ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: জায়গাটার নাম নবপুর। তারই রেলস্টেশন। বড়ো দুরপাল্লার ট্রেনের কাছে এই স্টেশনের বিশেষ কোনো গুরুত্ব নেই। মূলত মেমু গাড়িই দাঁড়ায় এখানে। কিন্তু একটা বিশেষ কারণে নবপুর রেল স্টেশনটি অনন্য।
এই স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের মাঝ বরাবর চলে গিয়েছে মহারাষ্ট্র এবং গুজরাতের সীমানার রেখা। অর্থাৎ প্ল্যাটফর্মের এক দিকে মহারাষ্ট্র এবং অন্য দিকে গুজরাত। আরও মজার বিষয় হল ঠিক সীমানাতেই যাত্রীদের বসার জন্য একটি বেঞ্চ রয়েছে। সেই বেঞ্চের মাঝ বরাবর সীমানা চলে গিয়েছে। বেঞ্চের এক দিকে মহারাষ্ট্র এবং অন্য দিকে গুজরাত।
সব থেকে আশ্চর্যের ব্যাপার হল প্ল্যাটফর্মের দুই দিকে দুই রাজ্যের আইন কার্যকর। যেমন গুজরাতে নিষিদ্ধ হলেও মহারাষ্ট্রে মদ নিষিদ্ধ নয়, তাই প্ল্যাটফর্মের মহারাষ্ট্রের অংশে বসে কেউ মদ্যপান করতেই পারেন। কিন্তু গুজরাতের অংশে বসে তা করলে তৎক্ষণাৎ জেল। অন্য দিকে, মহারাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হলেও গুজরাতে নিষিদ্ধ নয় পানমশলা। তাই গুজরাতের অংশে বসে আপনি পানমশলা খেলেও মহারাষ্ট্রের অংশে বসে তা করতে পারবেন না।
নবপুর স্টেশনের পুলিশ স্টেশন এবং টিকিট কাউন্টার মহারাষ্ট্রের নন্দুরবার জেলায় অবস্থিত। অন্য দিকে, স্টেশনের স্টেশন মাস্টারের অফিস এবং আরও কিছু পরিষেবার জায়গা অবস্থিত গুজরাতে।
তবে শুধু নবপুরই একমাত্র স্টেশন নয় যেটা দুই রাজ্যে বিভাজিত। মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থান সীমানায় অবস্থিত ভবানী মান্ডিও অনেকটা এই রকম। এই স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের একটা দিক অবস্থিত মধ্যপ্রদেশে, অন্যটি রাজস্থানে। তবে সীমানার মাঝ বরাবর বেঞ্চ এই স্টেশনে রাখা নেই।