নিজস্ব প্রতিনিধি: গঙ্গাসাগরে কপিলমুনি মন্দিরে বিগ্রহের ছবি তোলা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এক সময়ে চালু প্রবাদ ছিল ‘সব তীর্থ বার বার/গঙ্গাসাগর এক বার’। গঙ্গাসাগরের দুর্গমতা বোঝাতে এই প্রবাদ লোকের মুখে মুখে ফিরত। গঙ্গাসাগর তীর্থযাত্রা যে কত কঠিন ছিল বাংলা সাহিত্যেও তা দেখানো হয়েছে।
সে দিন গত হয়েছে বহু বহু বছর আগে। এর পরে গঙ্গাসাগরে যাওয়া ক্রমশ সহজ হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পৌষের সংক্রান্তিতে মেলার সময়টুকু ছাড়া বছরের অন্য সময়ে সাগরতীর্থ ফাঁকাই থাকত।
ইদানীং পশ্চিমবঙ্গের খুবই জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র হয়ে উঠেছে সাগরসংগম। আগে দু-একটা আশ্রম ও সরকারি বাংলো বা অতিথিশালা ছাড়া গঙ্গাসাগরে থাকার জায়গা বলে কিছু ছিল না। এখন সেই দ্বীপে অনেক থাকার জায়গা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পর্যটনের গঙ্গাসাগর ট্যুরিজম প্রপার্টি, পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিচালিত ইয়ুথ হোস্টেল ইত্যাদি।
গঙ্গাসাগরে যাওয়ার সুবিধা হয়েছে অনেক। ট্রেনে কাকদ্বীপ বা বাসে বা গাড়িতে হারউড পয়েন্ট গিয়ে সেখান থেকে ভেসেলে মুড়িগঙ্গা পেরিয়ে পৌঁছে যান কচুবেড়িয়া। সেখান থেকে বাসে বা গাড়িতে সাগরতট। কলকাতার বাবুঘাট থেকে টানা ভেসেলেও চলে যেতে পারেন গঙ্গাসাগর। ফলে পর্যটক সমাগম বাড়ছেই সাগরসংগমে।
এখন সারা বছরই পর্যটকদের যাতায়াত লেগে থাকে সাগরসংগমে। ফলে কপিলমুনি মন্দিরেও ভিড় হয়। এরই মধ্যে লেগে যায় সেলফি তোলা বা ভিডিও তোলার ধুম। তাতে বেশ অসুবিধায় পড়েন দর্শনার্থীরা। সেই কারণেই মন্দির কর্তৃপক্ষ মন্দিরের ভিতরে বিগ্রহের ছবি তোলা, ভিডিও করে পরিজনদের বিগ্রহ দেখানো বা বিগ্রহকে পিছনে রেখে সেলফি তোলা নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশও কড়া নজরদারি করছে।
আরও পড়তে পারেন
৩ মে শুরু হচ্ছে চার ধাম যাত্রা, নাম লিখিয়েছেন লক্ষাধিক যাত্রী
আকাশপথে মাত্র ৫ মিনিটেই চলুন ধরমশালা থেকে ম্যাকলিয়ডগঞ্জ
বহু ট্রেনে এখনও চাদর-কম্বল মিলছে না, অভিযোগ যাত্রীদের, ব্যাখ্যা দিল রেল