রেশম পথ

রহস্যময় রেশম পথ / শেষ পর্ব : গ্যাংটক ঘুরে ঘরে ফেরা

গ্যাংটকের হোটেলে ঘরগুলো খুব সুন্দর পজিশনে ছিল। বড়ো বড়ো জানলা দিয়ে দূরের পাহাড় দেখা যায়। পরে জেনেছিলাম ওই পাহাড়েই বোনঝাকরি ফলস-সহ কিছু ট্যুরিস্ট স্পট আছে। যদিও জানলা দিয়ে বিশাল সবুজ পাহাড় ছাড়া আর কিছু দেখা যাচ্ছে না। এমনকি পাহাড়ের গায়ে কোনো বাড়িঘরও দেখা যাচ্ছে না। ঝটপট ব্যাগপত্র রেখে ঘরে তালা মেরে ডাইনিং হলে চলে এলাম। এখন […]

tsomgo lake

রহস্যময় রেশম পথ / পর্ব ১০ : কুপুপ থেকে গ্যাংটক

পুরোনো বাবা মন্দির থেকে মাত্র কয়েক কিমি রাস্তা, আধ ঘণ্টায় চলে এলাম কুপুপ লেক। বরফ গলতে শুরু করেছে। রাস্তায় কাদা-কাদা ভাব। অত্যন্ত স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া। হালকা কুয়াশায় চারিদিকে একটা বিবর্ণতার প্রলেপ। এটাই এই পথের সর্বোচ্চ স্থান, ১৪০০০ ফুট। আরও পড়ুন রহস্যময় রেশম পথ / পর্ব ৯ : বরফের রাজ্যে গাড়ি থেকে নেমে এলাম। জুতো অনেক আগেই ভিজে

on the way to old baba mandir

রহস্যময় রেশম পথ / পর্ব ৯ : বরফের রাজ্যে

পপকর্ন খেতে খেতে যাত্রা শুরু। কিছুটা যাওয়ার পর গতি মন্থর করে ভূপাল দেখাল – ওই দেখুন পুরোনো সিল্ক রুট। অনেকগুলো ডব্লিউ-এর আকারে একটা সরু পথ নীচের দিকে নেমে গিয়েছে। দেখামাত্র একটা শিহরণ জাগল। এই সেই সিল্ক রুট! বিশ্বের প্রথম সুপার হাইওয়ে! এ যেন এক জীবন্ত ইতিহাস। এই সেই পথ যার মাধ্যমে সারা বিশ্বের সঙ্গে ভারতের

Towards Zuluk View Point

রহস্যময় রেশম পথ / পর্ব ৮ : জুলুকের উষ্ণ আপ্যায়ন

হোমস্টের বৃদ্ধ মালিকের তত্ত্বাবধানে ভূপাল গাড়ির ছাদ থেকে মালপত্র নামিয়ে দিল। আমরা সেগুলো দু’টো ঘরে নিয়ে এসে রাখলাম। টিনের চাল, টিনের দেওয়াল। ঘরের ভিতরটা প্লাইউড দেওয়া থাকলেও এই স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় ঠান্ডা যেন কামড়ে দিচ্ছে। বিকেলেই এই অবস্থা! রাতে কী হবে ভগবান জানে। গৃহকর্তা আমাদের হাত-মুখ ধুয়ে খাবার টেবিলে আসতে বললেন। অরূপদা ঠান্ডায় বেশ কাবু হয়ে

Zuluk

রহস্যময় রেশম পথ / পর্ব ৭ : অবশেষে জুলুক

নিমাচেনে একটা ঝরনা আছে। নাম কিউখোলা ফল্‌স। এ পথের যাত্রীদের কাছে খুবই পরিচিত ঝরনা। ঝরনার কাছেই আমাদের গাড়ি দাঁড়াল। ১৫ ফুট উপর থেকে পাহাড়ের গা বেয়ে জল নেমে আসছে। তবে শিস্নের ভুতখোলা ফলসের মতো অত জল নেই। সে অর্থে কিউখোলা ফলস দরিদ্রই বলা যায়। পাশেই বাঁ দিক থেকে একটা জলধারা এসে সমগ্র জায়গাটা জলময় করে

rishi river

রহস্যময় রেশম পথ / পর্ব ৫ : রিশিখোলার আলোছায়া

কথা চলছে, উনিও রঙের ব্রাশ চালিয়ে যাচ্ছেন। জিজ্ঞাসা করলাম, আপনার নাম তো সেবাস্টিয়ান প্রধান। আপনি কোন ধর্মের মানুষ? মৃদু হেসে বললেন, আমি হিন্দু, আমি বৌদ্ধ আবার আমি খ্রিস্টান – মানে? – আমি ছিলাম খ্রিস্টান। পরে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করি, বহু দিন এই ধর্মে থেকেও মনের শান্তি পাইনি। অবশেষে হিন্দুধর্মের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করি। বুঝতে পারি এখানেই

rishikhola

রহস্যময় রেশম পথ / পর্ব ৪ : রিশিখোলায় জলকেলি

আমাদের গাড়ির আগে আগে একটা ট্রেকার যাচ্ছিল। ট্রেকারে স্কুলের ছাত্রছাত্রী। বাড়ি ফিরছে। আমরা ওদের দেখছি, ওরাও আমাদের দেখছে। এই ভাবে বেশ কিছুটা যাওয়ার পর ট্রেকারটা থেমে গেল। গাড়ি থেকে কয়েক জন নেমে হাত নেড়ে আমাদের বিদায় জানাল। আমাদের গাড়িটাও এগিয়ে চলল রিশিখোলার দিকে। পথের নিসর্গের কোনো তুলনা নেই। নেপালি ভাষায় খোলা শব্দের অর্থ ছোটো নদী।

Ichhe Gaon, a village of gardens

রহস্যময় রেশম পথ / পর্ব ৩ : ইচ্ছে গাঁও ছুঁয়ে সিলারি গাঁওয়ে এক ঝলক

ফুলের গ্রাম ইচ্ছেগাঁও পিচ রাস্তা ধরে কিছুটা যাওয়ার পরেই গাড়ি ডান দিকের কাঁচা রাস্তা ধরে উপরে উঠতে শুরু করল। এই পথই আমাদের নিয়ে যাবে ইচ্ছেগাঁও। পাকদণ্ডি পথের দু’পাশে সিঙ্কোনা গাছের চাষ। গুল্ম শ্রেণির গাছ, লালচে সবুজ পাতা। পাতার আকার অনেকটা জাম পাতার মতো। আশেপাশের সমগ্র অঞ্চলই ইচ্ছা ফরেস্টের অন্তর্গত। এই জঙ্গলে বিভিন্ন পাখি ছাড়াও ভাল্লুক,

sunset at Ramdhura

রহস্যময় রেশম পথ / পর্ব ২: স্নিগ্ধতায় ভরা রামধুরাকে বিদায়

রাস্তা থেকে দোতলা মনে হলেও বাড়িটা আসলে তিনতলা। রাস্তা থেকে একটা সিঁড়ি উপরে উঠে গিয়েছে তিন তলায়, একটা সিঁড়ি গিয়েছে নীচে রান্নাঘরে। রাস্তার সমানে যাকে গ্রাউন্ড ফ্লোর বলে মনে হচ্ছে সেটি আসলে ফার্স্ট ফ্লোর।  আমাদের থাকার ব্যবস্থা তিনতলায়। এখানে দু’টি মাত্র ঘর। আমরা যে ঘরে ঢুকলাম সেখান থেকে দূরের পাহাড়ে কালিম্পং এবং তিস্তার বাঁকগুলো বেশ

On the way to ramdhura

রহস্যময় রেশম পথ / পর্ব ১ : তিস্তার সঙ্গ ছেড়ে রামধুরায়

২৬ এপ্রিল ২০১৮। রাত প্রায় সাড়ে ৮টা। শিয়ালদা স্টেশনে ডানকুনি লোকাল যখন থামল তখন আকাশ যেন ভেঙে পড়ার অবস্থা। দমদম থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে, শিয়ালদা পৌঁছোতে পৌঁছোতে একেবারে লাগামছাড়া। প্রচণ্ড বাজ, সেই সঙ্গে ঝড়। মনে হচ্ছে স্টেশনের শেডগুলো এখনই ভেঙে পড়বে। ঝাপটা খেতে খেতে কোনো রকমে লাগেজগুলো ট্রেন থেকে নামিয়ে মৌসুমী আর রূপকে নিয়ে এগোলাম

Scroll to Top