ভ্রমণকথা

অল্পচেনা হিমাচলে/১

পৌনে ২টো নাগাদ পেরিয়ে গেলাম পানিপথ। সেই পানিপথ, যেখানে যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদিকে পরাস্ত করে এ দেশে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাবর। সেই পানিপথ, যেখানে হঠাৎ বনে যাওয়া দিল্লিরাজ হিমুকে হারিয়ে সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধার করেছিলেন আকবর।

বেলুর-হালেবিডু-বেলাওয়াড়ি: পাথর যেখানে কথা বলে

শ্রয়ণ সেন বৃষ্টি ভেজা মোরামের রাস্তা দিয়ে এগিয়ে চলেছি। গ্রামটার নাম বেলাওয়াড়ি। গ্রামের একদম শেষপ্রান্তে বীরনারায়ণ মন্দির। পেছনে পাহারাদারের মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে পশ্চিমঘাটের সুবিশাল পর্বতমালা। পাহাড়ের মাথাগুলো বৃষ্টির মেঘে ঢাকা। গাড়ি থেকে নামতেই গ্রামবাসীদের কৌতূহলী চোখ নজর কাড়ল। আমাদের তিন জনকে ওঁরা এমন ভাবে দেখছেন যেন মনে হচ্ছে বাইরের পর্যটকদের ওঁরা কখনও দেখেননি। আন্দাজটা যে

কয়েকটা দিন কাটিয়ে আসুন খাঁড়ি-লেক-নদী-সমুদ্র-পাহাড়-জঙ্গলের রাজ্য কেরলে

সুদীপ মাইতি কোচি বিমানবন্দরে নেমে গাড়িতে উঠতে যাব, গাড়ির গায়ে লেখাটায় চোখটা আটকে গেল। আমাদের ন’ জনের জন্য একটা ভ্যান ঠিক করে রেখেছিল আমাদের ট্যুরিস্ট সংস্থা। ড্রাইভারের নাম বিষ্ণু। কথা আগের দিনই হয়েছিল। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে কাছাকাছি একটা হোটেলে পৌঁছে আগে পেটপুজো করে নেওয়া হল। তার পর সোজা কোচির বিখ্যাত ব্যাকওয়াটারের দিকে রওনা। ব্যাকওয়াটারের পথে যেতে

Kanchenjunga, Dhotrey

ধোতরে বনবস্তিতে কাঞ্চনজঙ্ঘার সান্নিধ্যে

সায়ন্তন ধর ভিউ পয়েন্টটা ঠিক কোথায় বলুন তো? ঠিক এই কথাটা শুনেই যেন ঘুম ভেঙে গেল। প্রতি দিনের মতো ফেসবুকটা খুলে একটু দেখে নিচ্ছি। এমন সময় চোখে পড়ল সদ্যপরিচিত শ্রয়ণদাদার একটা পোস্ট। ও ছোট্ট সফরে ছুঁয়ে যাবে সিটং আর ধোতরে। ধোতরে আমার বড়ো প্রিয় জায়গা। এর আগে ধোতরের সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয়েছিল টুমলিং-এ গিয়ে। প্রাক-বর্ষায়

মন্দিরনগরী মল্লভূমে ইতিহাসের হাতছানি

মুকুট তপাদার মল্লভূম বা বিষ্ণুপুরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বহু মন্দির। অলিগলি ছেয়ে আছে অতীতের বেশ কিছু প্রাচীন ভাঙা মন্দিরে। সেই ঐতিহাসিক বিষ্ণুপুরের কিছু ঝলক এই মন্দিরগুলোর মধ্যে আজও লুকিয়ে রয়েছে। আমাদের বাংলায় শিল্পের যে বিশাল ভাণ্ডার আছে, সে সব শিল্পের বেশ কিছু নিদর্শন আজ মাটিতে ধ্বংসের মুখে দাড়িয়ে। বাংলার টেরাকোটা শিল্প এ রকমই এক নিদর্শন। ‘টেরা’

view from Kolukkumalai hill top

ভগবানের আপন দেশে ৮ / কলুক্কুমালাই পাহাড়শীর্ষে

শম্ভু সেন কেরলের মতো উপকূলবর্তী রাজ্যে আট হাজারি শৃঙ্গ, ভাবা যায়? না, আট হাজারি মানে আট হাজার মিটার নয়, আট হাজার ফুট। কিন্তু তা-ই বা কম কী! ভারতের হিল স্টেশন বললেই তো দার্জিলিং, শিমলা, মুসৌরি, নৈনিতাল, মানালির কথা মনে পড়ে। ক’ জন আর দক্ষিণ ভারতের দিকে নজর দেয়। আসলে এখানে যে বরফ পড়ে না। অথচ

view from Top Station

ভগবানের আপন দেশে ৭ / ঘুরে এলাম টপ স্টেশন  

শম্ভু সেন একুশ বছর আগেকার আপশোশটা মিটিয়ে নিলাম এ বার, এই মুন্নারে এসে। ব্যাপারটা খোলসা করেই বলি। সে বার মুন্নারে তিনটে দিন ছিলাম। ফলে সব ক’টা দ্রষ্টব্যই আমাদের দেখা হয়েছিল। এমনকি, যে দ্রষ্টব্য তখন তেমন জনপ্রিয় ছিল না, তাও আমাদের ভ্রমণসূচি থেকে বাদ থাকেনি। কিন্তু যেতে পারিনি টপ স্টেশনে, কেরল-তামিলনাড়ুর সীমানায় মুন্নারের অন্যতম সুন্দর ভিউপয়েন্টে।

Cheeyappara Waterfalls

ভগবানের আপন দেশে ৬ / পৌঁছে গেলাম মেঘে ঢাকা মুন্নারে  

শম্ভু সেন সেই পথে আবার। আবার ২১ বছর পরে। তফাৎ শুধু একটাই। সে বার রওনা হয়েছিলাম এর্নাকুলাম শহরের একেবারে কেন্দ্রস্থল থেকে, আর এ বার কোচি শহরতলির পঞ্চায়েত এলাকা আরুর থেকে। তখনও সকালের আলো ভালো করে ফোটেনি। আসলে পুবের সঙ্গে পশ্চিমের এটাই বড়ো তফাৎ। সকাল ৭টাতেও আলো সে ভাবে ফোটে না। সারথি রতীশের ভরসায় এগিয়ে চললাম

Chinese Fishing Nets

ভগবানের আপন দেশে ৫/ সন্ধ্যা কাটল মাত্তানচেরি, ফোর্ট কোচিনে

শম্ভু সেন কোচির দ্রষ্টব্য বলতেই বোঝায় বেম্বানাড় হ্রদের ধারে চাইনিজ ফিশিং নেট, মাত্তানচেরি প্রাসাদ, সিনাগগ, সেন্ট ফ্রান্সিস চার্চ। কোচি এলেই এগুলো দেখা চাই-ই। আমার তো কোচি আসা কম বার হল না, কিন্তু কোনো বারই এই দ্রষ্টব্যগুলো বাদ যায়নি। এ বারও তার অন্যথা হল না। দুপুরে একটা ছোট্ট ভাতঘুম (যদিও দুপুরের আহারে ভাত ছিল না) দিয়ে

Scroll to Top