ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: কোভিড-পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেয়ে ধসে পড়া অর্থনীতি চাঙ্গা করা যে অনেক বেশি কঠিন কাজ তা বুঝতে পারছে হিমাচল প্রদেশ। তাই রাজ্যের সীমানা পুরোপুরি খুলে দেওয়ারই সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
এখন থেকে হিমাচলে প্রবেশ করতে গেলে কোনো ই-পাস লাগবে না বা কোভিড নেগেটিভ রিপোর্টের কোনো প্রয়োজন হবে না। বুধবার এই ব্যাপারে বিস্তারিত পরিকল্পনা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন সরকারের এক আধিকারিক।
তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আন্তঃরাজ্য বাস পরিষেবা বন্ধ রাখা ছাড়া হিমাচল ভ্রমণে নতুন করে কোনো কিছুতে নিষেধাজ্ঞা থাকছে না।
উল্লেখ্য, গত জুন থেকে বাইরের রাজ্যের মানুষদের জন্য নিজেদের সীমান্ত আংশিক ভাবে খুলেছিল হিমাচল। তবে সেখানে বেশ কিছু শর্ত ছিল। প্রথমত, রাজ্যে প্রবেশ করার আগে ই-পাস সংগ্রহ করা জরুরি ছিল, আর দ্বিতীয়ত কোভিড নেগেটিভ হওয়াও আবশ্যিক ছিল রাজ্যে প্রবেশ করার মানুষদের মধ্যে।
কিন্তু হিমাচলের হোটেল ব্যবসায়ীরা সরকারের সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছিলেন। সব রকম নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার জন্য রাজ্যের কাছে দাবি জানাচ্ছিলেন তাঁরা। অন্য দিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও জানিয়েছে আন্তঃরাজ্য চলাচলে আর কোনো রকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা চলবে না।
শিমলা আর ধরমশালায় ইতিমধ্যে কিছু কিছু হোটেল খুলতে শুরু করেছে। মানালির হোটেল মালিক সংগঠন জানিয়ে দিয়েছে তারা ১ অক্টোবর থেকে সব হোটেল খুলে দেবে। আশা করা যায়, অক্টোবরেই হিমাচলের সব হোটেল খুলে যাবে। একটি হোটেলে ন্যূনতম পাঁচ দিন থাকার যে বিধি চালু করেছিল রাজ্য সরকার তাও শিথিল করে দু’ দিন করে দেওয়া হয়েছে আগেই।
মানালি হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, অতিথিদের ‘নিরাপদ ও আরামদায়ক’ থাকার ব্যবস্থা করছেন তাঁরা। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অনুপ ঠাকুর বলেন, “হোটেলভবন এবং আনুষঙ্গিক সব স্যানিটাইজ করা, প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা এবং স্যানিটাইজারের মতো প্রয়োজনীয় দ্রব্য সংগ্রহ করার জন্য আমরা হোটেলমালিকদের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছি। মাস্ক-গ্লাভস পরে কী ভাবে অতিথিদের সেবা করতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি কী ভাবে মেনে চলতে হবে সে সম্পর্কে হোটেলকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।”
ভ্রমণঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন