আর হেঁটে চড়াই ভাঙা নয়, কাদ্দুখাল থেকে রোপওয়েতে চলুন সুরখণ্ডা দেবী দর্শনে

সুরখণ্ডা দেবী মন্দির। ছবি twitter থেকে নেওয়া।

দেহরাদুন: সুরখণ্ডা দেবীকে দর্শন করার জন্য কাদ্দুখাল থেকে আর চড়াই ভাঙতে হবে না। তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের জন্য রোপওয়ের ব্যবস্থা করে দিল উত্তরাখণ্ড সরকার।

তীর্থভ্রমণের এক আদর্শ রাজ্য উত্তরাখণ্ড। সমতলে হরিদ্বার আর হৃষীকেশ ঘুরে মানুষ যত হিমালয়ের অন্দরে প্রবেশ করবে ততই একটা একটা করে খুলে যাবে তীর্থস্থানগুলির দরজা।

কেদারনাথ, বদরীনাথ, গঙ্গোত্রী আর যমুনোত্রী – এই চার ধাম তো আছেই। আরও আছে – পঞ্চকেদার। এই পঞ্চকেদারের অন্যতম কেদারনাথ। বাকিগুলি হল রুদ্রনাথ, তুঙ্গনাথ, মদমহেশ্বর এবং কল্পেশ্বর। আছে সাত বদরী – বদরীনাথ বাদ দিয়ে অন্যগুলি হল আদিবদরী, বৃদ্ধবদরী, ধ্যানবদরী, অর্ধবদরী, ভবিষ্যবদরী ও যোগবদরী। রয়েছে পঞ্চপ্রয়াগ –দেবপ্রয়াগ, রুদ্রপ্রয়াগ, কর্ণপ্রয়াগ, নন্দপ্রয়াগ ও বিষ্ণুপ্রয়াগ।

এই পরিচিত ধামগুলি ছাড়াও অসংখ্য মন্দির ও তীর্থস্থান ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে উত্তরাখণ্ডের অন্দরে, যেখানে প্রতি বছর বহু তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের পা পড়ে।

রোপওয়ে উদ্বোধন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

তেমনই একটি অতিপরিচিত তীর্থস্থান হল সিদ্ধপীঠ সুরখণ্ডা দেবী তথা মা দুর্গার মন্দির। এর অবস্থান চাম্বা-ধনোলটি পথে। চাম্বা থেকে ২২ কিমি এবং ধনোলটি থেকে ৮ কিমি দূরে কাদ্দুখাল। এই কাদ্দুখাল থেকে শুরু হয়েছে সুরখণ্ডা দেবীর মন্দিরে যাওয়ার পায়ে চলা পথ। পাহাড়ের দূরন্ত চড়াই ভেঙে উঠতে হয় প্রায় ৩ কিমি পথ। মোটামুটি ঘণ্টা দুয়েক ট্রেক করে পৌঁছোতে হয় প্রায় ১০ হাজার ফুট (৩০৩০ মিটার) উচ্চতায় অবস্থিত সুরখণ্ডা দেবীর মন্দিরে।

গত রবিবার এই পথে চালু হয়ে গেল রোপওয়ে। কাদ্দুখাল-সিদ্ধপীঠ রোপওয়ের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। রোপওয়ের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধপীঠে মা সুরখণ্ডা দেবীর পুজো দেন।  

রোপওয়ে-পথের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই রোপওয়ের ফলে তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের খুব সুবিধা হবে। এ ছাড়াও স্থানীয় মানুষের জীবিকার একটা বিকল্প পথ তৈরি হবে। একই সঙ্গে অ্যাডভেঞ্চার পর্যটন ও ধর্মীয় পর্যটন চাঙ্গা হয়ে উঠবে।

এই রোপওয়ে-পথের বৈশিষ্ট্য

(১) এই রোপওয়ে-পথের দৈর্ঘ্য ৫০২ মিটার।

(২) প্রতি ঘণ্টায় ৫০০ জন যাত্রী এই রোপওয়েতে যাতায়াত করতে পারবেন।

(৩) কাদ্দুখাল থেকে মন্দিরে যেতে সময় লাগবে ৫ থেকে ১০ মিনিট।

(৪) এই রোপওয়ে-পথ তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৫ কোটি টাকা।

আরও পড়তে পারেন

ট্রেকিং-এর নতুন গন্তব্য: মুন্নারের কাছে মিসাপুলিমালা

সেলফি নেওয়া, ছবি তোলা, ভিডিও করা মানা গঙ্গাসাগরে কপিলমুনি মন্দিরে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *