শিলিগুড়ি: একটা বাম্পার পুজো মরশুমের অপেক্ষায় উত্তরবঙ্গ। গত দু’ বছরের ফাঁড়া কাটিয়ে এ বার তেড়েফুঁড়ে উঠেছে পুজোর বুকিং। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের ৭০ শতাংশ হোটেল এবং হোমস্টেই পুরোপুরি বুক হয়ে গিয়েছে।
দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ের বিভিন্ন অঞ্চল, সেই সঙ্গে ডুয়ার্সের জঙ্গল পর্যটকদের কাছে মূল আকর্ষণের বস্তু। গত দু’ বছর করোনার ভয়ে মানুষজন খুব বেশি এই অঞ্চলে বেড়াতে আসেননি। কিন্তু এ বার করোনার দাপট তলিয়ে যেতেই হুহু করে সব বুকিং হয়ে যাচ্ছে। পুজোর কয়েকটা দিন, শিয়ালদহ-নিউ জলপাইগুড়ির সব ট্রেনের সিটই বুক হয়ে গিয়েছে।
ফেডারেশন অব বেঙ্গল হোটেল্সের সহ-সম্পাদক উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, এ বছর গরমের ছুটিতে প্রচুর পর্যটকের আগমন হয়েছিল উত্তরবঙ্গে। পুজোর ছুটিতে সেই রেকর্ডও ভেঙে যেতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। তাঁর কথায়, “উত্তরবঙ্গের হোটেল এবং হোমস্টের প্রায় ৭০ শতাংশ পুরোপুরি বুক হয়ে গিয়েছে। আশা করছি বাকিগুলোও খুব তাড়াতাড়িই পুরো বুক হয়ে যাবে।”
এ বার পুজোয় ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্য পর্যটন দফতরের কথায় ১ থেকে ১০ অক্টোবর উত্তরবঙ্গে অবস্থিত রাজ্য পর্যটনের সব টুরিস্ট লজগুলি পুরোপুরি ভর্তি। জলদাপাড়া টুরিস্ট লজের ম্যানেজার নীলাঞ্জন সাহা বলেন, “অতিথিরা যাঁরা আসবেন তাঁদের জন্য বিশেষ কী মেনু তৈরি করা যায়, সেই চেষ্টা করছি।”
পর্যটকদের ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য শিয়ালদহ এবং নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে দু’টি বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। ৫ সেপ্টেম্বর এই ট্রেন দু’টির বুকিং শুরু হবে।
আরও পড়তে পারেন
চোখধাঁধানো স্থাপত্যের প্রাসাদ: উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ, আগরতলা
তৃতীয় দিনে ৬০ হাজার বিসর্জন হলেও, গণেশ উৎসবে এখনও মাতোয়ারা মুম্বই-সহ মহারাষ্ট্র
উঠে গেল অভ্যন্তরীণ বিমানভাড়ায় নিয়ন্ত্রণ, যাত্রীরা কি লাভবান হলেন
সুন্দরবনকে নিয়ে দশ দিনের দুর্গাপুজো প্যাকেজ, পর্যটনের প্রসারে একাধিক উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গের