কোচবিহারের রাসমেলাকে সামনে রেখে প্রচার শুরু পশ্চিমবঙ্গ পর্যটনের

ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: ২০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন কোচবিহার রাসমেলার গৌরবকে প্রচারে এনে পর্যটন-মানচিত্রে কোচবিহারের স্থান পাকা করতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন৷ আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে রাসমেলা শুরু। ২৬ নভেম্বর মদনমোহন বাড়িতে রাসচক্র ঘুরিয়ে রাস উৎসব হবে।

কালীপুজো, দুর্গাপুজো বা একাধিক শক্তিপীঠকে সামনে রেখে ‘ব্র্যান্ডিং’ করে রাজ্য পর্যটন দফতর। এ বার সেই তালিকায় যোগ হল রাসমেলাও, যেটি গঙ্গাসাগর মেলার পরে, রাজ্যের অন্যতম বড়ো মেলা। পর্যটন দফতরের এক যুগ্ম সচিব সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘রাসমেলাকে ঘিরে কোচবিহারের ইতিহাস, রাজকাহিনি, নির্দশন ঘুরে দেখার সুযোগ থাকে। সে ভাবেই কোচবিহারকে পর্যটন মানচিত্রে জোরদার ভাবে তুলে ধরার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বাইরের রাজ্যের মানুষের কাছে বিষয়টি তুলে ধরাই আসল উদ্দেশ্য।’’

ইতিমধ্যে ওই রাসমেলা নিয়ে তথ্যচিত্র করার পরিকল্পনা করেছে কোচবিহার পুরসভা। রাসমেলার ইউনেস্কোর ‘হেরিটেজ’ স্বীকৃতি আদায়ের পরিকল্পনা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে পুরসভা। তার আবেদনও করা হয়েছে। বর্তমানে রাসমেলা পরিচালনা করছেন কোচবিহার পুর কর্তৃপক্ষ। ১৯০৭ সালে তদানীন্তন টাউন কমিটি রাসমেলা পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। ১৯১২ সালে রাসমেলার শতবর্ষ পূর্ণ হয়। ২০১২ সালে দুশো বছর পূর্তিও ঘটা করে পালন করা হয়েছিল। কোচবিহারের মহারাজার নতুন প্রাসাদে প্রবেশ উপলক্ষে ১৮১২ সালে বিরাট মেলা বসে। সে সূত্রেই ২০১২ সালে কোচবিহার রাসমেলার দু’শোতম বর্ষপূর্তি হয়েছে।

এক সময় অবিভক্ত বাংলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রেনে বহু মানুষ কোচবিহারে আসতেন। রাজ প্রশাসনের তরফে রাসমেলার সময় বিশেষ ট্রেন চালানো হত। বর্তমানেও রাসমেলায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা আসেন। পদ্মার নোনা ইলিশ, ঢাকার জামদানি, ওপার বাংলার খেজুর গুড় মেলাতে মেলে। উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম বৃহত্তম এই মেলাকে সামনে রেখেই তাই পর্যটন প্রসার, প্রচারে নেমেছে পর্যটন দফতর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *