ফেরিঘাটগুলিতে রুফটপ ক্যাফের পরিকল্পনা কেএমডিএর

ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: ক্রংকিটের শহরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার অন্যতম জায়গা হল গঙ্গার ঘাট। গোধূলিবেলায় আকাশের রঙের ছটা ফেলে অস্ত যায় সূর্য। আর ঠিক সেই সময় ব্যস্ততা বাড়ে ফেরিঘাটে। এ ভাবেই গ্রীষ্মের বিকেলগুলোয় গঙ্গার পাড়ে আড্ডা জমে ওঠে লেবু চা আর ঘটি গরমে। গঙ্গার ঘাট সংলগ্ন জায়গাগুলোতে এমন দৃশ্য খুব সাধারণ।

তবে, এখন মানুষ ক্যাফেমুখী। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ক্যাফেতে বসে কফির কাপে চুমুক দিতে ভালোবাসেন অনেকে। এ বার এটাও সম্ভব হবে গঙ্গার পাড়ে বসে। কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে উপভোগ করতে পারবেন গঙ্গার সৌন্দর্য্য। শহর ও শহরতলির গুরুত্বপূর্ণ গঙ্গার ঘাটগুলোতে তৈরি হবে রুফটপ ক্যাফেটেরিয়া।

রুফটপের একতলায় থাকবে টিকিট কাউন্টার, যাত্রীদের ভেসেলে ওঠা-নামার ব্যবস্থা। আর দোতলায় তৈরি হবে ক্যাফেটেরিয়া। মিলেনিয়াম পার্ক, ফেয়ারলি, রামকৃষ্ণপুর ঘাট, চাঁদপাল, দক্ষিণেশ্বর, বেলুড়, চন্দননগরের মতো ঘাটগুলো সেজে উঠতে চলেছে এই নতুন রূপে। তবে, দক্ষিণেশ্বর ও বেলুড়ে ক্যাফেটেরিয়ার ব্যবস্থা থাকবে না। কেএমডিএ এলাকার মধ্যে থাকা এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ গঙ্গাঘাটগুলো আরবান অগমেন্টেশন প্রোজক্টের আওতায় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।

এ বার রুফটপ ক্যাফেতে বসে আয়েষ করে চুমুক দিতে পারবেন কফির কাপে। উপভোগ করতে পারবেন গঙ্গার সৌন্দর্য্য। যদিও এখানেই শেষ নয়। যাত্রীদের সুবিধার্থে ১৪০টি ঘাটতে বসতে চলেছে ট্রান্সটাইল গেট। সেখানে থাকবে যাত্রীদের জন্য বিশ্রামাগার এবং শৌচালয়ের ব্যবস্থা। আর যে সব ঘাটের সঙ্গে রেললাইন রয়েছে সেখানে তৈরি হবে ফুটওভার ব্রিজ, থাকবে চলমান সিঁড়ি। বিশ্বব্যাঙ্কের সহায়তায় ফেরিঘাটগুলো সাজানো হচ্ছে। ফেরিঘাটের চারপাশ সাজানো হবে সবুজে। হাঁটার জন্য থাকবে ফুটপাথ। বাইক-সাইকেল রাখার জন্য থাকবে গ্যারেজের ব্যবস্থাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *