পর্যটন দফতর-পুরসভার যৌথ উদ্যোগ, কলকাতাতেও এ বার হোমস্টে

কলকাতা: গত কয়েক বছরে হোমস্টে ব্যাপারটা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটা প্রথমে উত্তরবঙ্গের পাহাড় এবং ডুয়ার্স অঞ্চল দিয়ে শুরু হলেও তা ধীরে ধীরে রাজ্যের অন্য প্রান্তেও ছড়িয়ে পড়েছে। এ বার কলকাতাতেও হোমস্টে চালু করার জন্য উৎসাহ দিতে পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্যের পর্যটন দফতর ও কলকাতা পুরসভা। সেই উদ্যোগকে সামনে রেখেই পর্যটন দফতর ও পুরসভার বৈঠকে তৈরি হয়েছে বিশেষ গাইডলাইন।

হোটেল এবং রিসর্টের থেকে হোমস্টেতে থাকার মস্ত বড়ো সুবিধা হল যে বাড়ির মালিকের তত্ত্বাবধানেই রাত্রিবাস করেন ভ্রামণিকরা। ফলে নিরাপত্তা অনেকটাই নিশ্চিত থাকে। উল্টো দিকে, আয়ের বিকল্প রাস্তা খুলে যায় বাড়ির মালিকের। তৈরি হয় কর্মসংস্থানও।

কলকাতাতেও রয়েছে এমন সুবিধা। বাইরে থেকে এসে অনেকেই হোটেলের পরিবর্তে ফ্ল্যাট বা বাড়িতে চুক্তি ভিত্তিতে থাকেন। কিন্তু খাতায়-কলমে হোমস্টে হিসেবে নথিভুক্ত করার চল ছিল না এত দিন। এ বার সরকারি ভাবে মহানগরে হোমস্টে চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। সঙ্গে কলকাতা পুরসভা।

সম্প্রতি বিষয়টি জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার চাইছে কলকাতাতেও হোমস্টে তৈরি করতে। পর্যটন দফতর ভাতা দিচ্ছে এই কারণে। হোমস্টে যদি ঠিক মতো করা হয়, ওয়েস্টার্ন ওয়াশরুম, টিভি থাকে, সাজানো-গোছানো সুযোগসুবিধা থাকে তা হলে ১ লক্ষ টাকা তাঁদের একটা ইনসেনটিভ দেওয়া হবে। এটা রোটেশনে হবে। সরকারের ট্যাক্স বাড়লে সরকার আবার মানুষের জন্য ততটা কাজ করতে পারবে”।

ফিরহাদের এই কথার পরেই তৎপরতা শুরু হয়। প্রস্তাবিত হোমস্টের জন্য গাইডলাইনও তৈরি হয়েছে। এ বার কলকাতায় সরকারি ভাবে নথিভুক্ত করা হবে হোমস্টে। গাইডলাইন অনুযায়ী, ন্যূনতম একটি ঘর বা সর্বোচ্চ ৬টি ঘর থাকলে হোমস্টে-র ব্যবস্থা করা যাবে। থাকতে হবে উপযুক্ত শৌচাগার। পশ্চিমী মডেলের শৌচাগারই অগ্রাধিকার পাবে। ঘরে থাকতে হবে এসি। সেই সঙ্গে বাড়ির মালিকের পরিবারের একজনকে বাড়িতে থাকতেই হবে।

অন্য দিকে, কেউ বাড়ি বা ফ্ল্যাটে হোমস্টে চালু করতে চাইলে পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। পুরসভা সেই বাড়ি বা ফ্ল্যাটগুলিকে চিহ্নিত করে নথিভুক্ত করবে। যাঁরা বাড়ি ভাড়া দেন তাঁদের হোমস্টে মালিক হিসেবে দেওয়া হবে অতিথি অভ্যর্থনার ট্রেনিং।

আরও পড়তে পারেন

ভ্রামণিকদের কাছে কেন অনন্য কেরল? রইল একাধিক কারণ

চোখধাঁধানো স্থাপত্যের প্রাসাদ: মাইসোর প্যালেস 

ওড়িশায় ১৩টি নতুন পরিবেশবান্ধব পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা

পুজোয় অদূরে ২ / রাঁচি-ম্যাকলাস্কিগঞ্জ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *