ভ্রমণ অনলাইন ডেস্ক: ঘরবন্দি থাকার একটি ইতিবাচক দিক শুধু কোভিড-১৯-এর ‘কার্ভ’ সোজা করাই নয়, প্রাণীজগতের অন্য সদস্যদের সেই সব জায়গা বিচরণের সুযোগ করে দেওয়া, যেখানে সাধারণত তাদের পা পড়ে না। তাই সদাই জমজমাট শহরও এখন, এই লকডাউনের সময়, অন্য প্রাণীদের অবাধ বিচরণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। মানুষের টিকিটি দেখা যাচ্ছে না, এই সুযোগে তারা বেরিয়ে পড়েছে দলে দলে।
তবে গত সপ্তাহান্তে মুম্বইয়ে যা দেখা গেল, তা এক কথায় অনবদ্য। মুম্বই পেল এক বিশেষ সমাদর। মুম্বই শহর এখন গোলাপি বর্ণ ধারণ করেছে। নবি মুম্বই ক্রিকে সমবেত হল লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী গোলাপি ফ্লেমিঙ্গো।
It’s estimated that migration of flamingos in Mumbai suburbs is 25% more than last year, may be due to lower human activity by creating ideal conditions for foraging in the wetlands. It shows why wetlands are important and to be kept undisturbed. #wetlands #birds #migration pic.twitter.com/xEoRnqgSRI
— Ramesh Pandey IFS (@rameshpandeyifs) April 19, 2020
প্রতি বছর অক্টোবর থেকে মার্চের মধ্যে অগণিত পরিযায়ী ফ্লেমিঙ্গো উড়ে আসে মুম্বইয়ে। জুন মাস নাগাদ তারা আবার ফিরে যায়। তারা বেশির ভাগ আসে গুজরাতের কচ্ছের রন থেকে আর রাজস্থানের সম্ভর লেক থেকে। অনেকে আসে পাকিস্তান্, আফগানিস্তান থেকে। কেউ কেউ আসে সুদূর ইরান, ইজরায়েল থেকেও। সাধারণত নবি মুম্বইয় ক্রিক আর মুম্বইয়ের খাঁড়িগুলিতে তারা জড়ো হয়। তবে এ বারে যে সংখ্যায় তারা এসেছে তা মুম্বইয়ে যা আসে তার চেয়ে অনেকটাই বেশি বেশি। আইএফএস অফিসার রমেশ পাণ্ডে টুইট করে বলেছেন, সংখ্যাটা এ বার অন্তত ২৫ শতাংশ বেশি। ২০১৯-এর জানুয়ারিতে বোম্বে ন্যাচারাল হিস্ট্রি সোসাইটি গণনা করে দেখেছিল, সে সময়ে মুম্বইয়ে আসা ফ্লেমিঙ্গোর সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ২১ হাজার।
আরও পড়ুন ঘরে বসে মানসভ্রমণ: কোঙ্কন উপকূলে কুঙ্কেশ্বর
পরিবেশবিদরা লক্ষ করেছেন, এ বছর নবি মুম্বই ক্রিক ছাড়াও ঝাঁকে ঝাঁকে ফ্লেমিঙ্গো সমবেত হয়েছে থানে ক্রিক, উরান, পানজু দ্বীপ আর ভাসাইয়ে।
থানে ক্রিক ফ্লেমিঙ্গো স্যাঙ্কচুয়ারির এক কর্তা নাথুরাম কোকারে বলেন, এই অঞ্চলের অধিবাসীরা এ বছর মুম্বইয়ে অনেক বেশি ফ্লেমিঙ্গো লক্ষ করছেন। এর কারণ দু’টি – প্রথমত, জল আর বায়ু দূষণ অনেক কম এবং দ্বিতীয়ত, তাদের মুল খাদ্য শ্যাওলার মানও অনেক ভালো।