আকাশপথে মাত্র ৫ মিনিটেই চলুন ধরমশালা থেকে ম্যাকলিয়ডগঞ্জ

ছবি twitter থেকে নেওয়া।

ধরমশালা: কিছু দিন আগেও ধরমশালা থেকে ম্যাকলিয়ডগঞ্জ যেতে হলে অন্তত ৪৫ মিনিট সময় লাগত। কারণ যাওয়ার একটাই উপায় ছিল, গাড়িতে। এখন আর অত সময় লাগবে না। ৫ মিনিটেই পৌঁছে যাবেন ধরমশালা থেকে ম্যাকলিয়ডগঞ্জ। রোপওয়ে চেপে চলে যান এই পথটুকু।

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে ধরমশালা স্কাইওয়ে প্রকল্পটি বানিয়েছে ট্রিল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রাইভেট লিমিটেড (TRIL Urban Transport Pvt. Ltd.)। পর্যটকদের দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবে রূপ পেয়েছে।

টাটা গোষ্ঠী এ ব্যাপারে টুইট করে বলেছে, “মাত্র ৫ মিনিটেই ৪৫ মিনিটের যাত্রা! আকাশপথে আমাদের প্রথম রোপওয়ে ধরমশালা স্কাইওয়ে ধরমশালা ও ম্যাকলিয়ডগঞ্জের মধ্যে যাত্রাকে পালটে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে এই প্রকল্প তৈরি করেছে ট্রিল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রাইভেট লিমিটেড।”

এই রোপওয়ে তৈরি হওয়ার ফলে হিমাচল প্রদেশের এই অঞ্চলে পর্যটন আরও চেগে উঠবে আশা করা যায়। ধরমশালা স্কাইওয়ের ডিরেক্টর নেহা পণ্ডিত বলেন, “এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে ধরমশালায় পর্যটন মরশুম শুরু হবে। আমরা আশা করি এই প্রকল্পের ফলে পর্যটকদের সংখ্যা ভালো রকম বাড়বে।”

রোপওয়ের খুঁটিনাটি

২০৭ কোটি টাকা খরচ করে এই প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। এই রোপওয়ে এক ঘণ্টায় এক দিকে ১০০০ জন যাত্রীকে বহন করতে পারবে। টিকিটের দাম এক পিঠে জনপ্রতি ৩০০ টাকা। আর যাতায়াত করলে জনপ্রতি ৫০০ টাকা।

হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর গত ১৯ জানুয়ারি রোপওয়ের উদ্‌বোধন করেন। রোপওয়ের সর্বোচ্চ স্টেশনটি একেবারে দলাই লামা মন্দিরের সামনে।

এই স্কাইওয়ে তৈরি করতে মনো কেবল্‌ ডিট্যাচেবল গন্ডোলাস সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। এই স্কাইওয়েতে ১০টি টাওয়ার ও ২টি স্টেশন আছে।

এতে ১৮টি কেবিন চলাচল করবে। প্রতি কেবিন ৮ জন যাত্রীকে বহন করতে সক্ষম।

আরও পড়তে পারেন

বহু ট্রেনে এখনও চাদর-কম্বল মিলছে না, অভিযোগ যাত্রীদের, ব্যাখ্যা দিল রেল

বর্ষার আগমন দেখতে চলুন কোভলম

হাওয়া বদলের পশ্চিমে – বর্ষশেষে শিমুলতলা চলুন ট্র্যাভেলিজমের সঙ্গে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *