ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: প্রথম বছরের চূড়ান্ত সাফল্যের পর এ বার দ্বিতীয় বছরের দামামাও বেজে গেল কালিম্পং জেলার ঝান্ডিতে। শারদোৎসবের আনন্দের ঢেউ ফের একবার আছড়ে পড়তে চলেছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬২০০ ফুট উচু পাহাড়ের কোলে।
কালিম্পং জেলার গরুবাথান ব্লকের পাহাড়ের কোলে ছোট্ট দু’টি গ্রাম ঝান্ডি ও সুন্তালে। সেখানেই আয়োজিত হতে চলেছে দুর্গাপুজো। তবে এটা দ্বিতীয় বছর। ২০২২ সালে প্রথম বার পুজো হয় এখানে। তার চূড়ান্ত সাফল্য়ে মোহিত হয়ে যান ঝান্ডির সাধারণ মানুষ থেকে পর্যটন ব্যবসায়ী প্রত্যেকে।
বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই ঝান্ডিতে শুরু হয়েছে পর্যটকদের আনাগোনা। বছরের পর বছর তা ক্রমশ বাড়ছে। সৃষ্টি হয়েছে নতুন কর্মসংস্থান। সেই ঝান্ডিতেই হিমালয়কন্যার আগমনের পুজোর আয়োজনের চিন্তাভাবনা শুরু করেছিলেন পর্যটনব্যবসায়ী শুভম পোদ্দার। কয়েক বছর আগেই এখানে একটি হোমস্টে তৈরি করেন শুভম। গত বছর তাঁর উদ্যোগেই প্রথম পাহাড়ের উপরে পর্বতরাজ হিমালয়কন্যা উমার আরাধনা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে গড়ে তোলা হয়, ‘ঝান্ডি-সুন্তালে ইউনাইটেড ক্লাব’। আর পুজোর নাম দেওয়া হয়, ‘স্বর্গের দুর্গাপূজা।’
এ বছর ‘স্বর্গের দুর্গাপুজো’ দ্বিতীয় বছরে পড়বে। এই প্রসঙ্গেই শুভম বলেন, “এক টুকরো পুজোর কলকাতাকে সমুদ্রতল থেকে ৬ হাজার দুশো ফুট উচ্চতায় নিয়ে আসার ছোট্ট প্রচেষ্টা এটা। গ্রামের মানুষ তো এর আগে কখনও দুর্গাপুজো দেখেনি। তাই তাঁদের পাশাপাশি পর্যটকরাও যাতে পুজোর আনন্দ উপভোগ করতে পারেন, সেটাই এই পুজোর মূল উদ্দেশ্য।”
গত বছরের পুজোর ছবি। ডান দিকে পুজোর মূল উদ্যোক্তা শুভম পোদ্দার।
শুভম বলেন, পাহাড়ের এই পুজোর জন্য প্রতিমা আসবে মালবাজার থেকে। পুরোহিত আসবেন ধুপগুড়ি থেকে। মুর্শিদাবাদ থেকে যাবে ঢাকি। পুজোর ক’ দিন চলবে নানা অনুষ্ঠান ও ভোগপ্রসাদ বিতরণ। পুজোর পর কলকাতা ও অন্যান্য জায়গার শিল্পীর সমন্বয়ে বেশ কিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দশমীর দিন ঝান্ডির ঠিক নীচে চেল নদীতে প্রতিমাকে নিরঞ্জন দেওয়া হবে।
পুজোর ক’টা দিন তাই অন্য রূপে পাওয়া যাবে ঝান্ডিকে, যেখানে পাহাড়ি নির্জনতা এক লহমায় ভেদ করে দেবে ‘যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা’।