চলুন ঘুরে আসি গুজরাত ৩: উপকূল গুজরাত

গুজরাত বেশ বড়ো রাজ্য, একবারে ঘোরা যায় না। নানা ভাবে ভেঙে ভেঙে গুজরাতের সফরসূচি তৈরি করা যায়। আর এই গুজরাত ভ্রমণের আদর্শ সময় নভেম্বর থেকে মার্চ, ভ্রমণ অনলাইন সাজিয়ে দিচ্ছে গুজরাতের ভ্রমণ-ছক। আজ তৃতীয় তথা শেষ কিস্তি।

ভ্রমণসূচি

এই ভ্রমণটি রাজকোট থেকে শুরু করুন। কলকাতা থেকে রাজকোটের জন্য রয়েছে সাঁতরাগাছি-পোরবন্দর সাপ্তাহিক কবিগুরু এক্সপ্রেস, প্রতি রবিবার রাত ৮:১০-এ ছেড়ে রাজকোট পৌঁছোয় মঙ্গলবার দুপুর ১টায়। রয়েছে শালিমার-পোরবন্দর সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। প্রতি শুক্র ও শনিবার শালিমার থেকে রাত ৯টায় ছেড়ে রাজকোট পৌঁছোয় তৃতীয় দিন সকাল ১০.৩১ মিনিটে। শালিমার-ওখা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস প্রতি মঙ্গলবার রাত রাত ৯টায় ছেড়ে রাজকোট পৌঁছোয় তৃতীয় দিন সকাল ১০.৩১ মিনিটে।  

দিল্লি থেকেও দৈনিক ট্রেন নেই। সাপ্তাহিক, দ্বি-সাপ্তাহিক ট্রেন, ২৪ ঘণ্টা মতো সময় লাগে। দুপুরের মধ্যে রাজকোটে পৌঁছোনো যায়, এমন ট্রেন বেছে নিন।

মুম্বই থেকে আসার দু’টি ভালো ট্রেন। হাপা দুরন্ত এক্সপ্রেস মুম্বই সেন্ট্রাল থেকে রোজ রাত্রি ১১.১০-এ ছেড়ে পরের দিন সকাল ১০.০৬-এ রাজকোটে পৌঁছোয়। সৌরাষ্ট্র মেল ছাড়ে মুম্বই সেন্ট্রাল থেকে রোজ রাত ৯.০৫-এ, রাজকোটে পৌঁছোয় সকাল ০৯.৩৫-এ।

রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম, রাজকোট।

প্রথম দিন – রাত্রিবাস রাজকোট

জাদেজা রাজপুতদের গড়া রাজকোটে দেখে নিন জুবিলি গার্ডেন, ওয়াটসন মিউজিয়াম, কাবা গান্ধী নো দেলো (গান্ধীজির বাবার বাড়ি যেখানে গান্ধীজির ছেলেবেলা কেটেছিল), রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম (বেলুড় মঠের রেপ্লিকা), স্বামীনারায়ণ মন্দির, লালপরী লেক, আজি বাঁধ (ভাবনগরের পথে ৮ কিমি) ইত্যাদি।

দ্বিতীয় দিন – সকালের দিকটা রাজকোটে কাটিয়ে দুপুর ২.৪৮-এর অমদাবাদ-সোমনাথ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ধরে ৫.০৮ মিনিটে পৌঁছে যান জুনাগড়। রাজকোট থেকে বাস আধ ঘণ্টা অন্তর, ১০২ কিমি রাস্তা, ঘণ্টা তিনেক লাগে। গাড়ি ভাড়া করেও আসতে পারেন। রাত্রিবাস জুনাগড়

তৃতীয় দিন – পুরোটা দিন জুনাগড়ে, রাত্রিবাস।

গিরনার পাহাড়ে মন্দির।

জুনাগড়ে দেখে নিন

রোপওয়েতে চড়ে পৌঁছে যান ৩৩৬৭ ফুট উঁচু গিরনার পাহাড়ে। পাহাড়ের মাথায় রয়েছে ১২ শতকে তৈরি ৫টি জৈন মন্দির। এর মধ্যে সব চেয়ে পুরোনো হল নেমিনাথের মন্দির। ১১২৮ খ্রিস্টাব্দে তৈরি। জৈন মন্দির ছাড়াও রয়েছে অম্বাজি মন্দির, গুরু দত্তাত্রেয় পাদুকা মন্দির ইত্যাদি। গিরনার পাহাড়ের পথে দেখুন অশোকের শিলালিপি

উপারকোট পাহাড়ে জুনাগড় ফোর্ট। দুর্গে দেখুন বেশ কিছু বৌদ্ধ গুম্ফা, নওগড় ভাভআধি চাধি ভাভ (স্টেপ ওয়েল), বিশাল কামান নিলাম তোপ, জামি মসজিদ, অশোকের সময়ের গুহা

তা ছাড়া দেখে নিন বাজেশ্বরী মন্দির, দামোদর কুণ্ড, উনিশ শতকের নবাবি প্রাসাদ রংমহল, জুনাগড় নবাবদের রাজপ্রাসাদ মহাবত মকবরা, নবাবদের গড়া মনোরম উদ্যান শখের বাগচিড়িয়াখানা (রাজকোট রোডে সাড়ে তিন কিমি দূরে) ইত্যাদি।

সিংহ দর্শন, সাসন গির।

চতুর্থ দিন – সক্কালেই বেরিয়ে পড়ুন, চলুন সাসন গির, রাত্রিবাস।

জুনাগড় থেকে প্রায় ৬০ কিমি দূরের গির আসার জন্য বাস রয়েছে। গাড়ি ভাড়া করে আসতে পারেন। শেয়ার ট্যাক্সিও মেলে।

গিরে বন দফতরের ব্যবস্থাপনায় সাফারি করুন। ঘুরে আসুন ১৩ কিমি দূরের দেবালিয়া সাফারি পার্কও

পঞ্চম দিন – সকালে আর একটা সাফারি করে চলুন দিউ, রাত্রিবাস।

বাস বা গাড়ি ভাড়া করে দিউ চলে আসুন, দূরত্ব ৯০ কিমির মতো।

নাগোয়া সৈকত, দিউ।

ষষ্ঠ দিন – পুরোটা দিন দিউয়ে, রাত্রিবাস।

তিন দিকে আরব সাগর আর উত্তর দিকে ব্যাকওয়াটারে ঘেরা দ্বীপভূমি দিউ। দিউয়ের মূল আকর্ষণ এর প্রকৃতি। দেখে নিন পরিখা ঘেরা দুর্গ ও তার ভিতরের কারাগারমিউজিয়াম। দুর্গের উপর থেকে সাগর ও দিউ শহরকে দেখুন। মোটরবোটে চলুন পানিকোটা সমুদ্রদুর্গ। ঘুরে আসুন নাগোয়া বিচ, জলন্ধর বিচ (লাগোয়া পাহাড় চুড়োয় মন্দির), চক্রতীর্থ বিচ, আমেদপুর মান্ডভি বিচ। দেখে নিন শহিদস্মারক মারওয়ার, সেন্ট টমাস, সেন্ট পলস এবং সেন্ট ফ্রান্সিস চার্চ। শহর থেকে ৪ কিমি দূরে গঙ্গেশ্বর শিব। জোয়ারের জল পা ধুয়ে দিয়ে যায় শিবের।

সপ্তম দিন – সক্কালেই বেরিয়ে পড়ুন, চলুন সোমনাথ, রাত্রিবাস।

দিউ থেকে সোমনাথ বাস চলে, তবে বেশ ভিড় হয়। গাড়ি ভাড়া করে সোমনাথ পৌঁছে যান প্রাতরাশের আগে। দূরত্ব ৮৫ কিমি। 

জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দির, সোমনাথ।

সোমনাথে দেখে নিন

সোমেশ্বর মহাদেব মন্দির, জ্যোতির্লিঙ্গ। রাত ৮টায় মন্দিরপ্রাঙ্গণে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো। বল্লভঘাট থেকে সূর্যাস্ত। অহল্যাবাঈয়ের গড়া পুরোনো সোমনাথ মন্দিরপ্রভাস পাটন মিউজিয়াম (বুধ ও ছুটির দিন বন্ধ)। পরশুরামের তপোভূমি। সরস্বতী, কপিলা ও হিরণ্য নদীর ত্রিবেণী সঙ্গম বা প্রভাস তীর্থ। ভালুকা তীর্থ, কথিত যেখানে ব্যাধের তীরে বিদ্ধ হয়েছিলেন কৃষ্ণ।

অষ্টম দিন – গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে সোমনাথ থেকে পোরবন্দর হয়ে চলুন দ্বারকা। দূরত্ব ২৩০ কিমি। রাত্রিবাস দ্বারকা

পথে দেখে নিন পোরবন্দরে গান্ধীজির জন্মভিটে ‘কীর্তি মন্দির’, সুদামা প্রাসাদ, চোরবাদ সাগরবেলা

নবম দিন  – পুরোটা দিন দ্বারকায়, রাত্রিবাস।

কীর্তি মন্দির, পোরবন্দর।

দ্বারকায় দেখে নিন  

দ্বারকার মূল আকর্ষণ গোমতী তটে দ্বারকাধীশ রণছোড়জির মন্দির, গোমতী নদীতে ঘেরা দ্বীপে কৃষ্ণমন্দির, রণছোড়জির মন্দিরের দক্ষিণ দ্বার দিয়ে বেরিয়ে ৫৬ ধাপ নেমে গোমতী দেবীর মন্দির, গোমতী-নারায়ণ সঙ্গমে সঙ্গমনারায়ণ মন্দির, লাইট হাউস, পঞ্চপাণ্ডবের নামে মিষ্টি জলের পাঁচটি কুয়া তথা পঞ্চনদ তীর্থ, সামান্য দক্ষিণে লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির, ভদ্রকালী মন্দির, মীরাবাঈ মন্দির, তারকেশ্বর সাগরবেলা ও শংকরাচার্যের সারদা মঠ

দশম দিন – সক্কালেই চলুন বেট দ্বারকা। গাড়ি ভাড়া করে বেরিয়ে পড়ুন। পথে দেখে নিন দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম নাগেশ্বর, গোপী তালাও, রুক্মিণীদেবীর মন্দির। দেখে পৌঁছে যান ৩২ কিমি দূরে ওখা, সেখান থেকে নৌযাত্রায় বেট দ্বারকা। ওখা শহরে ঢোকার মুখে বেট দ্বারকার ফেরিঘাট।  

বেট দ্বারকা ঘুরে এসে ওখা থেকে চলুন জামনগর। সড়কপথে দূরত্ব ১৫০ কিমি। বাস বা গাড়ি ভাড়া করে চলে আসতে পারেন। অথবা রাত্রি ৮.২৫-এর ওখা-সোমনাথ এক্সপ্রেস ধরে রাত্রি ১০.৪৮-এ পৌঁছে যান জামনগর। রাত্রিবাস জামনগর।

দ্বারকাধীশ মন্দির, দ্বারকা।

একাদশ দিন ও দ্বাদশ দিন – রাত্রিবাস জামনগর

শীতকালে জামনগরের প্রশস্তি তার পরিযায়ী পাখির জন্য। তাই দু’টো পুরো দিন রাখা হয়েছে জামনগরের জন্য।

জামনগরে দেখে নিন  

প্রথম দিন

লাখোটা লেকের মাঝে লাখোটা প্রাসাদ মিউজিয়াম। পাথরের সেতুতে পারাপার। লেকের এক পাশে মাছভবন প্রাসাদ, লেক লাগোয়া ড. অম্বেডকর উদ্যান। চণ্ডীবাজারে আদিনাথশান্তিনাথের মন্দিরস্বামীনারায়ণ মন্দির

