দেশের প্রথম ‘গ্লাস ইগলু রেস্তোরাঁ’ চালু হল গুলমার্গে

ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: লকডাউনের পর দেশের যে প্রান্তে সব থেকে বেশি পর্যটন ভ্রমণে গিয়েছেন সেটা কাশ্মীর। পুজোর মরশুম, শীতের মরশুম, গ্রীষ্মের মরশুম, কোনো সময়েই কাশ্মীরের কোনো জায়গাতেই এক চিলতে জায়গা নেই। এমনকি চলতি শীত শেষ হলেই আবার দলে দলে ভ্রামণিক যে কাশ্মীরের উদ্দেশে পা বাড়াবেন, সেটা এখন বুকিংয়ের হার দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

আগামী দিনে এ হেন কাশ্মীরে ভ্রমণের পরিকল্পনা যদি থাকে, তা হলে আপনাদের জন্য থাকবে আরও আকর্ষণীয় একটি জায়গা। চেনা জায়গায় অদেখার দেখা পাওয়া হাতে স্বর্গ পাওয়ার মতো। আবহাওয়া যদি সঙ্গ দেয়, তা হলে পুরু তুষারে ঢাকা পাহাড়ের মাঝখানে কাঁচের ইগলু রেস্তোরাঁয় কফি বা কাশ্মীরের জনপ্রিয় কাওয়া টি খেতে ভুলবেন না। গুলমার্গে অবস্থিত এই রেস্তোরাঁ দেশের প্রথম গ্লাস ইগলু রেস্তোরাঁ। যা উপত্যকার এক অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে।

যাঁরা বর্তমানে কাশ্মীর ভ্রমণে গিয়েছেন, তাঁরাও এই রেস্তোরাঁয় যেতে ভুলবেন না। সাদা ধরবধবে বরফে ঢাকা উপত্যকা, তার মাঝে স্বচ্ছ কাঁচের গোলাকৃতি রেস্তোরাঁ, এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি। জানা গিয়েছে, এই অনন্য গ্লাস ইগলু রেস্তোরাঁটি গুলমার্গের কোলাহোই গ্রিন হাইটস হোটেল তৈরি করেছে। হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, উপত্যকার প্রথম গ্লাস ইগলু রেস্তোরাঁ। এর আগে এই হোটেলের মালিকরাই ভূস্বর্গের প্রথম বরফে ঢাকা রেস্তোরাঁ তৈরি করেন। যার আকর্ষণে পর্যটকদের ভিড় একলাফে বেড়ে গিয়েছিল গুলমার্গে।

উল্লেখ্য, হোটেল ম্যানেজার হামিদ মাসুদি টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, গুলমার্গের অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে এখন এই রেস্তোরাঁ। তিনি আরও যোগ করেছেন যে এর আগে এশিয়ার বৃহত্তম ইগলু তৈরি করে একটি রেকর্ড তৈরি করেছিল এই হোটেলটি।

মাসুদির কথায়, এই অনন্য গ্লাস-ফ্রন্টেড রেস্তোরাঁটি থেকে গুলমার্গের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখা যাবে তা-ই নয়, অভ্যন্তরীণ তাপ নিরোধক ব্যবস্থাও থাকবে। তাঁর কথায়, প্রতিটি গ্লাস ইগলুতে এক সঙ্গে আট জন বসতে পারবেন। পর্যটকদের ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *