আর সমুদ্রযাত্রা কেন? এ বার রোপওয়েতে যাবেন এলিফ্যান্টা

ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: এখন থেকে সারা বছরই যাওয়া যাবে এলিফ্যান্টা গুহায়। মুম্বই থেকে সমুদ্রযাত্রা করে এলিফ্যান্টা গুহা যেতে হয় বলে বর্ষায় এই ভ্রমণ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া থেকে এলিফ্যান্টার লঞ্চ ছাড়বে কি না, তা নির্ভর করে সমুদ্রের মর্জির উপরে।

না, এ বার থেকে সমুদ্রের মর্জির উপরে আর এলিফ্যান্টা ভ্রমণ নির্ভর করবে না। তৈরি হচ্ছে রোপওয়ে। এখন থেকে বছরভর যাওয়া যাবে এলিফ্যান্টা। আর যাঁরা সমুদ্রযাত্রায় অস্বস্তি বোধ করেন বলে এলিফ্যান্টা যেতে পারেন না, তাঁদের কাছেও স্থাপত্য-ভাস্কর্যের এই অনবদ্য নিদর্শনটি অধরা থাকবে না।

মুম্বইয়ের পূর্ব উপকূলে সেওরি থেকে রায়গড় জেলার এলিফ্যান্টা পর্যন্ত তৈরি হচ্ছে ভারতের দীর্ঘতম রোপওয়ে। জানা গিয়েছে, এই রোপওয়ের দৈর্ঘ্য হবে ৮ কিমি।    

সমুদ্রের মাঝে কমপক্ষে ৮টি এবং সর্বাধিক ১১টি টাওয়ার তৈরি হবে। এবং এই টাওয়ারগুলির উচ্চতা হবে ৫০ মিটার থেকে ১৫০ মিটার। ৩০ আসনবিশিষ্ট কেবল কার চলবে এই পথে। কেবল কারে সমুদ্র পেরোতে সময় লাগবে ১৪ মিনিট।

আরও পড়ুন: ৫২টি শক্তিপীঠের প্রতিরূপ নিয়ে হরিদ্বারে তৈরি হচ্ছে থিম পার্ক

সর্বশেষ খবরে জানা গিয়েছে, এই কেবল কার ভ্রমণের জন্য ভারতীয়দের দিতে হবে মাথাপিছু ৫০০ টাকা এবং বিদেশিদের মাথাপিছু ১০০০ টাকা।

সারা বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক যান এলিফ্যান্টায়। সমুদ্রযাত্রায় সময় লাগে ঘণ্টাখানেক। রোপওয়ে চালু হয়ে গেলে গুহায় পৌঁছোতে সময় লাগবে সাকুল্যে ৪০ মিনিট। সময় যেমন বাঁচবে, তার পাশাপাশি সমুদ্রের উপর দিয়ে ভ্রমণের এক অনন্য অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবেন পর্যটকরা।

রোপওয়ে প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছে মুম্বই পোর্ট ট্রাস্ট। কেবল কার ছাড়বে মুম্বইয়ের পূর্ব উপকূলে সেওরি ফোর্ট থেকে, পৌঁছোবে এলিফ্যান্টা দ্বীপের ঘরাপুরীতে। এই প্রকল্পে একটি স্টেশনও তৈরি হচ্ছে, যেখানে থাকবে সিটি টাওয়ার। সেই টাওয়ারে থাকবে চার দিক দেখার জন্য গ্যালারি, কাচের ঝুলন্ত রেস্তোরাঁ, বিনোদনের ব্যবস্থা ইত্যাদি।

তা ছাড়া, এই রোপওয়েতে কেবল কারে ভ্রমণ এমন ভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে শিশু থেকে বয়স্ক, সব বয়সের পর্যটক এই ভ্রমণ উপভোগ করতে পারেন।             

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *