ভ্রমণঅনলাইনডেস্ক: এ বার থেকে আরাকু ভ্যালির জঙ্গলে নৈশবিহার করতে পারবেন পর্যটকরা। এমনই ব্যবস্থা করতে চলেছে অন্ধ্রপ্রদেশ ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (এপিটিডিসি)।পর্যটকরা হেঁটে এই জঙ্গলের সান্নিধ্য পেতে পারেন কিংবা বন দফতরের জিপেও এই বিহার করতে পারেন।
এই প্রথম আরাকুর জঙ্গল নৈশভ্রমণের খুলে দেওয়া হচ্ছে। ট্রেকারদের কাছে স্বর্গরাজ্য এই জঙ্গল-পাহাড়। পর্যটকরা যাতে নিরাপদে এই নৈশবিহার করতে পারেন, তার জন্য পর্যটন ও বন দফতরের প্রতিনিধিরা তাঁদের সঙ্গে থাকবেন। জঙ্গলে নৈশবিহারের জন্য জিপেরও ব্যবস্থা থাকবে।
আরও পড়ুন: মধুচন্দ্রিমায় গন্তব্য: নির্জনতা উপভোগ করতে চান? চলুন পাঁচমাড়ী
আরাকুর জঙ্গলে নৈশবিহারের জন্য যে রুট বেছে নেওয়া হয়েছে তা হল ভাইজাগ তথা বিশাখাপতনম থেকে সুনকরামেত্তা হয়ে আরাকু যাওয়ার শর্ট-কাট পথ।
শৈলশহর আরাকুকে অন্ধ্রপ্রদেশের উটি বলা হয়। আরাকু ভ্যালি একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র, বিশেষ করে বাঙালিদের কাছে। এর সবুজ পাহাড়, বিস্তীর্ণ জঙ্গল, চঞ্চলা নদী, আর অফুরন্ত নির্মল হাওয়া সব সময়েই আকর্ষণ করে পর্যটকদের। অক্টোবর থেকে মার্চ, আরাকু বেড়ানোর আদর্শ সময়।

বিশাখাপতনম-কিরনডুল রেলপথে আরাকু। বিশাখাপতনম থেকে সকাল ৬-৫০ মিনিটের কিরনডুল প্যাসেঞ্জার আরাকু পৌঁছে দেয় সকাল ১০-৫০-এ। ভারতের সব বড়ো জায়গার সঙ্গে বিশাখাপতনম ট্রেন ও বিমানপথে যুক্ত। পর্যটকরা বিশাখাপতনমে পৌঁছে সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে বা বাসেও আরাকু আসতে পারেন।
গাড়িতে আরাকু গেলে যাওয়ার পথেই দেখে নেওয়া যায় মন্দির ও ঝরনার জন্য বিখ্যাত পুণ্যগিরি, পাতালরাজ্য বোরা গুহা, পাহাড়ি শহর অনন্তগিরি ঘুরে নেওয়া যায়।