ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: জঙ্গল ছেড়ে পরিত্যক্ত বাড়িতে এসে তিনটে শাবকের জন্ম দিল চিতাবাঘ। যা দেখে অবাক বন দফতরের কর্মীরাও। উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর জেলার সিরকোট গ্রামে ঘটেছে এই ঘটনা।
জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে কয়েক জন অভিবাসী থাকতেন। তাঁরা অধিকাংশ সময় না থাকায় পরিত্যক্ত থাকত সেই বাড়ি। এলাকায় জনবসতিও রয়েছে কম। এই সুযোগই কাজে লাগিয়েছে ওই মা চিতাবাঘ। পরিত্যক্ত ঘরে তিনটি শাবকের জন্ম দিয়েছে সে। সেই এলাকায় থাকা বন দফতরের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে ওই চিতাবাঘের ছবি। স্থানীয় গ্রামবাসীরা মা চিতাবাঘের গর্জন শুনেছেন। পরে বন দফতরের লোকেরা এসে নজর রাখছিলেন চিতাবাঘের শাবকের উপর। জানা গিয়েছে, চিতাবাঘ জঙ্গলে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে শাবকদের।
জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের পরিত্যক্ত বাড়িতে চিতাবাঘের শাবকের জন্মের বিষয়ে বাগেশ্বরের বৈজনাথ ফরেস্ট রেঞ্জের অফিসার সুরেন্দ্র নেগি বলেছেন, “সিরকোট গ্রামে অভিবাসী শ্রমিকরা মাঝেমধ্যে এসে থাকেন। পরিযায়ীরা চলে যাওয়ায় গ্রামে অনেক বাড়ি ফাঁকা পড়ে থাকে। এই পরিত্যক্ত বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে বন্যপ্রাণীরা। এ জন্য যে গ্রামবাসীরা সেখানে থাকেন তাঁদের আমরা অনুরোধ করেছি সূর্যাস্তের পর নজরদারি রাখতে। বিশেষত বাচ্চাদের সন্ধ্যাবেলায় পুরোপুরি বাড়ির ভিতরে রাখার কথা বলা হয়েছে।”
বন বিভাগের ওই অফিসার আরও জানিয়েছেন, গ্রামের কিছু মহিলা প্রথম চিতাবাঘের শাবক দেখতে পান। তাঁরা মা চিতাবাঘের গর্জনও শুনেছেন।
জানা গিয়েছে, তিনটি শাবকের জন্ম দিয়েছিল মা চিতাবাঘ। তার মধ্যে দুটি শাবককে মুখে করে জঙ্গলে নিয়ে গিয়েছে। একটি শাবক এখানে রয়েছে। সেই শাবককে দুধ খাইয়েছেন বন দফতরের কর্মীরা। ওই এলাকায় চিতাবাঘের গতিবিধির নজর রাখতে তিনটি ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে।
অপর এক শাবককে উদ্ধার করেনি বন দফতরের কর্মীরা। চিতাবাঘ ওই শাবককে কখন জঙ্গলে ফিরিয়ে নিতে আসে, তার জন্য অপেক্ষা করছেন বনকর্মীরা। তাঁরা চাইছেন খাঁচাবন্দি জীবনের বদলে জঙ্গলেই থাকুক চিতাবাঘের শাবকরা।