু

অল্পচেনা হিমাচলে/২

শতদ্রু পেরিয়ে ঢুকে পড়লাম তত্তাপানিতে। শিমলা জেলা ছেড়ে মান্ডি জেলায়। একটু এগোতেই বাঁদিকে নজরে পড়ল ‘হট স্প্রিং’-এর সাইনবোর্ড। আমাদের ট্র্যাভেলার বাস থেমে গেল। একে একে সবাই বাস থেকে নেমে বাঁধানো উতরাই পথে সামান্য এগিয়ে গেলাম। একটু গিয়েই থমকে গেলাম। কোথায় ‘হট স্প্রিং’? এ তো ‘হোটেল হট স্প্রিং’। হতেই পারে। তত্তাপানির খ্যাতি তার উষ্ণ প্রস্রবণের জন্য।

অল্পচেনা হিমাচলে/১

পৌনে ২টো নাগাদ পেরিয়ে গেলাম পানিপথ। সেই পানিপথ, যেখানে যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদিকে পরাস্ত করে এ দেশে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাবর। সেই পানিপথ, যেখানে হঠাৎ বনে যাওয়া দিল্লিরাজ হিমুকে হারিয়ে সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধার করেছিলেন আকবর।

বেলুর-হালেবিডু-বেলাওয়াড়ি: পাথর যেখানে কথা বলে

শ্রয়ণ সেন বৃষ্টি ভেজা মোরামের রাস্তা দিয়ে এগিয়ে চলেছি। গ্রামটার নাম বেলাওয়াড়ি। গ্রামের একদম শেষপ্রান্তে বীরনারায়ণ মন্দির। পেছনে পাহারাদারের মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে পশ্চিমঘাটের সুবিশাল পর্বতমালা। পাহাড়ের মাথাগুলো বৃষ্টির মেঘে ঢাকা। গাড়ি থেকে নামতেই গ্রামবাসীদের কৌতূহলী চোখ নজর কাড়ল। আমাদের তিন জনকে ওঁরা এমন ভাবে দেখছেন যেন মনে হচ্ছে বাইরের পর্যটকদের ওঁরা কখনও দেখেননি। আন্দাজটা যে

কয়েকটা দিন কাটিয়ে আসুন খাঁড়ি-লেক-নদী-সমুদ্র-পাহাড়-জঙ্গলের রাজ্য কেরলে

সুদীপ মাইতি কোচি বিমানবন্দরে নেমে গাড়িতে উঠতে যাব, গাড়ির গায়ে লেখাটায় চোখটা আটকে গেল। আমাদের ন’ জনের জন্য একটা ভ্যান ঠিক করে রেখেছিল আমাদের ট্যুরিস্ট সংস্থা। ড্রাইভারের নাম বিষ্ণু। কথা আগের দিনই হয়েছিল। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে কাছাকাছি একটা হোটেলে পৌঁছে আগে পেটপুজো করে নেওয়া হল। তার পর সোজা কোচির বিখ্যাত ব্যাকওয়াটারের দিকে রওনা। ব্যাকওয়াটারের পথে যেতে

Kanchenjunga, Dhotrey

ধোতরে বনবস্তিতে কাঞ্চনজঙ্ঘার সান্নিধ্যে

সায়ন্তন ধর ভিউ পয়েন্টটা ঠিক কোথায় বলুন তো? ঠিক এই কথাটা শুনেই যেন ঘুম ভেঙে গেল। প্রতি দিনের মতো ফেসবুকটা খুলে একটু দেখে নিচ্ছি। এমন সময় চোখে পড়ল সদ্যপরিচিত শ্রয়ণদাদার একটা পোস্ট। ও ছোট্ট সফরে ছুঁয়ে যাবে সিটং আর ধোতরে। ধোতরে আমার বড়ো প্রিয় জায়গা। এর আগে ধোতরের সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয়েছিল টুমলিং-এ গিয়ে। প্রাক-বর্ষায়

Scroll to Top