খাজিয়ারের থেকেও বড়ো তৃণভূমি, ঘুরে আসুন হিমাচলের শানগড়

ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: হিমাচল প্রদেশের এক স্বল্পপরিচিত গ্রাম শানগড়। কুলু জেলার স্যায়েঞ্জ উপত্যকায় অবস্থিত এই শানগড় আপনাকে এক জাদুকরি সৌন্দর্যের মুগ্ধতায় ফেলে দেবে। শানগড়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পর আপনার মধ্যে এমন একটা অনুভূতি সৃষ্টি হবে, যেটা আপনি নিজের মনের মধ্যেই সব সময় রেখে দিতে চাইবেন।

এই মনোমুগ্ধকর গ্রামটি আপনাকে ধীরে ধীরে প্রকৃতির প্রেমে পড়তে বাধ্য করবেই। প্রত্যেক ভ্রামণিকের জন্যই কিছু না কিছু উপহার রয়েছে এই শানগড়ে। ট্রেকিং হোক বা একক (Solo) ভ্রমণ, পৌরাণিক কাহিনির সন্ধান হোক বা চূড়ান্ত শান্তির খোঁজ, আপনি যেটা চাইবেন, ঠিক সেটাই পাবেন এই শানগড়ে।

শানগড় আপনাকে মোহিত করবেই। এখানকার মূল আকর্ষণ এক বড়ো তৃণভূমি ওরফে Meadow. ‘দেবতা মাঠ’ হিসেবে খ্যাতি এই তৃণভূমির। এই হিমাচলের আর এক প্রান্তে রয়েছে খাজিয়ার, সে-ও বিখ্যাত তার তৃণভূমির জন্য। কিন্তু শানগড়ের সৌন্দর্য কোথাও যেন এই খাজিয়ারকেও ছাপিয়ে যায়।

এ ছাড়াও, মন্দির, জলপ্রপাত, হ্রদ, নির্জন পথ, সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়ের মনোরম দৃশ্য, সব মিলিয়ে সৌন্দর্যের এক অপার্থিব ডালি নিয়ে বসে রয়েছে শানগড়।

কী ভাবে যাবেন

(১) শিমলা থেকে শানগড়ের দূরত্ব ২০৯-২১০ কিমি। দু’ ভাবে আসা যায় –  দরিয়াঘাট-সুন্দরনগর-মান্ডি-আউট-স্যায়েঞ্জ হয়ে অথবা নারকান্ডা-কুমারসৈন-জালোরি পাস-বানজার- আউট-স্যায়েঞ্জ হয়ে। দু’ পথেই দূরত্ব মোটামুটি এক।

(২) মানালি থেকে শানগড়ের দূরত্ব ৯৯ কিমি। রাস্তা নগ্গর–কুলু-আউট-স্যায়েঞ্জ হয়ে।

শিমলা, মানালি বা কুলু থেকে গাড়ি ভাড়া করে চলে যেতে পারেন। স্যায়েঞ্জ থেকে শানগড় ১৬ কিমি। স্যায়েঞ্জ থেকে রাস্তা খুব ভালো। তার পরই সরু, চড়াই রাস্তা, হালও খারাপ। স্যায়েঞ্জ শহরে ঢোকার দরকার হয় না। বাইপাস আছে। পাইনের জঙ্গল চলে যায়, আসে দেবদারুর জঙ্গল।

কুলু থেকে শানগড় ৬৬ কিমি। কুলু থেকে দুপুরে একটা বাস ছাড়ে শানগড়ের উদ্দেশে। সেই বাস পরের দিন সকালে শানগড় ছেড়ে কুলু ফেরে। কুলুতে পৌঁছে বাসের সময় জেনে নেবেন।          

হিমাচলের বিভিন্ন জায়গা থেকে স্যায়েঞ্জ আসার অনেক বাস আছে। স্যায়েঞ্জ থেকে শেয়ার গাড়িতেও আসা যায় শানগড়।  

কোথায় থাকবেন

শানগড়ে থাকার বেশ কিছু ভালো বেসরকারি ব্যবস্থা আছে। গুগল সার্চ করলে পেয়ে যাবেন।

কী দেখবেন

তৃণভুমিই শানগড়ের মূল আকর্ষণ। সেই তৃণভুমির মাঝে নিরালা নির্জন পরিবেশে রয়েছে শাংচুল মহাদেব মন্দির। এখানেই সময় কেটে যাবে আপনার। আর আধ ঘণ্টা ট্রেক করে গেলে পৌঁছে যাবেন বরশনগড় ফল্‌সে।    

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *