মাদারিহাট: অবশেষে উত্তরবঙ্গের জঙ্গলের দরজা খুলে গেল পর্যটকদের জন্য। শুরু হয়ে গিয়েছে জলদাপাড়া, গোরুমারা, চিলাপাতায় জঙ্গল সাফারি। জঙ্গল খোলার খবরে খুশি পর্যটন ব্যবসায়ী এবং পর্যটকরা।
রাজ্য তথা দেশ জুড়ে করোনার ভয়াবহ দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার মুখে গত ৩০ এপ্রিল গোটা রাজ্যেই জঙ্গল সাফারি বন্ধ করে দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তা থেকে বাদ যায়নি উত্তরবঙ্গের জঙ্গলও। ব্যাপক ভাবে মার খায় পর্যটন ব্যবসা।
হিসেবমতো আরও মাস দেড়েক চলতে পারত জঙ্গল সাফারি। কারণ এমনিতেই ১৫ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের জঙ্গল বন্ধ থাকে। তখন বন্যপ্রাণীদের প্রজননের সময়। তবে এ বার ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে জঙ্গল আদৌ খুলবে কি না, সেই নিয়ে কোনো নির্দেশিকা ছিল না। ফলে ক্ষোভ বাড়ছিল পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
উল্লেখ্য, গত বছরও ১৬ সেপ্টেম্বর খুলে গিয়েছিল জঙ্গল। তখন দৈনিক সংক্রমণ পশ্চিমবঙ্গে থাকত সাড়ে ৩ হাজারের কাছাকাছি। এ বার ওই সময়ে তার থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো হওয়া সত্ত্বেও এবং টিকাকরণ অভিযান জোর কদমে হওয়া সত্ত্বেও জঙ্গল কেন খোলা হচ্ছে না, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল।
এরই মধ্যে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে উত্তরবঙ্গের পার্কগুলি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। সেই মতো খুলে যায় শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্ক, দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইড়ু চিড়িয়াখানা, মাদারিহাটের কাছে সাউথ খয়েরবাড়ি নেচার ইন্টারপ্রিটেশন সেন্টার।
অবশেষে ১৬ সেপ্টেম্বর নতুন নির্দেশিকায় রাজ্য সরকার জানিয়ে দেয় পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার থেকেই সাফারি শুরু করা যাবে জঙ্গলে। ওই দিন রাত থেকেই পশ্চিমবঙ্গ বনোন্নয়ন এজেন্সির ওয়েবসাইট থেকে সাফারির অনলাইন বুকিং শুরু হয়ে যায়।
তবে সাফারি চালু হলেও পর্যটকদের কিছু নিয়ম মানতে হবে। এর মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ নিয়মটি হল টিকার দু’টো ডোজের শংসাপত্র। দু’টি ডোজ না নেওয়া ব্যক্তিকে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে, তার পরেই জঙ্গলে প্রবেশের অনুমতি মিলবে।
আরও পড়তে পারেন
দৈনিক পুণ্যার্থীর সংখ্যা বেঁধে দিয়ে চারধাম যাত্রার অনুমতি দিল উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট
খুলে গেল শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্ক, চালু হল সাফারিও
টিটিএফ-এ ট্যাব-এর সেমিনারে ডাক: অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ বাধাহীন হোক
নানা উৎসব আয়োজন করছে জম্মু-কাশ্মীর, পর্যটক টানতে পরিকল্পনা পর্যটন দফতরের