খুলে গেল ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স, যেতে পারবেন বাইরের পর্যটকরাও

ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হল ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স। এই ঘোষণা করে উত্তরাখণ্ড জানিয়েছে, রাজ্যের বাইরে থেকেও পর্যটকদের ফুলের উপত্যকাভূমিতে যেতে দেওয়া হবে।

ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত বিশ্ব ঐতিহ্য ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স সাধারণত জুন মাসে খুলে যায়। অক্টোবর পর্যন্ত এখানে যাওয়া যায়। তবে এ বছর করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে নির্ধারিত সময়ে ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স খোলা যায়নি।

ফুলের জলসা।

এ কথা জানিয়ে জোশীমঠের এসডিএম অনিল চনিয়াল বলেন, জনপ্রিয় এই পর্যটনস্থলে বাইরের রাজ্যের পর্যটকদের যেতে অনুমতি দেওয়া হবে একটি শর্তে। ভ্রমণের ৭২ ঘণ্টা আগে কোভিড নেগেটিভ  সার্টিফিকেট আপলোড করতে হবে।

পর্যটনের ইতিহাসে এই প্রথম ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স নির্ধারিত সময়ে খোলেনি। সেই সময় বনমন্ত্রী হরক সিং রাওয়াত বলেছিলেন, সংরক্ষিত বনাঞ্চল, অভয়ারণ্য ইত্যাদি খুলে দেওয়ার আগে বিজ্ঞানী এবং বন্যজন্তু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: আর সমুদ্রযাত্রা কেন? এ বার রোপওয়েতে যাবেন এলিফ্যান্টা

হিমালয়ের কোলে সাড়ে ১১ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত অনিন্দ্যসুন্দর ভুইন্দর উপত্যকা তথা ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স ১ জুন থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত খোলা থাকে। ওই সময়ে ৩০০ রকমের ফুল ফোটে সেখানে। ইংরেজি ‘ইউ’ আকারের উপত্যকাটি বছরের বাকি সময় বরফে আচ্ছাদিত থাকে।

জোশীমঠ থেকে বদরীনাথের পথে ১৯ কিমি যেতে অলকানন্দা ও ভুইন্দর গঙ্গার সঙ্গমে ৬ হাজার ফুট উচ্চতায় গোবিন্দঘাট। এখান থেকেই শুরু হয় ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্সের উদ্দেশে হাঁটা। অলকানন্দা পেরিয়ে ভুইন্দর গঙ্গার পাড় ধরে হাঁটা। চড়াই ভেঙে পৌঁছোতে হয় সাড়ে ১২ কিমি দূরের ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় ঘাংঘারিয়ায়।

ঘাংঘারিয়া থেকে পথ দু’ ভাগ। একটি পথ গেছে সাড়ে ৫ কিমি দূরে ১৪২০০ ফুট উচ্চতায় হেমকুণ্ড সাহিবে। দুরূহ চড়াই সারা পথে। আর অন্য পথটি গেছে সাড়ে ৩ কিমি ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স-এ। মর্ত্যে যেন স্বর্গের পুষ্পোদ্যান।

ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স-এ যাওয়ার পথ।

গত বছর ১৫ হাজার পর্যটক ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স-এ গিয়েছিলেন। এ বছর ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স খুলে যাওয়ায় রাজ্যের পর্যটন শিল্প কিছুটা চাঙ্গা হবে বলে মনে করছেন এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা।

ইতিমধ্যে বন দফতর ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স-এ যাওয়ার পথ নজরদারির জন্য খুলে দিয়েছে। চোরাশিকারিরা যাতে পরিস্থিতির সুযোগ নিতে না পারে তার জন্যই চলছে নজরদারি। উপত্যকায় নজরদারি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এ বছরই ওই ক্যামেরায় মাস্ক ডিয়ারের ছবি ধরা পড়ে।                            

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *