ভ্রমণকথা

শ্রীরামকৃষ্ণদেবের দৃষ্টিতে নবদ্বীপধাম

লোকপ্রিয় এক গৌরসুন্দর সন্ন্যাসীর কাছ থেকে বোঝা যায় নবদ্বীপের মাহাত্ম্য। আর এক লোকপ্রিয় পরমহংসের কাছে মানুষ আসল নবদ্বীপধামকে চিনেছিল। দুই অবতার। যা এক অদ্ভুত সমাপতন। আজ শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ১৯০তম জন্মতিথি। ঠাকুর বলতেন, তোমাদের চৈতন্য হোক। চিরকাল সকল এক থাকে না। এ তো বিধির বিধান! ষোড়শ শতাব্দীতে নবদ্বীপকে কেন্দ্র করে মহাপ্রভুর বাল্য-লীলা। তিনি এই তপোভূমিতে নিমাই পন্ডিত […]

অচেনা কলকাতা, পর্ব ৩

পর্ব ৩ নদিয়া জেলার শান্তিপুর তাঁত শিল্পের জন্য জনপ্রিয়। ভাবতে আশ্চর্য লাগে, সাহেব আমলে কলকাতা ছিল তাঁত শিল্পের অন্যতম এক কেন্দ্র। উত্তর কলকাতার সিমুলিয়া, দর্জিপাড়া, বরানগর, চাঁদপাল ঘাটের কাছে ছিল তাঁতিদের বসতি। কলকাতায় তাঁতিতের বসতি: হুগলি জেলার সরস্বতী নদীর পাড়ে বন্দর নগর সপ্তগ্রামের জৌলুস হারালে সেখানকার তাঁতিরা কলকাতায় আসা শুরু করেন। সুতানুটি অঞ্চলে এসে বসতি

বোলপুরের কাছেই গুপ্ত, পাল, সেন প্রভৃতি আমলের নিদর্শন! যেন এক সংগ্রহশালা, পর্ব ৪

পর্ব ৪ মুকুট তপাদার ভারত তপস্বীর দেশ। তাদের শক্তির মধ্যেই থাকে ঈশ্বরের মহিমা। আমাদের দেশনায়কও শৌলমারির সাধু বা ভগবানজী হয়ে জীবনের শেষ সময় ছিলেন শোনা যায়। যাইহোক, সারাদেশের তপস্বী ও ভক্তরা পৌষ পূর্ণিমায় মকর সংক্রান্তির দিন পূণ্যস্নান করেন। দিনটি অত্যন্ত পবিত্র। মকর সংক্রান্তিতে শ্রী শ্রী লোচন দাস ঠাকুরের আবির্ভাব তিথি। চৈতন্যজীবনীকার লোচন দাস ছিলেন মধ্যযুগের

বোলপুরের কাছেই গুপ্ত, পাল, সেন প্রভৃতি আমলের নিদর্শন! যেন এক সংগ্রহশালা

মুকুট তপাদার পর্ব ২ বাংলার রাঢ় অঞ্চলটির নাম তখন লাড় দেশ। এখানে একাধিক বণিক শ্রেণীর বসবাস ছিল। অজয় নদ ধরে বাণিজ্য চলতো। দেউলী জনপদের কাছেই এক বন্দর নগর গড়ে ওঠে। সুপুর বন্দর। কার্পাস, রেশম, পশম, তসর, নীল, লাক্ষা প্ৰভৃতি নানা পণ্যদ্রব্য বন্দরে রপ্তানি হত। প্রাচীনকালে সুপুরে বাস করতেন রাজা সুবাহু। পরবর্তীতে অজয় নদ দিয়ে বহু

অল্পচেনা হিমাচলে/৭

অটল টানেল পেরিয়ে যেতেই চারদিকের দৃশ্য বেশ পাল্টে গেল। মানালি থেকে খুব বেশি দূর আসিনি, বড়জোর ৩৫ কিমি রাস্তা। কিন্তু উঠে এসেছি অনেকটাই – সাড়ে তিন হাজার ফুটেরও বেশি। ৬৪০০ ফুট উচ্চতার মানালি থেকে ১০ হাজারেরও বেশি সিস্‌সুতে। এ যেন একটুকরো ইউরোপ। গাছের পাতা সব হলুদ। ইউরোপে গাছের পাতায় হলুদ রঙ ধরে ‘ফল সিজন’-এ। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর-নভেম্বর,

মেডোর মাঝে সাংচুল মহাদেব মন্দির।

অল্পচেনা হিমাচলে/৬

সন্ধ্যায় দোতলা হোমস্টের চত্বরে বসে কথা হচ্ছিল গুরধিয়ান সিং ঠাকুরের সঙ্গে। শানগড়ের প্যারাডাইস হোমস্টের মালিক। বেশ ঠান্ডা রয়েছে। হিমাচলে আসা অবধি এত ঠান্ডা আমরা কোথাও পাইনি। আগুন পোয়াতে পোয়াতে ওঁর কথা শুনছি।    বয়স্ক মানুষটি বেশ মিশুকে। জ্যেষ্ঠপুত্র ও পুত্রবধূ, দুজনেই শিক্ষক, থাকেন শানগড়ের বাইরে। আর কনিষ্ঠপুত্র থাকেন বাবা-মায়ের সঙ্গেই, হোমস্টের ব্যাবসা দেখেন। গুরধিয়ানের কাছেই শুনলাম

অল্পচেনা হিমাচলে/৫

শম্ভু সেন হিমাচলের অল্পচেনা গন্তব্যের মধ্যে অন্যতম হল তীর্থন ভ্যালি – তীর্থন নদীর পারে উপত্যকা অঞ্চল। ট্যুরিস্ট বলতে সাধারণত যাদের বোঝায় তাদের খুব একটা দেখা মেলে না এই তীর্থনে। যারা একটু ‘হটকে’ ট্যুরিস্ট তারাই আসে এই তীর্থনে। তিনটি তরুণ-তরুণীকে অনেক রাত পর্যন্ত বসে থাকতে দেখলাম তীর্থনের ধারে। ঠান্ডা জব্বর। তবে তার মোকাবিলায় জ্বালানো হয়েছিল আগুন।

অল্পচেনা হিমাচলে/৪

শম্ভু সেন বসে আছি হাটুমাতার মন্দিরের চাতালে। হাটুমাতা মা দুর্গারই এক রূপ। সম্পূর্ণ কাঠের মন্দিরটি হিমাচলী স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন। এই পাহাড়চুড়োয় মা কত দিন ধরে বিরাজ করছেন তা কেউই বলতে পারেন না। তবে বর্তমানের কাঠের মন্দিরটি একেবারেই নতুন। তেরো বছর আগে যখন এসেছিলাম তখন মন্দির নির্মাণের কাজ সবে শুরু হয়েছে। তখন দেখে বুঝতে পারিনি

অল্পচেনা হিমাচলে/৩

তেরো বছর পরে এ পথে আবার। এ পথেই তো? নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।  একটু খোলসা করেই বলি। সালটা ছিল ২০১১। সময়টাও ছিল পুজোর পরে পরেই। নিজেই হিমাচলের ট্যুর প্রোগ্রাম বানিয়েছিলাম। পনেরো দিনের ট্যুর। সেই ট্যুরে প্রথম গন্তব্য ছিল শিমলা। দ্বিতীয় গন্তব্য খাড়াপত্থর। শিমলা আগে বিশদে ঘুরেছি। তাই মাত্র একরাত্রি বাস সেখানে। দ্বিতীয় দিন

শতদ্রু

অল্পচেনা হিমাচলে/২

শতদ্রু পেরিয়ে ঢুকে পড়লাম তত্তাপানিতে। শিমলা জেলা ছেড়ে মান্ডি জেলায়। একটু এগোতেই বাঁদিকে নজরে পড়ল ‘হট স্প্রিং’-এর সাইনবোর্ড। আমাদের ট্র্যাভেলার বাস থেমে গেল। একে একে সবাই বাস থেকে নেমে বাঁধানো উতরাই পথে সামান্য এগিয়ে গেলাম। একটু গিয়েই থমকে গেলাম। কোথায় ‘হট স্প্রিং’? এ তো ‘হোটেল হট স্প্রিং’। হতেই পারে। তত্তাপানির খ্যাতি তার উষ্ণ প্রস্রবণের জন্য।

Scroll to Top