কলকাতায় ঠাকুর দেখা: ইতিহাস কথা বলছে নিমতলা সর্বজনীনে

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতার প্রাচীন পুজোগুলোর মধ্যে অন্যতম নিমতলা সর্বজনীন। এই পুজোতেই এ বার যেন কলকাতার ইতিহাস কথা বলছে। তাই থিমেরও নাম দেওয়া হয়েছে, ‘ইতিহাস কথা কয়!’

উত্তর কলকাতা অর্থাৎ চিৎপুর অঞ্চল মানেই যে ব্যাপারগুলো আপনার মাথায় প্রথম আসবে সেগুলো হল চিৎপুরের যাত্রাপাড়া, বাঙালির জীবনে জড়িয়ে থাকা পঞ্জিকা, জুড়িগাড়ি, জোড়াসাঁকো এবং সন্নিহিত অঞ্চলের বিভিন্ন বনেদিবাড়ি, উত্তর কলকাতার ঐতিহ্যশালী বারান্দা-সহ বাড়ি এবং অবশ্যই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, মাখন ময়রার বাড়ি, চিৎপুর দিয়ে হেঁটে যাওয়া, সব ছবিই যেন এখানে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। শোভা পাচ্ছে পুরোনো দিনের পাঁজি। চিৎপুর অঞ্চল নিয়ে রবীন্দ্রনাথের কবিতা ‘গলদাচিংড়ি তিংড়িমিংড়ি’-এর একটি অংশ তুলে ধরা হয়েছে। ১৯৩৯ সালের নভেম্বরে পুনশ্চয় বসে এই কবিটাটা লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।

শিল্পী দম্পতি সুমি এবং শুভদীপ মজুমদারের হাত ধরে সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে গোটা ভাবনাটা। মণ্ডপসজ্জার ক্ষেত্রে বড়ো অবদান রেখেছেন বীথি কর। ভ্রমণ অনলাইনকে বীথি বলেন, “চিৎপুরের গোটা ইতিহাসটা আমরা পটচিত্রের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।” মণ্ডপের দু’দিকের দেওয়ালে আপনি দেখতে পাবেন যে পটচিত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন মুহূর্ত তুলে ধরা হয়েছে।

পুরোনো কলকাতা নিয়ে যারা নস্টালজিক, তাদের অন্তত একবার নিমতলা সর্বজনীনে আসা উচিত। এখানে এলে আপনার মনে হবে আপনি যেন সেই পুরোনো দিনের কলকাতায় ফিরে গিয়েছেন।

আরও পড়তে পারেন

কলকাতায় ঠাকুর দেখা: ‘তোরমা’ গড়ে মায়ের কাছে প্রার্থনা ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’

কলকাতায় ঠাকুর দেখা: আঁকা ছবিতে ফুটেছে পাহাড় থেকে সমুদ্র, একুশ পল্লীর উদ্ভাবনী থিম

কলকাতায় ঠাকুর দেখা: চলুন বেহালা থেকে বেলেঘাটা

কলকাতায় ঠাকুর দেখা: ঢাকুরিয়ার শহিদনগর সর্বজনীনের পুজোয় সম্মানিত হচ্ছেন অনামা শিল্পীরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *