ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: পর্বত-অভিযাত্রীদের খালি অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলো ফিরিয়ে আনার জন্য অনুরোধ করেছে নেপাল। ভারতীয় উপমহাদশের বাদবাকি দেশের মতো নেপালেরও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে জেরবার অবস্থা। তাদের স্বাস্থ্য পরিষেবার অবস্থাও তত উন্নত নয়। অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে হিমালয়ের এই দেশে। এই পরিস্থিতিতে এই অনুরোধ এসেছে নেপালি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকেও একই অনুরোধ করা হয়েছে।
বিশ্বে পর্বত-অভিযানের ক্ষেত্রে সব চেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্য নেপাল। নেপালে প্রতি বছর বহু অভিযাত্রী পর্বত-অভিযানে যান, বিশেষ করে এভারেস্ট অভিযানে। বিশ্বের নানা দেশ থেকে অভিযাত্রীরা আসেন নেপাল। এবং এই ক্ষেত্রটি নেপালের আয়ের উপার্জনের একটা বড়ো উৎস। তাই করোনা পরিস্থিতিতেও নেপালে পর্বত-অভিযান চলছে।
নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম আধিকারিক কুল বাহাদুর গুরুং জানিয়েছেন, এই বছরে দেশের বিভিন্ন পার্বত্যপথে ট্রেক করার জন্য অন্তত সাড়ে ৩ হাজার অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বেশির ভাগ সময়েই ট্রেকাররা সিলিন্ডারগুলো পথেই ফেলে আসেন। বাতিল ক্যানিস্টার বা সিলিন্ডার বর্জ্য হিসাবে পড়ে থাকে। অথবা তুষারধসে বরফে চাপা পড়ে যায়। দেশের বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে অক্সিজেন সিলিন্ডারের খুবই চাহিদা। এই চাহিদা মেটাতে বাতিল অক্সিজেনগুলো কাজে লাগতে পারে।
গুরুং সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “যতটা সম্ভব খালি বোতলগুলো ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা অভিযাত্রী ও শেরপাদের অনুরোধ করছি। করোনাভাইরাসের রোগীদের চিকিৎসার জন্য খালি বোতলগুলো রিফিল করে ব্যবহার করা যেতে পারে।”
পার্বত্য-দেশ নেপালে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো খুব একটা উন্নত নয়। এখানে ১৬০০ আইসিইউ বেড আছে আর ৬০০ ভেন্টিলেটর আছে। এ বছরের ৯ মে পর্যন্ত নেপালে ৩ লক্ষ ৯৪ হাজার ৬৬৭ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন।
ছবি নেপাল ট্যুরিজম বোর্ডের ফেসবুক থেকে নেওয়া।
আরও পড়ুন: কেদার-বদরী নির্দিষ্ট দিনেই খুলবে, কিন্তু যাত্রা স্থগিত