শ্রয়ণ সেন
বিশাখাপত্তনমের উত্তরে ভিমুনিপত্তনম তথা ভিমলি এবং দক্ষিণে রেভুপালভারেম। মোটামুটি ১০০ কিলোমিটার বিস্তৃত এই অঞ্চলের সঙ্গে পশ্চিম উপকূলের অদ্ভুত এক মিল আছে। পূর্ব উপকূলে শুধুমাত্র এই ১০০ কিলোমিটার অঞ্চলেই পাহাড় এবং সমুদ্র একদম গায়ে লেগে থাকে। মনে হয় যেন পাহাড়ের গায় হেলান দিয়ে রয়েছে সমুদ্র।
ঠিক সেই কারণেই এই অঞ্চলে যে সমুদ্রসৈকতগুলো আছে, তাদের সৌন্দর্য ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। এর মধ্যে কয়েকটি যেমন পর্যটকদের কাছে অতি পরিচিত, তেমনই বেশ কিছু সৈকত আছে যেগুলিতে স্থানীয়রা ছাড়া কারও পা পড়ে না। তেমনই এক সৈকত হল তান্তাডি সৈকত।
নৈসর্গিক শোভা এবং অসাধারণ পটভুমির মধ্যে অবস্থিত সুন্দর এই সৈকতটি বেশ অনেকটাই দীর্ঘ। তবে তার প্রধান বৈশিষ্ট্য হল দুটি পাহাড়ের মাঝে এক চিলতে সমুদ্র। পাহাড়গুলো ছোটো। মনে হচ্ছে যেন নিজেরাই ইচ্ছে করে সমুদ্রে গিয়ে ডুব দিয়েছে। ওই পাহাড়ের ওপর থেকে নীচের সৈকতটাকে অসাধারণ লাগে। ছবি-শিকারিদের আদর্শ জায়গা।
পাথরে ধাক্কা খেয়ে বিশাল আকার নেয় বালিয়াড়িতে আছড়ে পড়া ঢেউগুলি। পাহাড়ের ওপর থেকে সমুদ্র দেখতে দারুণ লাগে ঠিকই, কিন্তু সাবধানতাও অবলম্বন করা বাঞ্ছনীয়। কারণ এক মুহূর্তের অসতর্কতায় ঘটে যেতে পারে বিরাট অঘটন। সৈকত ধরে পাঁচশো মিটার উত্তর দিকে হাঁটলে আরও একটা পাহাড় পড়বে। এই পাহাড়টির গঠনশৈলী রীতিমতো চোখধাঁধানো। সব মিলিয়ে কয়েকটা ঘণ্টা এই সৈকতে কাটাতে পারলে আপনার দারুণ লাগবেই।
কী ভাবে যাবেন এবং কোথায় থাকবেন?
ভাইজ্যাগ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরের এই সৈকতে যাওয়ার জন্য ভাড়া করা নিজস্ব গাড়ির ওপরেই ভরসা করতে হবে আপনাকে। কারণ ভাইজ্যাগে সরকারি বাস পরিষেবা খুব ভালো হলেও এই সৈকতে বাস আসে না। তান্তাডিতে রাত্রিবাসের কোনো ভালো ব্যবস্থা নেই। তাই ভাইজ্যাগেই আপনাকে রাত্রিবাস করতে হবে।