ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: মার্চ পেরিয়ে এপ্রিল শুরু হওয়া মানে বসন্তের শেষে গরমের আগমন। কিন্তু খাতায়কলমে গরমের সময় এসে গেলেও পাহাড়ে লাগাতার তুষারপাত হয়েই চলেছে। গত শুক্রবার রাত থেকে ভারী মাত্রায় তুষারপাত শুরু হয় দার্জিলিঙের সান্দাকফুতে। শনিবার, তথা ১ এপ্রিলও সেই তুষারপাত জারি ছিল। শীতের শেষে এমন তুষারপাতের অভিজ্ঞতা অতীতে নেই এই অঞ্চলে।
শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ভারী তুষারপাতের কারণে সান্দাকফু-সহ ফালুটে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ দার্জিলিং, মানেভঞ্জন, টংলু, টুংলিং ইত্যাদি জায়গায় এখনও পর্যটকের সংখ্যা যথেষ্ট৷ এপ্রিল মাসে আশাতীত তুষারপাতের সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি উপভোগ করছেন তাঁরা৷
মার্চ মাসের শেষে এমন ব্যাপক তুষারপাতের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সিকিম হাওয়া অফিসের ডিরেক্টর গোপীনাথ রাহা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘এপ্রিলের শুরুতে এমন তুষারপাত দার্জিলিং বা সিকিমে সাধারণত হয় না৷ কিন্তু এ বার শীতকালে সে ভাবে তুষারপাত হয়নি৷ শীতের মরশুম পেরিয়ে যাওয়ার পর তুষারপাত শুরু হয়েছে।’’
তাঁর সংযোজন, ‘‘এই অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা শীতকালে অনুকূল ছিল না। মার্চ মাসে বেশ কয়েকটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা এই অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রভাবিত হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের উপর উচ্চচাপ বলয় তৈরি হওয়ার ফলে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়ছে এই অঞ্চলের উপর। ফলে বাতাসে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে৷’’ এই কারণেই পাহাড়ের উঁচু অংশে তুষারপাত এবং একটু নীচের দিকে শিলাবৃষ্টি এবং সমতলে বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আগামী ৩ থেকে ৪ দিন পাহাড়ে আবহাওয়া এমনই থাকবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর৷ ফলে এপ্রিলে আবার সান্দাকফু তুষারপাত দেখতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।