ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: ঘরের কাছেই জঙ্গল, পাহাড় ও নদীর কাছাকাছি হওয়ার সুযোগ রয়েছে আপনাদের সামনে। গ্রীষ্ম হোক বা বর্ষা বা শীত। এক এক ঋতুর এক এক বৈশিষ্ট্য। সুযোগ পেলে তাই ঘুরে আসুন ওড়িশার সাতকোশিয়া।
গিরিসংকটের মধ্য দিয়ে মহানদী সাতক্রোশ পথ এসেছে বলেই জায়গার নাম হয়েছে সাতকোশিয়া। বর্ষায় অন্য রূপে সেজে ওঠে এই অরণ্যাঞ্চল। সিমলিপালের পর ৮০০ বর্গকিলোমিটারের এই ঘন বনাঞ্চল ওড়িশার দ্বিতীয় বৃহত্তম টাইগার রিজার্ভ। জঙ্গল, পাহাড় ও নদী মিলিত জায়গা এই সাতকোশিয়া।
মহানদীর কোলঘেঁষা এই সাতকোশিয়া পক্ষীপ্রেমীদের জন্য স্বর্গোদ্যান। যে হেতু এটি একটি টাইগার রিজার্ভ, তাই বনভূমি জুড়ে রয়েছে বাঘ, হরিণ, হাতি, বাইসন, লেপার্ড, ভালুক ইত্যাদির অবাধ বিচরণ। নাম না জানা বহু রঙবেরঙের ফুলেরও দেখা মেলে এখানে।
পাহাড়ের মাথা থেকে সকালে মহানদীর জলের উপর সূর্যকিরণ আর গোটা উপত্যকা জুড়ে কুয়াশা ও সূর্যের আলোর খেলায় মন জুড়ে যাবে এখানে। জায়ান্ট স্কুইরেল, ওরিয়েন্টাল ব্লু ম্যাগপাই বা প্যারাডাইস ফ্লাইক্যাচারের দেখা মেলে। ক্যাম্পে বোটিং করতে করতে কুমিরেরও দেখা মিলতে পারে এখানে। কিংবা পাথরের উপর নিশ্চুপে কচ্ছপের রোদ পোহানোও দেখা যেতে পারে। এ ছাড়াও মাছরাঙা আর রুডিশেলের ডাক শুনতে পারবেন এখানে।
কী ভাবে যাবেন
হাওড়া থেকে সম্বলপুর এক্সপ্রেসে চেপে পৌঁছে যান অঙ্গুল। অঙ্গুল থেকে গাড়ি নিয়ে পৌঁছে যান সাতকোশিয়া। সাতকোশিয়ার জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে গাড়ি ভাড়া করে নিতে পারেন অঙ্গুল থেকেই। কিন্তু হাওড়া থেকে অঙ্গুলের ট্রেন নিয়মিত নয়। সে কারণে কটক পৌঁছে যান। কটক রেলস্টেশন ১৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলে পৌঁছে যাবেন সাতকোশিয়া। ঘণ্টা তিনেক সময় লাগবে এই পথে।
কোথায় থাকবেন
সাতকোশিয়ার বিভিন্ন দিকে ওড়িশা ইকো ট্যুরিজ্মের নেচার ক্যাম্প রয়েছে। অনলাইনে বুকিংয়ের জন্য লগইন করতে পারেন www.ecotourodisha.com। এ ছাড়া এই অঞ্চলে একটি সুন্দর বেসরকারি রিসর্ট রয়েছে। সেখানে রাত্রিবাসের জন্য ভ্রমণ সংস্থা Travelism-এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। যোগাযোগের নম্বর 9903763296, 8276008189।