গোয়ার জলপ্রপাত এবং তার সন্নিহিত অঞ্চলে সঠিক পর্যটন-পরিকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ

পানজিম: সামুদ্রিক রাজ্য হলেও গোয়ার অন্যতম বড়ো আকর্ষণের বস্তু হল তার একাধিক জলপ্রপাত। রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একাধিক প্রপাত। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র কয়েকটি প্রপাতই পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়। রাজ্য বন দফতরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই সব ক’টি প্রপাত এবং তার সন্নিহিত অঞ্চলগুলিকে প্রকৃত পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত করা হবে।

গোয়ার জলপ্রপাতগুলি মূলত মরশুমি। বছরের বাকি সময় বিশেষ জল না থাকলেও বর্ষার চার মাস এবং বর্ষা পরবর্তী মাসখানেক কার্যত ফুলেফেপে ওঠে তারা।

গোয়ায় জনপ্রিয় জলপ্রপাতগুলির মধ্যে রয়েছে দুধসাগর। মান্ডবি নদীতে তৈরি হওয়া দুধসাগর তো ভারতের উচ্চতম জলপ্রপাতগুলির একটি। এ ছাড়া রয়েছে আর্ভেলেম জলপ্রপাত। সাঙ্খালিম অঞ্চলে ভগবান মহাদেবের মন্দিরের ঠিক পাশে তৈরি হওয়া এই প্রপাতের আবার ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে।

পাশাপাশি তাম্বদি সুরলা, নেত্রভালি, বামানবুড়ো প্রপাতগুলি জনপ্রিয়। এ ছাড়াও গোয়ায় আরও ছয়টা প্রপাত রয়েছে। সেগুলি হল হিবরে, কেসারভাল, কুসেম, সাদা, চারাবানে এবং কারমাল্য।     

https://twitter.com/kuldeepboom/status/1550011276268433408

সব প্রপাতেই পর্যটকদের ভিড় বাড়ে বর্ষার সময়। কিন্তু সেই ভিড়কে নিয়ন্ত্রণ করার মতো কোনো পরিকাঠামো প্রশাসনের হাতে নেই। মাত্রাতিরিক্ত পর্যটক আগমনে দূষণ বেড়ে যাচ্ছে এই সব অঞ্চলে।

সরকারের ভাবনা, সঠিক পরিকাঠামো গড়ে তুলে এখানে ভিড় এবং দূষণের সমস্যা কমানো হবে। এর জন্য পর্যটকদের থেকে একটু প্রবেশমূল্যও নেওয়া হবে। প্রবেশমূল্যের মাধ্যমে সরকারের যে আয় হবে, তা দিয়ে এই নতুন পরিকাঠামোর রক্ষণাবেক্ষণও ভালো করে করা সম্ভব হবে। গোয়ার বনমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রানে বলেন, জলপ্রপাতগুলির সন্নিহিত অঞ্চলে, নাম নথিভুক্তকরণের স্থান, পরিবেশবান্ধব শৌচাগার, পিকনিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি গাইড পরিষেবার ব্যবস্থাও করা হবে, যাতে স্থানীয় কর্মসংস্থানও হয়।

আরও পড়তে পারেন

ভোপাল-জব্বলপুর জনশতাব্দীতেও ভিস্টাডোম, কোন কোন ট্রেনে পেতে পারেন এই কোচ

চলুন ত্রিযুগীনারায়ণ, রাত কাটান জিএমভিএন পর্যটক আবাসে

পর্যটনকে নেতিবাচক চোখে দেখবেন না, সংবাদমাধ্যমের কাছে আর্জি ভ্রমণ সংগঠনগুলির

পূর্ব উপকূলের অল্প-চেনা সৈকত: সূর্যলঙ্কা

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *