এখন ফসল তোলার মরশুম, তাই পর্যটকদের জন্য কিন্নৌর বন্ধ ১ নভেম্বর পর্যন্ত

ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: স্পিতি উপত্যকার পরে এ বার কিন্নৌর। হিমাচল প্রদেশের অন্যত্র পর্যটকদের জন্য দরজা খুলে গেলেও স্পিতির মতো কিন্নৌরও আপাতত পর্যটকদের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে।

তবে এ ক্ষেত্রে দুটি অঞ্চলে কিঞ্চিৎ তফাত আছে। স্পিতি এ বছর আর দরজা খুলবেই না পর্যটকদের জন্য, ও দিকে কিন্নৌর দরজা বন্ধ রাখবে ১ নভেম্বর পর্যন্ত।

এবং পর্যটকদের দূরে রাখার কারণও ভিন্ন। হিমালয়ের ১২ থেকে ১৪ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত  স্পিতির স্বাস্থ্য পরিষেবা বেশ দুর্বল। চিকিৎসাব্যবস্থা যেটুকু আছে, সেটুকুও কাজে লাগে অ্যাকিউট মাউন্টেন সিকনেস-এর (এএমএস) চিকিৎসায়।

তাই স্পিতি ট্যুরিজম সোসাইটি চায় না, এই করোনা মহামারির সময়ে দলে দলে পর্যটক এসে এখানকার পরিস্থিতি আরও ঘোরালো করে তুলুক।

কিন্নৌরে এখন আপেলের ভরা মরশুম।

কিন্তু কিন্নৌর অপেক্ষা করতে চায় শুধু আপেল তোলার মরশুম শেষ হওয়া পর্যন্ত। এখন কিন্নৌর ব্যস্ত আপেল, অন্যান্য ড্রাই ফ্রুট এবং নানা কৃষিজ পণ্য তোলার কাজে। এই ব্যস্ত মরশুমে কিন্নৌর চায় না, কোনো ভাবে এই অর্থকরী ফসল তোলার কাজ ব্যাহত হোক। তাই আপাতত ১ নভেম্বর পর্যন্ত কিন্নৌর অঞ্চলে বাইরের কাউকে ঢুকতে দিতে চায় না তারা।

কিন্নৌর হোটেল অ্যাসোসিয়েশন এক প্রেস নোটে জানিয়েছে, ওই অঞ্চলে পর্যটনের কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ এক বৈঠকে বসে। তাতে ঠিক হয়েছে, রাজ্যের সমস্ত হোটেল, হোমস্টে এবং পর্যটন সম্পর্কিত সমস্ত কাজ ১ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ফসল তোলার এই মরশুমে করোনা মহামারির মতো অবাঞ্ছিত কিছু ঘটে না যায়, সে কারণেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ফসল তোলার এই মরশুম শেষ হয়ে যাওয়ার পর পর্যটকদের কিন্নৌর আসার জন্য ওই প্রেস নোটে অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান মুখপাত্র শান্তা কুমার আহ্বান জানিয়েছেন।

হিমাচলের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র কিন্নৌরের খ্যাতি বসপা নদীর তীরে সাংলা, রকছাম, সীমান্তে শেষ গ্রাম ছিটকুল, কল্পা এবং কিন্নৌর কৈলাস শৃঙ্গের জন্য।

ভ্রমণ অনলাইনে আরও পড়তে পারেন

হিমাচল খুলে গেলেও, আপাতত স্পিতির দরজা বন্ধই থাকছে পর্যটকদের জন্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *