১২ নভেম্বর থেকে দ্বিতীয় ঘুম উইন্টার ফেস্টিভ্যাল, এ বার রাতেও চলবে টয়ট্রেন

ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: রাতের অন্ধকার ভেদ করে বিশ্বখ্যাত টয়ট্রেনের যাত্রা দার্জিলিং স্টেশন থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের ঘুম স্টেশনে। আবার একই ভাবে ফেরা ঘুম থেকে দার্জিলিং। পাহাড়ের হিলকার্ট রোডের দু’পাশের বাসিন্দারাও নিশ্চিত অবাক হবেন।

রাতে টয়ট্রেন! হ্যাঁ, সেটাই হবে। আর পাঁচটা ট্রেনের মতো আলো জ্বালিয়ে টয় ট্রেন চলবে আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথে। আগামী ১২ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর অবধি দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (ডিএইচআর)আয়োজিত ‘ঘুম উইন্টার ফেস্টিভ্যাল’ হবে। এ বারই প্রথম পর্যটকেরা পাবেন রাতে টয়ট্রেনে চড়ার সুযোগ। এখন চলছে জোরকদমের প্রস্তুতি।

টয়ট্রেনের প্রতি সাধারণ মানুষের আকর্ষণ বাড়াতে টয়ট্রেন নিয়ে এমন ভাবনা বলে জানান ডিএইচআর অধিকর্তা প্রিয়াংশু। তিনি বলেন, ‘‘উৎসবের এই চার সপ্তাহের শেষ দিনগুলিতে নাইট জয়রাইড চালানো হবে। একে ঘিরে আকর্ষণ বাড়ছেই।’’ উৎসবে স্থানীয় শিল্পীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাচের প্রতিযোগিতা, ট্যালেন্ট হান্ট জাতীয় কিছু কর্মসূচিও রাখা হয়েছে। থাকবে স্থানীয় খাবারের স্টলও।

রেল সূত্রের খবর, নাইট জয়রাইডে ১০ কিলোমিটার পথে দু’ বার আসা-যাওয়া হবে। এর সংখ্যা বাড়বে কি না, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে। ঘুম স্টেশনে অনুষ্ঠান বা প্রদর্শনীর পরে রাতের পাহাড়ের ঘন কুয়াশায় মোড়া পথে আলো জ্বেলে চলবে টয়ট্রেন। পৌঁছোবে শৈলশহর দার্জিলিংয়ে।

এ বার এই শীতের উৎসব দ্বিতীয় বছর পড়ল। তবে রাতের টয়ট্রেন প্রথম বার। সাধারণত সাতসকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি পাহাড়ে ঢালে বা তরাইয়ের জঙ্গল ঘেঁষা রাস্তায় ধার বরাবর টয়ট্রেনের দেখা মেলে। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিংগামী ট্রেনটিও বিকেলের পরে পাহাড়ে পৌঁছে যায়। রাতের দিকে টয়ট্রেন চালানো হয় না। এ বার শীতের রাতে পাহাড়ি উৎসবের আকর্ষণ বাড়াতেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। সম্প্রতি ডিএইচআরের তরফে রেলের অফিসারদের নিয়ে বৈঠকও হয়েছে।

ঘুম রেল স্টেশনের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭৪০৭ ফুট। এশিয়ার সর্বোচ্চ রেলওয়ে পয়েন্ট হিসাবে ঘুম রেলস্টেশন স্বীকৃত। একে ঘিরে ২০২১ সাল থেকে উৎসব শুরু হয়েছে। একে বাৎসরিক অনুষ্ঠানের তালিকায় রেখেছে রেল। ঘুম রেলস্টেশনে একটি জাদুঘরও রয়েছে।

এত দিন জঙ্গল, বাতাসিয়া লুপ, পাহাড়়ের ছোট অংশে জয়রাইড চলেছে। দেশবিদেশের পর্যটকদের কাছে টয় ট্রেনের আকর্ষণ বেশি বলেই ঘুমের সঙ্গে টয়ট্রেনকে জুড়ে এ বারের অনুষ্ঠান।

আরও পড়তে পারেন

অপরূপ লুঙচক, যেখানে নিস্তব্ধতা তার নিজের সংজ্ঞা লেখে

শুধুমাত্র পর্যটকদের জন্য কলকাতার বিভিন্ন স্থানে ‘পিক-আপ’ আর ‘ড্রপ পয়েন্ট’ করার ভাবনা

যে দিকে চোখ যাবে শুধুই ময়ূর, মহারাষ্ট্রের এই গ্রাম যেন এক অপার বিস্ময়!

তামিলনাড়ুর স্বল্পচেনা গন্তব্য, সৈকত-মন্দিরের শহর তিরুচেন্দুর

উল্কাপাতের ফলে তৈরি, বদলে যায় জলের রং! সেই রহস্যে ঘেরা হ্রদ দেখে আসুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *