ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথ পর্যন্ত রোপওয়ে পরিষেবা চালু করার চিন্তাভাবনা চলছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। এ বার প্রকল্পে সবুজ সংকেত দিয়েছে ‘ন্যাশনাল ওয়াইল্ড লাইফ বোর্ড’ (এনডব্লিউবি)। ফলে, এক দিকে যেমন যাত্রার সময় কমবে, তেমনই হেলিকপ্টারের একটা সস্তার বিকল্পও পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথের মধ্যবর্তী দূরত্ব প্রায় ১৮ কিমি। হাঁটা ছাড়া অন্য যে উপায় রয়েছে, অর্থাৎ হেলিকপ্টার, সেটাও অত্যধিক খরচ। অথচ প্রতি বছরই লাফিয়ে বাড়ছে তীর্থযাত্রীর সংখ্যা। সে দিকে তাকিয়েই উত্তরাখণ্ড সরকার আগেই রোপওয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্যের ‘ওয়াইল্ড লাইফ বোর্ড’কে। জুনে মিলেছিল সম্মতি।
রাজ্যের থেকে বিষয়টি এর পর ‘ন্যাশনাল ওয়াইল্ড লাইফ বোর্ড’-এর কাছে যায়। অবশেষে কেন্দ্রীয় বোর্ডের সম্মতি পাওয়া গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়িই ওই রোপওয়ে নির্মিত হবে বলে জানা গিয়েছে। নিঃসন্দেহে এই খবরে অভিযাত্রী থেকে সাধারণ পর্যটক, সকলেরই মুখে হাসি ফুটবে।
জানা গিয়েছে, এই রোপওয়ে নির্মাণের খরচ পড়বে ১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। এর জন্য ২৬.৪৩ হেক্টর অরণ্যভূমি প্রয়োজন বলে জানা গিয়েছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্র জানাচ্ছে, ওখানে মোট ২২টি টাওয়ার নির্মিত হবে। থাকবে চারটি স্টেশন- গৌরীকুণ্ড, চীরবাসা, লিঞ্চলি ও কেদারনাথ। এর পাশাপাশি বোর্ড রাম্বাদা থেকে গরুড় চটির মধ্যে নতুন একটি ট্রেক রুট তৈরির প্রস্তাবেও সবুজ সংকেত দিয়েছে।
অন্য দিকে, গোবিন্দঘাট-হেমকুণ্ড সাহিব রোপওয়ে প্রকল্পের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে বোর্ডকে। যে হেতু পরিবেশ মন্ত্রক ওই প্রকল্পের অনুমতি দিয়েছে তাই অন্য অনুমতি পেতে অসুবিধা হবে না বলেই সরকারি সূত্রের দাবি।
আরও পড়তে পারেন
কেদারনাথের কাছে হেলিকপ্টার ভেঙে ৬ তীর্থযাত্রী ও পাইলটের মৃত্যু
মঙ্গলবার থেকেই উত্তর সিকিমের পারমিট দেওয়া শুরু প্রশাসনের
কালীপুজো-দীপাবলি: শান্তিপুরে বড়ো গোস্বামী বাড়িতে আগমেশ্বরীর কালীপুজোয় সহিষ্ণুতার কাহিনি
শীতকালীন পর্যটনকে বিস্তার করতে বিশেষ উদ্যোগ কাশ্মীরের, হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু করার ভাবনা