পূজাপার্বণ

ঘুরে আসুন রাজ্যের বারোটি শৈব তীর্থ, পর্ব ৩

পর্ব ৩ শিবের জটায় থাকে গঙ্গা। আর এই পবিত্র নদী গঙ্গা পাড়ে একের পর এক শৈব তীর্থ। তাছাড়াও বিভিন্ন নদীর পাড়ে বাংলার একাধিক শৈব তীর্থ সুবিখ্যাত। শুধু ধর্মীয় দিক থেকে নয়, এই সকল অঞ্চলের ইতিহাস যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। লোকসংস্কৃতির নানা উপাদানে পরিপূর্ণ। শিবনিবাস:চলুন এবার যাওয়া যাক বাংলার কাশী। ঘুরে আসুন পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার শিবনিবাস গ্রাম থেকে। […]

ঘুরে আসুন রাজ্যের বারোটি শৈব তীর্থ, পর্ব ২

পর্ব ২ শিব আদি দেব ও মহাজ্ঞানী। সকল দেবের দেবতা। তিনি অল্পতেই তুষ্ট। আবার অল্পতেই রুষ্ট। তাঁর শ্মশানে বাস। বাহন নন্দী ভূত-প্রেত চরদের সঙ্গে নিয়ে তিনি বহুকাল ধরেই অনার্যদের দেবতা ছিলেন। কুষাণ যুগে আমরা শিব উপাসনার কথা জানতে পারি। বহু গবেষক মনে করেন কনিষ্ক নিজে শিবের উপাসনা করতেন। কুষাণ যুগে শিবের মূর্তি ও শিব লিঙ্গ

মাটির কুমির জীবন্ত হয়ে যায় প্রতীকী হত্যা না করলে

পৌষ সংক্রান্তিতে হয় কুমির পুজো। কথায় আছে, জলে কুমির ডাঙায় বাঘ। নদী জঙ্গলে ঘেরা গ্রামের মানুষ ও মৎস্যজীবীরা কুমিরের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য কুমির পুজো দেন। বিপদের রক্ষাকর্তা। অনেকে এই পুজোকে বাস্তু পুজো বলেন। বিশ্বাস যে পুজো দিলে বাস্তু দোষ কাটবে। আজকাল এই পুজো একরকম প্রায় বিলুপ্তির পথে। দুই তিন দিন আগে থেকে মাটি

বোলপুরের কাছেই গুপ্ত, পাল, সেন প্রভৃতি আমলের নিদর্শন! যেন এক সংগ্রহশালা, পর্ব ৫

পর্ব ৫ মুকুট তপাদার সমগ্র এশিয়ার প্রাচীনতম দুর্গামূর্তি দেউলী গ্রামে। অজয় নদীর পাড়ে পার্বতী মন্দির। যার লোকমুখে প্রচলিত নাম খ্যাঁদা পার্বতী। গবেষকরা মনে করেন মূর্তিটি পাল যুগের সময়কার। প্রস্তরমূর্তিটি গ্রামবাসীদের কাছে জাগ্রত দেবী। জনপ্রিয় ধারণা অনুযায়ী আছে বহু রহস্য। গোটা গ্রামে কোথাও দুর্গোৎসব হয় না। শরৎকালে এই প্রস্তরমূর্তিকে শাস্ত্র মতে পুজো করা হয়। নবমীর দিন

বনবিবি…বনদেবী…এক অজানা সুন্দরবনের কাহিনি

সৌরীশ বসু দুই বাংলার দক্ষিণে ছড়িয়ে থাকা বিস্তীর্ণ বাদাবন বা জঙ্গল অর্থাৎ সুন্দরবনের একমাত্র ভরসার ও আরাধ্য দেবী হলেন বনবিবি বা বনদেবী। জঙ্গলে প্রবেশ করার আগে মাঝি-জেলেরা এই দেবীর পুজো দিয়ে থাকে। বনবিবি ও তার পরিবারকে নিয়ে অনেক রকম গল্পকথা আছে। সেগুলোকে পালাগানও বলা হয়। আজ অর্থাৎ পয়লা মাঘ বনবিবির পুজো। এই পুজোটা বেশ অন্য

