ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: যে সব পর্যটক দেশের মধ্যেই চিতা দর্শনের অপেক্ষায় রয়েছেন, তাঁদের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছেন। এ মাস থেকেই শুরু হচ্ছে চিতা সাফারি মধ্যপ্রদেশের কুনো পালপুর ন্যাশনাল পার্কে।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান জানিয়েছেন, বহুপ্রতীক্ষিত চিতা সাফারি ফেব্রুয়ারি থেকেই শুরু হচ্ছে কুনো পালপুর ন্যাশনাল পার্কে। তবে ঠিক কবে থেকে এই সাফারি শুরু হচ্ছে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানাননি মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতে এক সময় চিতা থাকলেও নির্মম ভাবে শিকারের কারণে পরে তা বিলুপ্ত হয়ে যায়। ভারতে আবার নতুন করে চিতার বংশবৃদ্ধির জন্য গত বছর সেপ্টেম্বরে আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা নিয়ে আসা হয় এবং তাদের মধ্যপ্রদেশের কুনোর জঙ্গলে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের আশা, কুনোতে চিতা সাফারি শুরু হলে রাজ্যে পর্যটন আরও চাঙ্গা হয়ে উঠবে এবং ওই অঞ্চলে বসবাসকারী আদিবাসী মানুষদের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হবে।
বিদেশ থেকে ভারতে আরও চিতা আনার ব্যবস্থা হচ্ছে। চিতা আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। সেখান থেকে ১০০টি চিতা আসতে চলেছে ভারতে! এই নিয়ে সে দেশের সঙ্গে ইতিমধ্যেই চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এ মাসেই ১০০টি চিতার প্রথম ১২টিকে ভারতে আনা হবে।
মন্ত্রক জানিয়েছে, আগামী আট থেকে দশ বছরের মধ্যে বছরে ১২টি করে চিতা ভারতে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এদের বিভিন্ন ন্যাশনাল পার্কে রাখা হবে। এর একটা বড়ো অংশ যে কুনো পালপুর ন্যাশনাল পার্কে থাকবে তা বলাই বাহুল্য।
মধ্যপ্রদেশের শেওপুর ও মোরেনা জেলা জুড়ে কুনো পালপুর ন্যাশনাল পার্কের বিস্তৃতি। ১৯৮১ সালে এই অঞ্চলে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং ২০১৮ সালে তা ন্যাশনাল পার্ক তথা জাতীয় উদ্যান হিসাবে ঘোষিত হয়। এই সংরক্ষিত বনাঞ্চলের আশেপাশে যাঁরা বাস করেন তাঁরা সহরিয়া আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ।