দক্ষিণ কলকাতার ঐতিহ্যশালী পুজো বাবুবাগান প্রতি বছরই নিত্যনতুন থিম নিয়ে হাজির হয় পুজোর ময়দানে। অভিনব থিমে দর্শনার্থীদের চমক দিতে তারা ওস্তাদ। এ বারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এ বার তাদের পুজোর থিম ‘মা তুঝে সেলাম’।
৬১ বছরে পড়ল ঢাকুরিয়ার এই দুর্গোৎসব। এ বারের থিমে এক অর্থে মা এখানে যেমন মা দুর্গা তেমনই দেশমাতৃকাও। দু’জনকেই বন্দনা করা হয়েছে। কিন্তু চমক লুকিয়ে আছে অন্য জায়গায়। এ বছর দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ পূর্তি হচ্ছে। সেই উপলক্ষ্যে বাবুবাগানে তৈরি হয়েছে আস্ত ‘ইন্ডিয়ান কয়েন পার্ক’।
অভিনব বিষয়-ভাবনার জন্য বাবুবাগানের পুজো কমিটির থিম মেকার সুজাতা গুপ্ত ও কর্মকর্তা সরোজ ভৌমিককে প্রতিমা ও মণ্ডপ সংরক্ষণ করার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুর জেলের নবনির্মিত স্বাধীনতা সংগ্রহশালায় (Independence Museum) প্রতিমা-সহ গোটা মণ্ডপটাই সংরক্ষণ করার প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী। পেশায় অধ্যাপিকা সুজাতা গুপ্ত বাবুবাগানের পুজোর সৃজনের দায়িত্বে। প্রতিমা গড়েছেন সনাতন পাল, আবহ কল্যাণ সেন বরাটের।

এ বছর বাবুবাগানের মণ্ডপে এক দিকে যেমন গান্ধীজি, নেতাজি, স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ, সন্ত টেরেজা, রাজেন্দ্রপ্রসাদের মতো ব্যক্তিত্বদের দেখা মিলবে তেমনই কয়েন পার্কের মধ্যে থাকবে একটি মিউজিয়াম। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত যে সব মুদ্রা ভারত সরকার বাজারে এনেছে তার সব ক’টিই দেখা যাবে ওই মিউজিয়ামে। এ ছাড়া ডান্ডি অভিযান, এশিয়ান গেমস, স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষ্যে প্রকাশিত স্মারক মুদ্রাও দেখা যাবে।
এ ছাড়া দুর্গামূর্তি খোদাই করা একটি স্মারক মুদ্রায় লিপিবদ্ধ থাকবে দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতি দেওয়ার কথাও। মুদ্রা সম্পর্কে এই মিউজিয়াম থেকে অনেক অজানা তথ্য জানা যাবে বলে দাবি বাবুবাগানের পুজোর উদ্যোক্তাদের।
গড়িয়াহাটের দিক থেকে যাদবপুরের দিকে গেলে ঢাকুরিয়া ব্রিজ পেরিয়ে বাঁ দিকে কিছুটা গেলেই বাবুবাগানের পূজামণ্ডপ।
ছবি: রাজীব বসু
দুর্গাপার্বণ: বলিদানের প্রথাই নেই চুঁচুড়ার বড়ো শীলবাড়ির দুর্গাপুজোয়
কলকাতায় ঠাকুর দেখা: ঢাকুরিয়ার শহিদনগর সর্বজনীনের পুজোয় সম্মানিত হচ্ছেন অনামা শিল্পীরা