বাঁকুড়ার পাহাড়ে রহস্যময় সুড়ঙ্গে পর পর কুঠুরির হদিস!

ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: বাঁকুড়া জেলায় খাতড়ার একটি পাহাড়ে সম্প্রতি একটি গুহার হদিশ মিলেছে। তার পরেই সেই গুহাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য।

খাতড়ার পোড়াপাহাড়ে সন্ধান মেলে ওই গুহার। গুহার দৈর্ঘ্য এবং আকার দেখে চমকে গিয়েছেন স্থানীয় গবেষকরা। তাঁদের মতে, ওই গুহায় থাকত আদিম মানুষ। যদিও এই দাবির সমর্থনে আরও জোরালো প্রমাণ প্রয়োজন বলে দাবি তাঁদের।

গুহার সন্ধান পেয়েছেন মধুসূদন মাহাতো নামে এক স্থানীয় লোকগবেষক। পোড়াপাহাড়ের মাঝমাঝি এলাকায় এই গুহার সন্ধান মিলেছে। গুহার মুখ পাহাড়ের উত্তর দিকে। গুহার উচ্চতা ৬ ফুট। চওড়ায় তা ৪-৫ ফুট। কিছু দূর গিয়ে ওই গুহা ভাগ হয়ে গিয়েছে দুই দিকে। ডান দিকে সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০ ফুট।

তার পর সুড়ঙ্গের ওই অংশ চলে গিয়েছে পাহাড়ের ভিন্ন প্রান্তে। সে দিকেও একটি মুখ রয়েছে গুহাটির। কিন্তু বাঁ দিকের অংশটি প্রায় ২০০ ফুট দীর্ঘ। সুড়ঙ্গের এই অংশে দু’ দিকে মোট সাতটি কুঠুরির সন্ধানও পাওয়া গিয়েছে। যা লম্বা এবং চওড়ায় যথাক্রমে ২০ ফুট ও ৭ ফুট। স্থানীয় গবেষকের মতে, তা মানুষের বসবাসের উপযুক্ত।

পাথর কেটে তৈরি করা ওই গুহা। তার মধ্যে ওই কুঠুরি দেখে মধুসূদনের ধারণা, আদিম মানুষ সেখানে থাকত। ওই কুঠুরিগুলিতে আলাদা আলাদা পরিবার বসবাস করত বলেও জানিয়েছেন তিনি। এক সংবাদমাধ্যমকে মধুসূদন বলেন, ‘‘ওই সুড়ঙ্গ সংরক্ষণ করা উচিত। এর সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা আছে। এই সুড়ঙ্গ গুহাবাসী আদিম মানুষের তৈরি করা হতে পারে।’’

স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য বহু কাল ধরেই ওই গুহার খোঁজ জানতেন। তাঁদের কাছে ওই সুড়ঙ্গ ‘সুইন্ড’ হিসাবে পরিচিত। দিন কয়েক আগে ওই সুড়ঙ্গের হদিস পান মধুসূদন। তিনি স্থানীয় ইতিহাস চর্চা করেন। সেই সূত্র ধরেই প্রকাশ্যে এসেছে ওই সুড়ঙ্গের কথা। তবে, কোনো সিদ্ধান্তে আসার আগে সুড়ঙ্গ নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলেই মনে করছেন গবেষকরা।

আরও পড়তে পারেন

মরশুমের প্রথম ভারী তুষারপাত হিমাচলে, আনন্দে মাতলেন পর্যটকরা

কালীপুজো-দীপাবলি: পশ্চিম মেদিনীপুরের খেপুত সাবর্ণবাড়ির পুজোর ২২৫ বছর

দীর্ঘ ৬০ বছর পর ভ্রামণিকদের জন্য খুলল ট্রান্স ভুটান ট্রেল

ভগবানের আপন দেশে ৭ / ঘুরে এলাম টপ স্টেশন  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *