কালিম্পং: শারদোৎসবের আনন্দের ঢেউ এ বার আছড়ে পড়ল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬২০০ ফুট উচু পাহাড়ের কোলে। কালিম্পং জেলার গরুবাথান ব্লকের পাহাড়ের কোলে ছোট্ট দু’টি গ্রাম ঝান্ডি ও সুন্তালে। সেখানেই আয়োজিত হতে চলেছে দুর্গাপুজো। শুক্রবার দিন হইহই করে খুঁটি পুজো হয়ে গেল।
বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই ঝান্ডিতে শুরু হয়েছে পর্যটকদের আনাগোনা। সৃষ্টি হয়েছে নতুন কর্মসংস্থান। তবে পাহাড়ের এত উঁচুতে হিমালয়কন্যার আগমন উপলক্ষে পুজার আয়োজন এর আগে হয়নি। তবে পর্যটন ব্যবসায়ী শুভম পোদ্দারের উদ্যোগে এ বার সেখানে পুজো হচ্ছে।
কয়েক বছর আগেই এখানে একটি হোমস্টে তৈরি করেন শুভম। চলতি বছর তাঁর উদ্যোগেই প্রথম পাহাড়ের উপরে পর্বতরাজ হিমালয়কন্যা উমার আরাধনা হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে, ‘ঝান্ডি-সুন্তালে ইউনাইটেড ক্লাব’। আর পুজোর নাম দেওয়া হয়েছে, ‘স্বর্গের দুর্গাপূজা।’
শুভমবাবু জানিয়েছেন, তাঁর পাহাড়ে থাকার এক অভিলাষ ছিল। সেই ইচ্ছা পূর্ণ করতেই এখানে হোমস্টে তৈরি করেন। এখন বহু পর্যটক আসেন পুজার মধ্যে। এখানে থাকতে গিয়ে দেখেন, পুজোর কয়েক দিন স্থানীয়রা আর পর্যটকরা পুজোর আনন্দ উপভোগ করতে না পেরে হাহুতাশ করেন। তাই গত এক বছর ধরে উদ্যোগ নিয়ে এ বার পুজোর আয়োজন শুরু করে দিয়েছেন। স্থানীয়রাও সাহায্য করছে এই বিষয়ে।
পাহাড়ের এই পুজোর জন্য প্রতিমা এসেছে মালবাজার শহর থেকে। শিল্পী সুবল পাল। পুরোহিত আসছেন ময়নাগুড়ি থেকে। কলকাতা থেকে যাবে ঢাকি। পুজোর ক’ দিন চলবে নানা অনুষ্ঠান ও ভোগপ্রসাদ বিতরণ। পুজোর পর কলকাতা ও অন্যান্য জায়গার শিল্পীর সমন্বয়ে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাহাড়ের এই পুজোর টানে বহু সমতলের মানুষ পাহাড়মুখী হবে এমনটাই আশা করা যায়। স্বর্গের এই দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে উৎসাহ দেখিয়েছেন কলকাতার সেলিব্রেটি থেকে নেতারাও।
আরও পড়তে পারেন
মহালয়ার সকালে গঙ্গার ঘাটে থিকথিকে ভিড়, পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে চলছে তর্পণ
দুর্গাপার্বণ: সিঙ্গি গ্রামের ভট্টাচার্য বংশের ৩৫০ বছরেরও বেশি পুরোনো ‘মঠের বাড়ির দুর্গোৎসব’