গোলাপি শাপলা ফুলে বছরের দু’মাস জীবন্ত হয়ে ওঠে কেরলের এই অখ্যাত গ্রাম

ভ্রমণ অনলাইন ডেস্ক: পাহাড়, সমুদ্র, জঙ্গলের জন্য পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় কেরল। সেই রাজ্যেই রয়েছে এমন একটি জায়গা যেটা কোনো অংশে রূপকথার থেকে কম নয়। সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে মনে হয় যেন রূপকথার গোলাপি নদী নেমে এসেছে বাস্তবে।

কেরলের কুট্টানাড় অঞ্চল এমনিতেই রাজ্যের শস্যভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত। দিগন্তের পর দিগন্ত জুড়ে ধানচাষ চোখ কেড়ে নেয় সাধারণ পর্যটকদের। সেই কুট্টানাড় অঞ্চলেই রয়েছে একটি ছোট্ট অফবিট গ্রাম, নাম মালারিক্কাল। কোট্টায়াম জেলার অন্তর্গত এই গ্রামটি বছরের ওই দু’ মাস অন্য রকম রূপ নিয়ে নেয়।

স্থানীয় লোকেরা এই ফুলকে মালায়ালামে আমবাল বলেন। গ্রামে ৬০০-৭০০ একর ধানের খেত রয়েছে, সেখানে ফোটে এই গোলাপি শাপলা (ওয়াটার লিলি) ফুল। ফুলের মরশুমে বহু মানুষ এখানে ভিড় করে আসেন। নৌকায় চেপে ছবিও তোলেন। জনপ্রতি ১০০ টাকায় নৌকায় চাপিয়ে পর্যটকদের ওই লিলি ফুলের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এই জমিগুলি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। সূর্যোদয়ের সময় লিলি ফুট সব থেকে বেশি ফোটে। তাই তখনই সেখানে যাওয়া বাঞ্ছনীয়।

কোচি, মুন্নার, পেরিয়ারের কেরলে মালারিক্কলা সম্পূর্ণ ওঅফবিট একটা গন্তব্য। সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরে যদি কেরল ভ্রমণে যান, তা হলে একবার ঘুরে আসতে পারেন এই গ্রাম থেকে।

কী ভাবে যাবেন

ট্রেনে কোট্টায়াম পৌঁছোতে হবে আপনাকে। সেখানে একটা রাত কাটিয়ে দ্বিতীয় দিন একদম ভোরে চলে যান মালারিক্কাল। দূরত্ব মাত্র ৭ কিলোমিটার। এ ছাড়া কোচি থেকেও আসতে পারেন। সে ক্ষেত্রে দূরত্ব হবে ৬০ কিলোমিটার। আলেপ্পি থেকে দূরত্ব হবে ৪৫ কিলোমিটার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *