ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: উত্তরবঙ্গের পাহাড় এবং ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় পাখির টানে পর্যটক এবং পাখিপ্রেমীদের আনাগোনা বাড়ছে। এই পাখিকে কেন্দ্র করে পর্যটনের নতুন দিগন্ত খুলে যেতে পারে বলে আশা করছেন উত্তরের ভ্রমণ ব্যবসায়ীরা।
ইতিমধ্যে রাজ্য পর্যটন বিভাগ এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড টুরিজম (অ্যাক্ট)র উদ্যোগে পাখি উৎসব হয়ে গিয়েছে। আগামী বছর ফের উৎসব আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। পাখি ও প্রজাপতি পর্যবেক্ষণ শিবির আয়োজন করে হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন (ন্যাফের) মতো উত্তরবঙ্গে অন্যতম পরিচিত পরিবেশপ্রেমী সংগঠনও। সমস্ত মহলের পক্ষ থেকেই পরিবেশকে রক্ষা করে জীববৈচিত্র্য অটুট রাখার আবেদন জানানো হয়েছে।
ডুয়ার্স এবং পাহাড়ে নানা প্রজাতির পাখির সম্ভার রয়েছে। ফলে পাখি এবং পর্যটন বিকাশের সম্ভাবনা বেড়েই চলেছে। পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ন্যাফের কো-অর্ডিনেটর অনিমেষ বসু উত্তরবঙ্গ সংবাদকে বলেন, “উত্তরবঙ্গে সাড়ে ছ’শোর বেশি প্রজাতির পাখি রয়েছে। সিঙ্গলিলা, সিঞ্চল, বক্সা, নেওড়া ভ্যালি বনাঞ্চল লাগোয়া এলাকাতেও নানা ধরনের পাখির সম্ভার লক্ষ্য করেছি। নেওড়া ভ্যালি বনাঞ্চল লাগোয়া এলাকায় স্যাটায়ার ট্রগোপন, ট্রগন, হর্নবিল অর্থাৎ ধনেশ সহ নানা বৈচিত্র্যময় পাখি লক্ষ্য করেছি।”
দূরদূরান্ত থেকে আসা পর্যটক এবং ভ্রমণার্থীদের কোলাহলমুক্ত এলাকাতে পাখি দেখানোর এবং পরিচিতি করানোর উদ্যোগ নিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘদিন ধরেই পরিবেশ রক্ষা করে পর্যটন বিকাশে কাজ করছে অ্যাক্ট। সংগঠনের মুখপাত্র তথা উত্তরবঙ্গের পর্যটনের শীর্ষ মুখ রাজ বসু বলেন, “আমরা বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি পরিবেশ রক্ষার গুরুত্ব। সকলেই বুঝেছেন পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমেই পর্যটনের বিকাশ ঘটবে। গাইড এবং অন্য কাজে যুক্ত হয়েও কর্মসংস্থানের সুযোগ মিলবে। পাখিদের পাশাপাশি প্রজাপতি দেখতেও অনেকে উৎসাহিত হচ্ছেন। পর্যটন বিভাগও সমস্ত ক্ষেত্রেই ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে।”
আরও পড়তে পারেন
চলুন উত্তরাখণ্ডের সেই গ্রামে যেখানে পূজিত হন না হনুমান
খাঁড়ি, নারকেল গাছ, সমুদ্র — এক টুকরো কেরলের স্বাদ পেতে চলুন অন্ধ্রপ্রদেশের ডিন্ডি