১৫ কিমি দূরে খিজারিয়া বার্ড স্যাংচুয়ারি ও ২৮ কিমি দূরের বালাছড়ি সমুদ্র সৈকত

দ্বিতীয় দিন

এ দিন চলুন ৫৫ কিমি দূরে দ্বারকার পথে নারারা মেরিন ন্যাশনাল পার্ক

নারারা মেরিন ন্যাশনাল পার্কে।

ত্রয়োদশ দিন – ঘরে ফেরা।

জামনগর থেকে সরাসরি কলকাতা ফেরার ট্রেন ওখা-শালিমার সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। প্রতি রবিবার সকাল ১১.২৩ মিনিটে। জামনগর থেকে ফেরার একটিমাত্র সাপ্তাহিক ট্রেন থাকায় গাড়ি ভাড়া করে চলে আসতে পারেন রাজকোটে। দূরত্ব ৯১ কিমি। এখান থেকে প্রতি বুধ, বৃহস্পতিবার পাবেন পোরবন্দর-শালিমার সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস আর প্রতি শুক্রবার পোরবন্দর-সাঁতরাগাছি কবিগুরু এক্সপ্রেস। তিন দিনই রাজকোট থেকে ট্রেন ছাড়ে দুপুর ১.০৫ মিনিটে। রবিবার ও সোমবার ছাড়া জামনগর থেকে দিল্লি আসার ট্রেন রোজ আছে। মুম্বই আসার গোটা তিনেক দৈনিক ট্রেন আছে জামনগর থেকে।

মনে রাখবেন

(১) হাওড়া বা দিল্লি থেকে রাজকোট বা রাজকোট থেকে হাওড়া/দিল্লি রোজ ট্রেন নেই। সুতরাং ট্রেনের দিন অনুযায়ী যাওয়া-আসার দিন ঠিক করে নিলে ভ্রমণের মেয়াদ কমতে-বাড়তে পারে। সেই ভাবে বিভিন্ন জায়গায় থাকার মেয়াদ একটু এ-দিক ও-দিক করে নিতে হতে পারে। ট্রেনের সময় জানার জন্য দেখে নিন erail.in।

(২) গিরে পৌঁছে যদি সে দিন বিকেলেই সাফারি করেন, তা হলে পরের দিন সকালে চলুন দেবালিয়া সাফারি পার্ক। সুনিশ্চিত ভাবে সিংহ দেখানোর ব্যবস্থা। গির অরণ্যে সাফারির সময় সকাল পৌনে ৭টা থেকে পৌনে ১০টা, সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা এবং বিকেল ৩টে থেকে সন্ধে ৬টা। দেবালিয়ায় সাফারি হয় সকাল ৭টা থেকে ৭.৫৫, ৮টা থেকে ৮.৫৫, ৯টা থেকে ৯.৫৫, ১০টা থেকে ১০.৫৫, বিকেল ৩টে থেকে ৩.৫৫, ৪টে থেকে ৪.৫৫ এবং ৫টা থেকে ৫.৫৫ পর্যন্ত। অনলাইনে সাফারি বুক করুন www,girlion.in। সাফারি শুরু হওয়ার আধ ঘণ্টা আগে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে যেতে হয়। জুনের মাঝামাঝি থেকে ১৫ অক্টোবর গির ন্যাশনাল পার্ক বন্ধ থাকে।

(৩) গিরনার পাহাড়ে চড়ার জন্য অতি সম্প্রতি রোপওয়ে তৈরি হয়েছে। রোপওয়ে চলে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ভাড়া এক পিঠে ৪০০ টাকা, আসাযাওয়া ৭০০ টাকা। ৫ থেকে ১০ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের জন্য ৩৫০টাকা। টিকিট অনলাইনে কাটা যায় —  www.Udankhatola.com।

