শুরু হয়ে গেল নতুন বঙ্গাব্দ ১৪৩০। শনিবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাঙালিরা নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করেন। এ দিন কলকাতা শহরে সকাল থেকেই নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে ছিল প্রভাতফেরি, মঙ্গল শোভাযাত্রা, বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ ছাড়া চিরাচরিত প্রথা মেনে শুভ হালখাতা উদযাপন তো ছিলই।
মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয় দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর অঞ্চলে। সুকান্ত সেতু থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয় সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ। শেষ হয় যোধপুর পার্কে।
এ দিন সকাল থেকেই দক্ষিণেশ্বর ভবতারিণী মন্দিরে ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়। গোটা মন্দিরপ্রাঙ্গণ জুড়ে ছিল দর্শনার্থীদের দীর্ঘ লাইন। মা-কে দর্শন করে অনেকেই এ দিন তাঁদের দিনের কাজ শুরু করেন।
স্বাভাবিক ভাবেই কালীঘাট মন্দিরেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সকাল থেকেই চলে শুভ হালখাতার পুজো।
নববর্ষের দিনই জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হল রাজভবনের দ্বার। এখন থেকে রাজভবনে ঢুকতে আর কোনো বাধা রইল না সাধারণ মানুষের।
রাজভবনের অন্দরমহল যেন এক জাদুঘর। ভেতরে রয়েছে প্রচুর পুরোনো নিদর্শন যা থেকে প্রাচীন কলকাতা তথা বঙ্গদেশের একটা সার্বিক ছবি ফুটে ওঠে। সেই সঙ্গে রয়েছে নানা তথ্য।
এ দিন মোহনবাগান ক্লাবে চুণী গোস্বামীর নামাঙ্কিত গেটের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাওস্কর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোহনবাগান ক্লাবের সভাপতি স্বপনসাধন বোস, রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, দেবাশীষ দত্ত, বাবুল সুপ্রিয় ও প্রবাদপ্রতিম ফুটবলাররা।
এ দিন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে বারপুজো হয়। তাতেও দলের কর্মকর্তারা ছাড়াও রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।