ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: দুঃখ খুচল কুনো জাতীয় উদ্যানে। নামিবিয়া থেকে আনা এক চিতা জন্ম দিল চার শাবকের। আর দেশবাসীকে এই খবর শোনালেন কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব। শুধু তা-ই নয়, সদ্যোজাত চিতাগুলির ভিডিও পোস্ট করলেন সোশাল মিডিয়ায়।
এ দিন নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে চার চিতাশাবকের ভিডিও পোস্ট করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব। সঙ্গে লেখেন, “ভারতে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এক বিরাট মুহূর্ত। অমৃত কালে ইতিহাস সৃষ্টি হল। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে নামিবিয়া থেকে যে চিতাগুলিকে ভারতে আনা হয়েছিল, তাদের মধ্যে একটি চিতা চারটি শাবকের জন্ম দিয়েছে।” প্রজেক্ট চিতা কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত সমস্ত ব্যক্তিকে অভিনন্দন জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
ফুটফুটে চিতাশাবকগুলির ভিডিও দেখে উচ্ছ্বসিত বন্যপ্রাণপ্রেমীরা। ছোট্ট শাবকগুলির এখনও চোখ ফোটেনি। ঘাসের মধ্যে থেকে উঁকি মারতে দেখা যায় তাদের। মঙ্গলবার একটি চিতার মৃত্যু হয়েছে কুনো ন্যাশনাল পার্কে। তার পর বর্তমানে সেখানে ছিল ১৯টি চিতা। এই চার চিতার জন্মের পর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৩। তবে অন্য চিতাগুলির মতো এখনই তাদের বড়ো এনক্লোজারে ছাড়া হচ্ছে না।
কুনো ন্যাশনাল পার্কের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই চিতাশাবকগুলিকে অতি সযত্নে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হচ্ছে। নিয়মিত তাদের উপর নজরদারি চালাবেন বনকর্তারা। থাকবে পশুচিকিৎসকও। ধীরে ধীরে তারা ভারতের জলহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে কতটা সক্ষম হচ্ছে, তা দেখা হবে। একটু বড়ো হলে তবেই অন্য চিতাদের সঙ্গে তাদের খোলা জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হবে।
মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই দেশে আনা নামিবিয়ার এক চিতার মৃত্যু হয়েছে। কিডনির অসুস্থতায় মৃত্যু হয়েছে মহিলা চিতা সাশার। সোমবার কুনোর জঙ্গলে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয় সাশা। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিল সাশা। কিডনির সমস্যায় ভুগছিল সে। প্রস্রাবও স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় করতে পারছিল না সাশা। ফলে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হল তার।