ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: গোয়ার সঙ্গে যে শব্দগুলো ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে যায় সেগুলি হল ‘বিচ’, ‘পার্টি’, ‘নাইটলাইফ’, ‘ক্রুজ’ ইত্যাদি। বাঁধা গতের কোনো প্যাকেজ ট্যুরে গেলে গোয়ার দুটো মন্দিরও আপনাকে দেখানো হয় — শান্তাদুর্গা এবং মঙ্গেশি। তবে আপনারা অনেকেই জানেন না যে গোয়ায় সম্পূর্ণ অফবিট স্থানে রয়েছে এমন এক মন্দির, যাকে অনায়াসেই গোয়ার সব থেকে সেরা ধর্মীয় আকর্ষণ আখ্যা দেওয়া যায়। পাহাড় এবং জঙ্গলের মধ্যে অসাধারণ জায়গায় অবস্থিত এই মন্দিরটি।
এই মন্দিরের নাম মহাদেব মন্দির। গোয়ার তাম্বডি সুরলা এলাকায় অবস্থিত মন্দিরটির পুরো নাম তাম্বডি সুরলা মহাদেব মন্দির। পশ্চিম গোয়ায় কর্নাটক সীমান্ত লাগোয়া শহর মোল্লেমের কাছে ভগবান মহাবীর অভয়ারণ্যের মধ্যে অবস্থিত রাজ্যের সব থেকে প্রাচীন এই মন্দিরটি।
জৈন স্থাপত্যরীতিতে তৈরি এই মন্দিরটি দ্বাদশ শতকের। বেসাল্ট পাথরে তৈরি এই মন্দিরটিকে বলা হয় গোয়ায় কদম্ব-যাদব শিল্পকলার একমাত্র বেঁচে থাকা নিদর্শন। উল্লেখ্য, আজ থেকে হাজার বছর আগে দাক্ষিণাত্যের একটা বড়ো এলাকা জুড়ে কদম্বদের শাসন ছিল।
মন্দিরে অধিষ্ঠিত শিব। তবে মন্দিরগাত্রে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরের মূর্তি খোদাই করা রয়েছে। মন্দিরের ঠিক পাশ দিয়েই বয়ে চলেছে সুরলা নদী। কয়েকটা সিঁড়ি বেয়ে নেমেই এই নদীতে পৌঁছানো যায়। প্রত্যেক বছর শিবরাত্রির দিন মহাধুমধাম করে উৎসব হয় এখানে। স্থানীয়রা ভিড় করেন।
তবে এই মন্দিরটি গোয়ায় বাঁধা গতের পর্যটনস্থলের থেকে অনেকটা দূরে হওয়ায় এখানে পর্যটকদের পা বেশি পড়ে না।
তাম্বডি সুরলা মহাদেব মন্দিরে আসতে গেলে আপনাকে নিজের ব্যবস্থাতেই যেতে হবে। কারণ গোয়া পর্যটনের কোনো প্যাকেজ ট্যুর আপনাকে এই মন্দিরে নিয়ে আসবে না। এই মন্দিরটি উত্তর গোয়ার ক্যালাঙ্গুটে থেকে ৭৮ কিলোমিটার এবং দক্ষিণ গোয়ার মাড়গাঁও থেকে ৫৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। গাড়ির ব্যবস্থা করে ঘুরে নিতে পারেন এই মন্দির।
তবে বাঁধা গতের পর্যটন সার্কিটের বাইরে বেরিয়ে এই মন্দিরে এলে আপনার ভ্রামণিক মন যে উল্লসিত হবে, তা বলাই বাহুল্য।