উৎসব

মধু মাসে নন্দগাঁও ও বারসানার হোলি উৎসব

ব্রজ-গোপী খেলে হোরীখেলে আনন্দ নবঘন শ্যাম সাথে। আজ রঙে রঙে সেজেছে ব্রজধাম। দিগন্ত জুড়ে শুধুই বসন্তের রঙ। মথুরা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে নন্দগাঁও। এক ঐতিহাসিক জায়গা। সেখানে হরেক রঙের আবিরে মেতেছে ব্রজবাসী। ধর্মীয় উৎসব, কিন্তু সে যেন সকল মানুষের একতার বন্ধন। এখানকার জলবায়ু অত্যন্ত মনোরম। নন্দগাঁও গ্রামে নন্দভবন এক তীর্থ। ভগবান কৃষ্ণের বেড়ে ওঠা এই […]

বেলুড় রাসবাড়ির পঞ্চদোল উৎসব

কলকাতার শিবকৃষ্ণ দাঁ বাড়ির প্রতিষ্ঠিত বেলুড় রাসবাড়ি। বেলুড়ে গঙ্গাতীরে এই বাড়ির মাহাত্ম্য অনেক। রাসবাড়িতে স্বামীজি নিজে এসেছিলেন। ১৮৯০ সালে শিবকৃষ্ণ দাঁ রাসবাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন। রাসবাড়ি মূলত নবরত্ন মন্দির। ৪০ ফুট উঁচু। ভেতরে রাধারমণ জীউ বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত। নবরত্ন মন্দিরের দুপাশে রয়েছে দুটি নহবতখানা। এর সঙ্গেই আছে এক অপূর্ব রাসমঞ্চ। ছটি শিব মন্দির গঙ্গার দিকে মুখ করে

হুগলির ত্রিবেণীতে ৭০২ বছর পর কুম্ভমেলা

উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে কুম্ভের শাহী স্নান শুরু হয়েছে। পর্যটকদের বড় আকর্ষণ। এবার বাংলার কুম্ভ নিয়েও হুগলির ত্রিবেণী আকর্ষণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। ভাগবত পুরাণে বলা হয়েছে পুলস্ত্য মুনি হলেন একজন ঋষি। তিনি ব্রহ্মার দশ মানসপুত্রদের একজন। মহাভারতের বনপর্বে পুলস্ত্য মুনি ত্রিবেণীর পূণ্যতীর্থে কুম্ভমেলার কথা উল্লেখ করেছেন। বাঁশবেড়িয়ায় অবস্থিত ত্রিবেণী মুক্তবেণী নামেও পরিচিত। ষোড়শ শতাব্দীর বৈষ্ণব সন্ন্যাসী শ্রীচৈতন্যদেব

অচেনা কলকাতা, পর্ব ২

পর্ব ২ চিৎপুরের যাত্রাপাড়া: কলকাতা জন্মের আগে চিৎপুর রোড। সাহেবরা জানতেন এই রাস্তা ছিল তীর্থ ভ্রমণের পথ। সেকালের মানুষ এই পথ ধরে চিত্তেশ্বরী মন্দির হয়ে কালীঘাট দর্শনে যেতেন। শোনা যায় শোভাবাজার রাজবাড়ির হাত ধরে কলকাতায় যাত্রাপালার সূচনা। এরপর শহরে যাত্রার ইতিহাস প্রায় তিনশো বছরের। চিৎপুর রোডের দুপাশে আজও অপেক্ষায় থাকে অপেরা হাউজের মালিকেরা। কখন আসবে

ব্রজের হোলি এ বছর ৪০ দিন আগে থেকে শুরু, নেমেছে ভক্তদের ঢল

হোলি উৎসবকে ঘিরে মথুরায় ৪০ দিন ব্যাপী হোলি উদযাপনের আয়োজন। সরস্বতী পুজোর দিন থেকে ব্রজে হোলির আনন্দ শুরু হয়ে যায়। এ বছর মথুরাতে বাঁকে বিহারী হলুদ পোশাকে সেজেছিলেন। বাঁকে বিহারীকে রং লাগিয়ে শুরু হলো হোলি উৎসব। কয়েক কোটি ভক্ত এ বছর হোলি দেখতে মথুরায় আসবেন। থাকবে বিদেশি পর্যটক। ইতিমধ্যে মন্দির দেখতে আসছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ।

পুরুলিয়ার পাবড়া পাহাড় পর্যটন উৎসব

শীতের হাওয়ার নাচন হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন। মানভূমের আকাশ বাতাস পিঠে, পায়েস, ঝুমুর, টুসু গানে মুখরিত। পুরুলিয়া জেলা পর্যটন সমৃদ্ধ। পুরুলিয়ার পাবড়া পাহাড়ের নিচে সুভাষ মিলন মেলায় শুরু হল ‘পাবড়া পাহাড় পর্যটন উৎসব’। রঘুনাথপুর ২ ব্লককে পর্যটনে আনবার ভাবনা শুরু হয়েছে সরকারি স্তরে। তিনদিনের এই পর্যটন উৎসবের মধ্যে দিয়ে সেই পরিকল্পনা শুরু হলো। পাবড়া

মাটির কুমির জীবন্ত হয়ে যায় প্রতীকী হত্যা না করলে

পৌষ সংক্রান্তিতে হয় কুমির পুজো। কথায় আছে, জলে কুমির ডাঙায় বাঘ। নদী জঙ্গলে ঘেরা গ্রামের মানুষ ও মৎস্যজীবীরা কুমিরের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য কুমির পুজো দেন। বিপদের রক্ষাকর্তা। অনেকে এই পুজোকে বাস্তু পুজো বলেন। বিশ্বাস যে পুজো দিলে বাস্তু দোষ কাটবে। আজকাল এই পুজো একরকম প্রায় বিলুপ্তির পথে। দুই তিন দিন আগে থেকে মাটি

১৬৩তম জন্মজয়ন্তীতে স্বামীজির বাসভবনে অনুষ্ঠানের আয়োজন

যুগাচার্য স্বামী বিবেকানন্দের ১৬৩তম শুভ জন্মদিন ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাতদিন ব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে স্বামীজির পৈতৃক আবাসে। অনুষ্ঠান চলবে ১৮ই জানুয়ারি পর্যন্ত। রামকৃষ্ণ মিশন স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক আবাস ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছিল স্বামীজির জীবন বিষয়ক বক্তব্য, ধর্মসভা, ভক্তিগীতি, ভজন, সেতার বাদন, ডকুমেন্টারি ফিল্ম প্রদর্শন ও চিত্র প্রদর্শনী। ১৬ই জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার ছিল সেতার ও

সপ্তগ্রামে রঘুনাথ দাসের জন্মভিটেতে ৫১৮ বছরের পুরনো মাছের মেলা

সাতগাঁও বা সপ্তগ্রাম জনপদ ঘিরে আছে একাধিক দর্শনীয় স্থান। সেকালের সরস্বতী নদীর ক্ষীণ জলধারা সপ্তগ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে। গ্রামীণ জনপদ ঘিরে আছে বহু লোককথা। কনৌজের রাজা প্রিয়বন্তের সাত সন্তান এখানে আসার পর সরস্বতী নদীর তীরে একটি করে গ্রামে তাঁরা বাস করতেন। তাই নাম সপ্তগ্রাম। বাংলার অন্যতম প্রাচীন বন্দর। দেশ-বিদেশ থেকে বণিকেরা বাণিজ্য তরী নিয়ে

শান্তিপুরের মাহাতো পাড়ার ঐতিহ্যবাহী টুসু পরব

পৌষ সংক্রান্তির সঙ্গে শুরু হয়ে যায় আদিবাসীদের লোকউৎসব টুসু পরব। শহুরে মানুষজন কজনই বা খোঁজ রাখে এই লোকায়ত উৎসবের। টুসু গান ও নাচের মধ্যে দিয়ে এই উৎসব এক আলাদা মাত্রা পায়। টুসু লক্ষ্মী ঘরের মেয়ে। চাষ আবাদের দেবী। “তুমি টুসু জলে জাইছে, কবে দেখা পাবো গো!আসছে বছর এমন দিনে, আবার টুসু আইসোগো” শান্তিপুরের মাহাতো পাড়ার

Scroll to Top