হৈমন্তীপাবর্ণ: শান্তিপুরের ব্রহ্মচারী পরিবারের সোয়া শ’ বছরের জগদ্ধাত্রীপুজো

শুভদীপ রায় চৌধুরী দেখতে দেখতে জগদ্ধাত্রীপুজোও এসে গেল। চলুন যাওয়া যাক নদিয়ার শান্তিপুরে। দেখে আসা যাক সেখানকার ব্রহ্মচারী পরিবারের জগদ্ধাত্রীপুজো। শান্তিপুরে ব্রহ্মচারী পরিবারের জগদ্ধাত্রীপুজো অতি প্রাচীন নয়। এর বয়স সোয়া শ’ বছরের কিছু বেশি। কিন্তু আদতে এই পুজোর সূত্রপাত শান্তিপুরে নয়, অন্যত্র। এর গোড়াপত্তনের ইতিহাস জানতে হলে পিছিয়ে যেতে হবে প্রায় সাড়ে ৫০০ বছর।      

হৈমন্তীপার্বণ: শঙ্খ নয়, হাওড়ার ভট্টাচার্যবাড়ির জগদ্ধাত্রীর বাঁ হাতে থাকে খড়্গ

শুভদীপ রায় চৌধুরী দেখতে দেখতে জগদ্ধাত্রীপুজোও এসে গেল। সারা বছরের ক্লান্তি ভুলে উৎসবের দিনগুলিতে মানুষ সংসারের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আসে একটু আনন্দ উপভোগ করার জন্য। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখার ভিড় উপচে পড়ে। একটি বার সবাই চায় মায়ের সেই জ্যোতির্ময়ী বিগ্রহকে সামনে থেকে দেখতে। হাওড়া শহরেও বেশ কিছু বনেদিবাড়ি রয়েছে যেখানে বহু কাল ধরে জগদ্ধাত্রীপুজো হয়ে

হৈমন্তীপাবর্ণ: শিবপুরে যে বারোয়ারি জগদ্ধাত্রীপুজোর সূচনা হয়েছিল রায় চৌধুরীদের উঠোনে

শুভদীপ রায় চৌধুরী হাওড়ার শিবপুরে এমন এক বারোয়ারিপুজোয় জগদ্ধাত্রীর আরাধনা হয়, যার সূচনা হয়েছিল শিবপুরের রায় চৌধুরীদের উঠোনে। বছর তিনেক আগে সেই  পুজোর সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ পূর্ণ হয়েছে। ১৯৭০ সালে এই পুজো শুরু হয়। সেই সময়ে রায় চৌধুরী পরিবারের ঠাকুরদালানে দুর্গাপুজো ও কালীপুজো ছাড়া সে অঞ্চলে আর কোনো পুজো হত না। সে কারণেই অঞ্চলের কিছু বাসিন্দা

হৈমন্তীপার্বণ: বটকৃষ্ণ পাল পরিবারের জগদ্ধাত্রীপুজোর ১২৩ বছর

শুভদীপ রায় চৌধুরী কলকাতার বেনিয়াটোলা স্ট্রিটে পাল পরিবারের জগদ্ধাত্রীপুজো ১২৩ বছরে পড়ল। ১৩০৭ বঙ্গাব্দে তথা ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে এই পুজো শুরু করেছিলেন এই পরিবারের বিখ্যাত মানুষ বটকৃষ্ণ পাল।       পাল পরিবারের আদি নিবাস হাওড়ার শিবপুরে। ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে বটকৃষ্ণ পাল সেখানে জন্মগ্রহণ করেন। পরবর্তী কালের প্রথিতযশা এই পুরুষটি ১২ বছর বয়সে কলকাতায় মামার বাড়িতে চলে আসেন। একটু

হৈমন্তীপার্বণ: পরিবেশ আর স্থান মাহাত্ম্যেই অনন্য ব্রহ্মশাসনের জগদ্ধাত্রীপুজো

ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: শক্তির আরাধনার পরেই এই বঙ্গে আসেন মা জগদ্ধাত্রী। কার্তিক মাসের শুক্লানবমী তিথিতে বঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে নিষ্ঠার সঙ্গে আরাধনা করা হয় জগদ্ধাত্রীর। কথিত আছে, নদিয়ার মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রই শুরু করেছিলেন দেবী জগদ্ধাত্রীর আরাধনা, তবে তা ছিল দেবীঘটে পূজা। কোনো নির্দিষ্ট পুজাপদ্ধতি বা মন্ত্র ছিল না। ছিল না কোনো নির্দিষ্ট মূর্তি।   তা হলে কী ভাবে

Scroll to Top