ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: পুর্বস্থলীর চুপি পাখিরালয় নিয়ে বড়োসড়ো পরিকল্পনা প্রশাসনের। শুধু শীতের মরশুমে নয়, সারা বছর যাতে সেখানে পর্যটকের আনাগোনা থাকে, সে বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছে জেলা প্রশাসন। উল্লেখ্য, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন মানচিত্রে অন্যতম পূর্বস্থলী পাখিরালয়। শীত পড়তেই এখানে শুরু হয় পর্যটকদের আনাগোনা।
সম্প্রতি চুপি পরিদর্শনে আসেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাঝি। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সুনীল কুমার মণ্ডল। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, তারা এখানকার পর্যটনকে বৃহৎ আকার দিতে চাইছেন। পাশাপশি সাধারণ মানুষ বা পর্যটকরা এখানে এসে সমস্ত রকম সুবিধা পায় তার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে দেখা যায় পূর্বস্থলীর ছাড়িগঙ্গা কচুরিপানাতে ভরে গিয়েছে। নিজেদের উদ্যোগে সেই পানা সরিয়ে রাস্তা তৈরি করতে হচ্ছিল নৌকার মাঝিদেরই। জেলাশাসক মাঝিদের এই সমস্যার উপরেও দৃষ্টিপাত করেন। সেই সঙ্গে পূর্বস্থলী থেকে চুপি যাওয়ার রাস্তাটি মেরামত করা হবে বলেও আশ্বস্ত করা হয়।
পূর্বস্থলীর চুপি পাখিরালয় মূলত পরিচিত চুপির চর হিসেবে। সেখানে শীতকালে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়। বছরের অন্যান্য সময় চোখে পড়ে না পর্যটকদের সেই ভিড়। গ্রাম্য পরিবেশে, জলাশয়ের ধারে অবস্থিত এই পর্যটনকেন্দ্রটিকে তাই নতুন ভাবে গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। এর পাখিরালয়ের সঙ্গে জড়িত স্থানীয় মানুষদের অর্থনীতিকে আরও চাঙ্গা করবে বলেও মনে করা হচ্ছে।