পূর্ব উপকূলের অল্প-চেনা সৈকত: মাদকতায় ভরা অপরূপা বাগদা

নির্জন অপরূপ এক সমুদ্রসৈকত। দিগন্ত বিস্তৃত সোনালি বালিরাশি, তার এক দিকে বঙ্গোপসাগর আর অন্য দিকে ঘন ঝাউবন। কার্যত জনমানবহীন এই সৈকতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা আছে কিছু বসার জায়গাও। এখানে শান্তিতে বসে কান পাতলেই শোনা যায় সমুদ্রের গান আর ঝাউবনের কলতান। প্রকৃতির কোলে এ যেন এক অদ্ভুত মাদকতা নিয়ে আসবে।

এই হল বাগদা সৈকত। ওড়িশার নতুন অফবিট গন্তব্য। কলকাতার কত কাছে, অথচ এখনও শহুরে বাঁধা গতের পর্যটকদের পা পড়েনি মাদকতা ছড়ানো এই সৈকতে। আর তাই এখানে পৌঁছোলেই অসাধারণ একটা শান্তির অনুভূতি আপনাকে গ্রাস করবেই।

এখানে থাকার ব্যবস্থা মূলত টেন্ট হলেও এখন কটেজও তৈরি করেছে কিছু রিসর্ট। সেই টেন্ট হোক বা কটেজ, তার মধ্যে থেকেই প্রকৃতির মনোরম শোভা উপভোগ করতে পারবেন।

সমুদ্র খুব বেশি উত্তাল না হলে স্নানটা সেরে নিতে পারেন। সেই সঙ্গে সুস্বাদু খাওয়াদাওয়া তো আছেই। সূর্যোদয়ের মুহূর্তে এক অন্য রকম মাদকতা। সোনালি সৈকতে লাল কাঁকড়ার খেলে বেড়ানো আপনাকে এক অন্য জগতে নিয়ে যাবেই।সপ্তাহান্তের ছোট্টো ছুটি কাটানোর জন্য বাগদা সৈকত কিন্তু অত্যন্ত আদর্শ একটা জায়গা।

কী ভাবে যাবেন

যে কোনো ট্রেনে বালেশ্বর পৌঁছে যান। এমনিতে হাওড়া, শালিমার এবং সাঁতরাগাছি থেকে বালেশ্বরের অনেক ট্রেন আছে। তবে চেষ্টা করুন ১২৮২১ আপ শালিমার-পুরী ধৌলি এক্সপ্রেস ধরতে। ট্রেনটি শালিমার থেকে রোজ সকাল ৯:১৫-এ ছেড়ে বাগদা পৌঁছে যায় দুপুর পৌনে একটায়। ট্রেনের বিস্তারিত সময়ের জন্য দেখে নিন erail.in।

বালেশ্বর থেকে গাড়ি, অটো, টাটা ম্যাজিক পেয়ে যাবেন বাগদার জন্য। স্টেশন থেকে বাগদা সৈকত ৩০ কিলোমিটার, যেতে লাগে এক ঘণ্টা।

কোথায় থাকবেন

রাত্রিবাসের জন্য বাগদায় বেশ কিছু রিসর্ট তথা ক্যাম্প রয়েছে। আগে সবগুলোতেই শুধুমাত্র টেন্টের ব্যবস্থা থাকলেও বর্তমানে কিছু কিছু রিসর্টে কটেজের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এখানে থাকতে হলে আপনি যোগাযোগ করতে পারেন ভ্রমণ সংস্থা Travelism-এর সঙ্গে। যোগাযোগ ৮২৭৬০০৮১৮৯, ৯৯০৩৭৬৩২৯৬।

আরও পড়তে পারেন

পূর্ব উপকূলের অল্প-চেনা সৈকত: সূর্যলঙ্কা

পুজোয় অদূরে ১ / ঘাটশিলা

গোয়ার জলপ্রপাত এবং তার সন্নিহিত অঞ্চলে সঠিক পর্যটন-পরিকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ

ভোপাল-জব্বলপুর জনশতাব্দীতেও ভিস্টাডোম, কোন কোন ট্রেনে পেতে পারেন এই কোচ

চলুন ত্রিযুগীনারায়ণ, রাত কাটান জিএমভিএন পর্যটক আবাসে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *