পশ্চিমবঙ্গ পর্যটনের ১৮টি টুরিস্ট লজ খুলে গেল পর্যটকদের জন্য

Murti Tourist lodge
মূর্তি টুরিস্ট লজ।

ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: কোভিডের কারণে মানুষ ছ’ মাসের বেশি সময় ধরে ঘরবন্দি। বন্দিদশা ঘোচাতে এখন সে মরিয়া। আর তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষজন একটু একটু করে ভ্রমণে বেরোতে চাইছেন। সে দিকে খেয়াল রেখেই দীর্ঘদিন লকডাউনে থাকার পর দেশের প্রায় সব পর্যটনস্থলই ক্রমশ ‘আনলক’ হচ্ছে। খুলছে হোটেল-রেস্তোরাঁও। এই পরিস্থিতিতে পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন নিগমও।

গত ৮ জুন রাজ্যের পাঁচটি জায়গায় টুরিস্ট লজ খুলে দেওয়া হয়েছিল। ১ জুলাই খুলে দেওয়া হয় আরও পাঁচটি টুরিস্ট লজের দরজা। সব মিলিয়ে দশটি টুরিস্ট লজ গত দু’মাস ধরে খোলা ছিল রাজ্যে।

এ বার আরও টুরিস্ট লজ খোলার ব্যবস্থা হল। এ ব্যাপারে রাজ্য পর্যটন দফতরের তরফে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নতুন নির্দেশিকা অনুসারে রাজ্যে আরও ৮টি লজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হল, এই নির্দেশিকায় উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গার লজ খুলে দেওয়া হয়েছে।

মাইথন টুরিস্ট লজ।

বর্তমান নির্দেশিকার পর রাজ্যের যে সব টুরিস্ট লজ খুলে গিয়েছে তার তালিকাটা দেখে নিন।

১) অরণ্য ট্যুরিজম প্রপার্টি (জলদাপাড়া)

২) মূর্তি ট্যুরিজম প্রপার্টি

৩) বোহর ট্যুরিজম প্রপার্টি (বহরমপুর)

৪) শান্তবিতান ট্যুরিজম প্রপার্টি (শান্তিনিকেতন)

৫) বিষ্ণুপুর ট্যুরিজম প্রপার্টি

৬) বালুতট ট্যুরিজম প্রপার্টি (বকখালি)

৭) দীঘালি ট্যুরিজম প্রপার্টি ( দিঘা টুরিস্ট লজ)

৮) সাগরিকা ট্যুরিজম প্রপার্টি (ডায়মন্ড হারবার)

৯) মঙ্গলধারা ট্যুরিজম প্রপার্টি (ব্যারাকপুর)

১০) মেঘবালিকা ট্যুরিজম প্রপার্টি (দার্জিলিং)

১১) মৃত্তিকা ট্যুরিজম প্রপার্টি (মেদিনীপুর)

১২) রাঙাবিতান ট্যুরিজম প্রপার্টি (শান্তিনিকেতন)

১৩) মর্গ্যান হাউজ কটেজ (কালিম্পং)

১৪) তিলোত্তমা ট্যুরিজম প্রপার্টি (টিলাবাড়ি, লাটাগুড়ি)

১৫) বাতাবাড়ি ট্যুরিজম প্রপার্টি (বাতাবাড়ি, লাটাগুড়ি)

১৬) ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি ট্যুরিজম কমপ্লেক্স

১৭) মুক্তধারা ট্যুরিজম প্রপার্টি (মাইথন)

১৮) মর্গ্যান হাউজ ট্যুরিজম প্রপার্টি (কালিম্পং)

সব লজেই আপাতত এক মাস আগে থেকে বুকিং করা যাবে।

আশা করা যায়, অক্টোবরে আরও কয়েকটি লজের দরজা খুলে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বহু জায়গায় বেসরকারি হোটেল-রিসর্ট-হোমস্টের দরজা খুলে গিয়েছে। দার্জিলিং ও কালিম্পঙেও হোটেল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত করেছে দুই জেলা প্রশাসন। ফলে পুজোর ছুটিতে বেড়ানোপ্রেমী মানুষ ভ্রমণে বেরিয়ে পড়লে, থাকার কোনো সমস্যা যে হবে না, তা বলাই বাহুল্য।

ভ্রমণঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন

ভয়কে জয় করে ঘুরে এলাম মাইথন, সপরিবার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *