ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: অন্যান্য বার সাধারণত এত আগে বরফ পড়ে না। কিন্তু এ বার সেটা হল। বুধবার প্রচুর তুষারপাত হল সিকিমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে। পাশাপাশি সান্দাকফু-সহ সিঙ্গালিলা অঞ্চলের বেশিরভাগ জায়গাতেই বরফ পড়েছে। এমনকি কিছুটা নীচের সীমানা এলাকাও বরফের চাদরে মুড়েছে। এই পরিস্থিতিতে এই সব অঞ্চলের পর্যটন ব্যবসায়ীরা মনে করছেন যে বড়োদিনে পর্যটকদের ঢল নামবে।
বুধবার দুপুরে সিকিমের লাচেন, লাচুং, ছাঙ্গু-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় তুষারপাত হয় ব্যাপক হারে। এমনকি দক্ষিণ সিকিমের রাবাংলাতেও তুষারপাত হয়। পশ্চিম সিকিমের পেলিং শিলাবৃষ্টির কারণে সাদা হয়ে যায়। একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের উঁচু এলাকাগুলিতেও শুরু হয় তুষারপাত।
জিটিএ’র পর্যটন দফতরের মুখপাত্র বিনয় মোক্তান জানান, “সান্দাকফু-সহ আশাপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় তুষারপাত হয়েছে। সান্দাকফুতে ডিসেম্বরে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তুষারপাতের ঘটনা ঘটল। আপাতত গোটা পাহাড়ে কনকনে ঠাণ্ডা। রীতিমত জুবুথুবু অবস্থা।”
উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে তিস্তায় ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর উত্তর সিকিমের পর্যটক পুরো ভেঙে পড়েছে। এখন লাচুং-ইয়ুমথাংয়ের রাস্তা খুলে গেলেও চুংথাং থেকে লাচেনের রাস্তা বন্ধই রয়েছে। এর প্রভাবে শীতের পর্যটন পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে উত্তর সিকিমে। বুকিং নেই কোনো।
বুধবারের তুষারপাতের পর পর্যটন ব্যবসায়ীদের অবশ্য আশা যে শীতের পর্যটন একটু হলেও মুখ তুলে চাইবে। একটু হলেও পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে।