ভুবনেশ্বর: পরিবেশবান্ধব পর্যটনের প্রসারে ১৩টি নতুন ইকো-পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওড়িশা সরকার। এর মধ্যে দশটা কেন্দ্রে রাত্রিবাসের বন্দোবস্ত থাকবে। বাকি তিনটে তৈরি করা হবে শুধুমাত্র দিনের ভ্রমণের জন্য।
এই পরিবেশবান্ধব পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার পেছনে অন্য একটি উদ্দেশ্যও ওড়িশা সরকারের রয়েছে। তা হল স্থানীয় কর্মসংস্থান। অতিথি আপ্যায়ন এবং কেন্দ্রগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্থানীয়দের দায়িত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। এর ফলে স্থানীয় ঐতিহ্যেরও প্রসার ঘটবে। ভ্রামণিকরা সেই সব ঐতিহ্যের ব্যাপারে অবগত হতে পারবেন।
পরিবেশকে রক্ষা করা হলে তা সবার জন্যই ফলপ্রসূ হয়। পরিবেশবান্ধব পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তুলে সেটাই করতে চাইছে ওড়িশা সরকার। পাশাপাশি স্থানীয় সম্প্রদায়কে নিয়ে ইকো-ট্যুরিজ্ম সোসাইটি গড়ে তোলারও চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
![](https://www.bhramononline.com/wp-content/uploads/2022/08/odisha-1024x577.jpg)
নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী যে যে জায়গায় এই পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সেগুলি হল কোরাপুটের কোটিয়া এবং দেওমালিতে, কালাহান্ডির জাকামে, সিমলিপালের নাওয়ানাতে, ফুলবনির সিলভিকালচার গার্ডেনে, পুরীর অষ্টরঙ্গতে, রাইরঙ্গপুরের খদাখই ড্যামে, গঞ্জামের মহেন্দ্রগিরিতে, কেওনঝড়ের কাঞ্জিপানি এবং হডাগড় ড্যামে।
এখনও পর্যন্ত ওড়িশায় ৫০টি ইকো পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে। এর সঙ্গে আরও ১৩টি যোগ হলে মোট পর্যটনকেন্দ্রের সংখ্যা বেড়ে হবে ৬৩। এই সব কেন্দ্রে বেড়াতে আসা ভ্রামণিকদের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে। ওড়িশা সরকারের আশা, আগামী দিনে এই সব কেন্দ্রে পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়ানো সম্ভব হবে।
আরও পড়তে পারেন
পুজোয় অদূরে ২ / রাঁচি-ম্যাকলাস্কিগঞ্জ
এ বার থেকে লিফ্ট চড়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে ইলোরার কৈলাশ গুহার দোতলায়
পূর্ব উপকূলের অল্প-চেনা সৈকত: মাদকতায় ভরা অপরূপা বাগদা