হোটেল তোরান, দ্বারকা।

(৪) বিভিন্ন জায়গায় মন্দির, মিউজিয়াম, প্রাসাদ ইত্যাদি খোলার সময় আগাম জেনে নিন। তবে সোমনাথে মন্দির সকাল ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত খোলা।

(৫) সোমনাথে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো অবশ্যই দেখবেন।

(৬) দ্বারকায় রণছোড়জির মন্দির খোলা সকাল সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা। মাঝে দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বন্ধ।

(৭) নারারা মেরিন ন্যাশনাল পার্ক দেখার জন্য অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে হবে Conservator of Forest, Marine National Park, Ganjiwada Nagar, Nagnath Gate, Van Shankul, Jamnagar থেকে। যোগাযোগ ০২৮৮-২৬৭৯৩৫৫/২৬৭৯৩৫৭। পার্কের গেটেই পার্ক অনুমোদিত গাইড পাওয়া যায়। অবশ্যই সঙ্গে নেবেন। যে হোটেলে থাকবেন সেখানে জেনে নেবেন ভাটা কখন শুরু হবে। ভাটা শুরু হওয়ার দু’ থেকে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে অবশ্যই পার্কে পৌঁছোনো চাই।

দিউ ফোর্ট।

কী ভাবে ভ্রমণ করবেন

(১) এই সূচি যে হেতু রাজকোটে শুরু হয়ে জামনগর বা রাজকোটে শেষ, তাই রাজকোট থেকে একটা গাড়ি ভাড়া করে পুরো ট্যুরটা করে দিতে পারেন। তবে পয়েন্ট টু পয়েন্ট গাড়িও করতে পারেন। গুজরাতে বাস পরিষেবা ভালো। বাসে বা পয়েন্ট টু পয়েন্ট গাড়িতে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় গেলে স্থানীয় দ্রষ্টব্য স্থানীয় যান ভাড়া করে দেখে নিন।

(২) গিরে সকালে সাফারি করলে সাসন গির স্টেশন থেকে সকালের ট্রেন ধরা মুশকিল। সে ক্ষেত্রে বাস বা গাড়ি ভাড়া করে আসুন দিউ।

সাগর দর্শন গেস্ট হাউস, সোমনাথ মন্দির।

কোথায় থাকবেন

(১) গুজরাতের অধিকাংশ জায়গাতেই রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগমের হোটেল নেই। এই ভ্রমণসূচিতে শুধুমাত্র দ্বারকাতেই রয়েছে গুজরাত পর্যটন উন্নয়ন নিগমের তোরান হোটেল। অনলাইনে বুক করার জন্য লগইন করুন  www.gujarattourism.com। তবে বাকি সব শহরেই বেসরকারি হোটেল এবং বিচ রিসর্ট আছে। হোটেল বুকিং-এর বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে এই সব হোটেলের সন্ধান পেয়ে যাবেন।

(২) গিরে যদি সরকারি ব্যবস্থাপনায় সিংহসদন ফরেস্ট লজে থাকতে চান তা হলে যোগাযোগ — Deputy Conservator of Forest, Wild Life Section, Sasangir, Dist – Junagadh 362135. ph 02877-285541/285540 । গিরে অনেক বেসরকারি হোটেলও আছে।

(৩) দিউয়ের হোটেল ও তার বুকিং সম্পর্কে বিশদে জানার জন্য দেখুন www.diutourism.com ।

(৪) সোমনাথে শ্রী সোমনাথ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় লীলাবতী অতিথি ভবন, মাহেশ্বরী অতিথি ভবন, সাগর দর্শন গেস্ট হাউস এবং তন্না অতিথিগ্রুহতে থাকার সুবন্দোবস্ত আছে। অনলাইন বুকিং www.somnath.org ।

আরও পড়ুন

চলুন ঘুরে আসি গুজরাত ১: বডোদরা-মধেরা-পাটন-অমদাবাদ

চলুন ঘুরে আসি গুজরাত ২: অমদাবাদ হয়ে কচ্ছভূমি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *