দেহরাদুন: উত্তরকাশীতে পাহাড়ে চড়ার প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ ১৩ জন। তার মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের তিন বাসিন্দাও। সরকারি সূত্রের খবর, ওই তিন বাসিন্দার নাম সৌরভ বিশ্বাস, অমিতকুমার সাউ এবং সন্দীপ সরকার।
নিখোঁজদের খোঁজে নেমেছে সেনা, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর যৌথ উদ্ধারকারী দল। গত মঙ্গলবার উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর নেহরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিং (নিম)-এর ২৭ জন শিক্ষানবীশ পাহাড়ে চড়ার প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন। ছিলেন ইনস্টিটিউটের দু’ জন ইনস্ট্রাক্টরও।
শিক্ষানবীশ এবং প্রশিক্ষক মিলিয়ে ২৯ জনের দলটি গত মঙ্গলবার ‘দ্রৌপদী কা ডান্ডা-২’ পর্বতের উদ্দেশে বেরিয়েছিল। নিম-এর অধ্যক্ষ কর্নেল অমিত বিস্ত জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ তুষারঝড় ওঠে। সে সময় ওই দলটি প্রায় ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় ছিল। সকাল ৯টা নাগাদ ধসও নামে। ইনস্টিটিউটের তরফে প্রকাশিত তালিকা থেকে জানা গিয়েছে, নিখোঁজেরা পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশ, হরিয়ানা, অসম, তেলঙ্গানা, কর্নাটক, দিল্লি, অন্ধ্রপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা।
রাজ্য প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের তিন জন অভিযাত্রীর তথ্য আপাতত পাওয়া গিয়েছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে সন্ধানের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তবে উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।
নিম সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া ১৬ জনের দেহ ‘ক্যাম্প ১’-এ রাখা হয়েছে। সেগুলি নীচে না-নামানো পর্যন্ত সব মৃতদেহের শনাক্তকরণও সম্ভব হচ্ছে না। তাই কারা কারা এখনও নিখোঁজ, তা সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে নিম-এর অধ্যক্ষ জানান, ওই অভিযানের অন্যতম প্রশিক্ষক সবিতা কানসওয়াল মারা গিয়েছেন। ২৬ বছরের সবিতা প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি ১৬ দিনের মধ্যে মাউন্ট এভারেস্ট এবং মাউন্ট মাকালু জয় করেছিলেন।
আরও পড়তে পারেন
কলকাতায় ঠাকুর দেখা: ইতিহাস কথা বলছে নিমতলা সর্বজনীনে
কলকাতায় ঠাকুর দেখা: ‘তোরমা’ গড়ে মায়ের কাছে প্রার্থনা ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’
কলকাতায় ঠাকুর দেখা: আঁকা ছবিতে ফুটেছে পাহাড় থেকে সমুদ্র, একুশ পল্লীর উদ্ভাবনী থিম